বৈশাখী মেলা অনুচ্ছেদ লিখন ৬ ৭ ৮ ৯ ১০ ১১ শ্রেণি
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন হল বৈশাখী মাস। নতুন করে বাঙালি ঐতিহ্য লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা লাভ করে। বৈশাখী মেলা নববর্ষের সর্বজনীন অনুষ্ঠানগুলোর অন্যতম। মূলত বৈশাখী মেলার আয়োজন করে স্থানীয় লোকেরা । পহেলা বৈশাখ আয়োজন করা হয় বাংলাদেশের বিভিন্নজায়গায় ছোট বড় অনেক স্থান।মেলা শুরু করে স্থানীয় লোকেরা এই মেলাতে বিভিন্ন ধরনের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলো শুরু করে । এই মেলাগুলো এক সপ্তাহ কিংবা এক মাস ব্যাপী হয়ে থাকে। এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের নাচ-গান নাগরদোলা প্রভৃতি হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য বলে বিবেচিত। মেলা দিনগুলোতে ছেলে বুড়ো সবার মাঝেই বিরাজ করে অনেক সুন্দর সুন্দর পোশাক ফতুয়া ও লুঙ্গি। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলা দিনাজপুর যে মেলা বসে তা উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় মেলা । বৈশাখী মেলা বাঙালী ইতিহাস ঐতিহ্যের মিলনমেলা। এই মেলা সকলের প্রাণে এনে দেয় খুশির বন্যা, ধুয়ে মুছে দেয় সারা বছরের কর্ম ক্লান্তি ও মানসিক অশান্তি। মেলায় এমন বস্তু নেই যে এই মেলায় পাওয়া যায় না । মেলাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় বাংলাদেশের হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী, যা বাঙালির ধারক ও বা হোক হিসেবে বিবেচিত । বৈশাখী মেলা বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। পহেলা বৈশাখ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয় মূলত আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। নববর্ষের উপলক্ষে বৈশাখ মাসের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন শহর গ্রামের বিভিন্ন স্থানে এ মেলা বসে। মেলার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই । নতুন বছরের মানুষের আনন্দ অনুভূতির প্রকাশ ঘটে বৈশাখী মেলা মাধ্যমে।
মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠান বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন করা হয় খেলা গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বলি খেলা, নৌকা খেলা , ইত্যাদি। মেলা মূলত খোলা আকাশের নিচেই বসে । এছাড়া গ্রামের হাট-বাজারে নদীর তীরে মন্দির প্রাঙ্গণে এ মেলা বসে। নানা জাতের কুটির শিল্প খেলা সহ অনেক রকম পূর্ণসংহার ঘটে মেলায় এছাড়াও থাকে যাত্রাপালা, পুতুল নাচ, নাগরদোলা সার্কাসহ, বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার পাওয়া যায় । নতুন কে বরণ করা উদ্দেশ্যে এই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলা উপলক্ষে জাতি ধর্ম বর্ণ গাত্র নির্বিশেষে সকলের মিলন মেলা পরিণত হয় । তাই সব দিক থেকে বৈশাখী মেলার গুরুত্ব অপরিসীম । বাঙালি তার ঐতিহ্য লালন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা লাভ করে । পহেলা বৈশাখ কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, মাসের পর মাস গড়িয়ে আছে পহেলা বৈশাখ। চৈত্র অবসানে বর্ষ হয় শেষ আসে নতুন বছর নববর্ষ । পুরাতন বছরের জীর্ণ ক্লান্ত রাত্রির অন্তিম প্রহর সমাপ্ত হয় । নতুন দিনের কাছে আমাদের অনেক প্রত্যাশা দুঃখ জয়ের । কৃষিভিত্তিক আমাদের এই দেশের সব আনন্দ উৎসবে নিবিড় রয়েছে ফসলের সঙ্গে । তাই পহেলা বৈশাখে বাঙালিরা অতীতে সুখ দুঃখ ভুলে নতুন আহব্বানে সারা দেয় । নতুন কে গ্রহণ করার জন্য উদ্দীপ্ত হয় । পহেলা বৈশাখ কে নববর্ষ বলা হয় ।