২৬ শে মার্চ কি দিবস সেটা সম্পর্কে আমাদের আজকের আলোচনা। যেহেতু আমরা বাঙালি বাংলাদেশ আমার আপনার মাতৃভূমি তাই বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জেনে রাখা আমাদের প্রত্যেকের প্রয়োজন। ২৬শে মার্চ কি দিবস যদি আপনার সেটা জানা না থাকে তাহলে আজকের পোস্টে সেটা আপনি জানতে পারবেন। প্রথমে বলে নেই ২৬শে মার্চ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস। এখন বলব স্বাধীনতা দিবস কি কিভাবে সাব দেশের মার স্বাধীনতা দিবস হল আর এটার পেছনের গল্প কি সবকিছুই আপনাদের সামনে শেয়ার করব।
যারা, ২৬ শে মার্চ কি দিবস না জানেন, ধরে নিলাম আপনি এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। সেই হিসেবে আজকের পোস্ট সাজাবো। ২৬ শে মার্চ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের পটভূমি
কেন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হল সেটা আমাদের জানা প্রয়োজন। ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হওয়ার পিছনে লম্বা একটি ইতিহাস রয়েছে। আমাদের প্রিয় এই মাতৃভূমি একসময় ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অংশ ছিল। ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার মাধ্যমে ভারত উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসন থেকে বেরিয়ে আসে এবং নিজেরাই শাসন করতে শুরু করে।
পাশাপাশি সে সময় মুসলমান এবং হিন্দুদের দ্বন্দ্বের কারণে ভারতের মধ্যেও ফাটল ধরে। অর্থাৎ ভারতকে বিভক্ত করে পাকিস্তান এবং ভারত দুটি রাষ্ট্র গঠন করা হয়। পাকিস্তানের দুইটি অংশ ছিল একটি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তান অন্যটি হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান। আমরা ছিলাম পশ্চিম পাকিস্তান আর অন্য অংশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান। পূর্ব পাকিস্তানের এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য ভারতের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হতো। এছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের শাসক অথবা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উপর অথবা জনগণের উপর বিভিন্ন ভাবে অবিচার করতে শুরু করে।
স্বাধীনতা দিবসের কিভাবে সূত্রপাত হলো
একটা পর্যায়ে এই অবিচার অত্যাচার অথবা শোষণের মাত্রা অতিক্রম করতে শুরু করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বৈঠকের মাধ্যমে এই শোষণ অবিচার এর মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু কোনটাই কাজে আসে না। ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের শাসকরা বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চক্রান্ত শুরু করে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এবং ২৬শে মার্চ বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রামের আহ্বান করা হয়।
তার আগে 25 শে মার্চ কাল রাত্রে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতাদের হুকুমে পশ্চিম পাকিস্তানের অর্থাৎ বাংলাদেশে বিভৎস হত্যাযোগ্য চালানো হয় যেখানে বাংলাদেশের অনেক জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গ কে ব্যভিচারে হত্যা করা হয়। আর ২৬ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
স্বাধীনতার ঘোষণা বলতে কী বোঝায়। ২৬ শে স্বাধীনতা দিবস বলতে কী বোঝায়
স্বাধীনতা দিবস বলতে বোঝায় কোন রাষ্ট্রের নিজস্ব সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা অর্জনের জন্য এক ধরনের ঘোষণাপত্র। বাংলাদেশেও ১৭ই এপ্রিল 1971 সালে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি ঘোষণাপত্র প্রচার করা হয় যেটাকে ইংরেজিতে বলা হয় প্রটেকনিশন অফ ইন্ডিপেন্ডেন্স। এই ঘোষণাপত্র প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করে কেননা ১৭ই এপ্রিলের সেই ঘোষণা পত্রে লেখা ছিল যে এই ঘোষণাপত্রটি কার্যকর হবে ২৬ শে মার্চ। যখন এই ঘোষণাপত্র প্রচার করা হলো তারপর বাংলাদেশ যখন শত্রুমুক্ত হলো তখন থেকেই এই দিবসটি বা দিনটি স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে।
আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন 26 শে মার্চ কি দিবস। এক কথায় বলতে গেলে ২৬ শে মার্চ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস আর এই দিনে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে গঠন করার জন্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ইতিহাসের পাতায় ২৬ শে মার্চ কে একটি জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর সেই জাতীয় দিবসটি হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস।
অনেকেই ভাবতে পারেন ২৬শে মার্চ কি দিব সেটা সম্পর্কে পোস্ট লেখার কি আছে এটা তো সবাই জানে। আসলে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে গিয়ে দেখলাম যে এই বিষয়টা নিয়ে অনেকেই সার্চ করছে। তাই ২৬ শে মার্চ কি দিব সেটা সম্পর্কে একটা পোস্ট লেখার কৌতুহল জাগলো এবং নিজেকে সেই কৌতুহল থেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না তাই ২৬শে মার্চ কি দিব সেটা সম্পর্কে একটা পোস্ট লিখে ফেললাম।