রমজান আমাদের জন্য রহমতস্বরূপ। রমজান আমাদের জন্য বরকতময়। রমজান মাস হচ্ছে এবাদতের মাস। মুসলমানদের সবচেয়ে প্রিয় মাছ হচ্ছে এটি। রমজানকে ঘিরে আমাদের আগ্রহ এবং প্রস্তুতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় একটু বেশি থাকে। রমজানকে কেন্দ্র করে আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিষয়ে জানার থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা বিষয় হচ্ছে রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কিনা।
আজকের আলোচনায় আমরা সেই বিষয়টাই আলোকপাত করবো। প্রথম কথা হচ্ছে রোজা ভাঙ্গার যতগুলো কারণ রয়েছে তার মধ্যে রক্ত দেওয়া বিষয়টি উল্লেখ্য নেই। তাই এই দিক থেকেও বলতে পারি যে রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।
রোজা রেখে রক্ত দেওয়া যাবে কি
আমরা জানি সাধারণত কোন খাদ্যবস্তু অথবা অন্য যে কোন কিছু শরীরের ভেতর প্রবেশ করালে রোজা ভঙ্গ হয়। যেহেতু রক্তদানে শরীরের ভেতরে কোন কিছু প্রবেশ করার সম্ভাবনা নেই তাই এক্ষেত্রে রোজা ভাঙবে না।
আশা করছি যারা এই ব্যাপারে প্রশ্ন করছিলেন তারা একটা সঠিক উত্তর পেয়েছেন। কোন মুমূর্ষু রোগী যদি রক্তদানের বিনিময়ে তার জীবন বেঁচে যায় তাহলে অবশ্যই সেই মুহূর্তে তাকে রক্ত দেওয়া জরুরী। তবে অনেক মুহাদ্দিস বলেন যে যদি রক্ত দাতা ইফতারের পর বা রোজা শেষ হওয়ার পর রক্ত দিলেও রোগীর কোন সমস্যা হবে না এমন হয় তাহলে রোজা শেষ করে রক্ত দেওয়া ভালো। কেননা অনেক সময় দেখা যায় রক্তদানের পর রক্তদাতা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সময় শরীর থেকে বিষাক্ত রক্ত বের করার জন্য সিংগা নিতেন। সিঙ্গা নেওয়ার ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত রক্ত বের হয়ে যায়। এটাকে রক্ত দানের সাথে তুলনা করা যায়। যেহেতু সিংগাদালে শরীর থেকে রক্ত বের হয় এবং তদ্রুপ রক্তদানেও শরীর থেকে রক্ত বের হয়। আরশিঙ্গা ধানের ফলে যেহেতু রোজা ভঙ্গ হয় না তাই রক্তদানের ফলে ও রোজা ভঙ্গ হবে না।