রমজান মাসে রোজা রাখা আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে বান্দার উপর ফরজ করা হয়েছে। রোজা রাখা যেমন ফরজ ঠিক তেমনি রোজার নিয়ত করাও ফরজ। শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সবল প্রত্যেক নর-নারীর উপর রোজা রাখা কে ফরজ করা হয়েছে। শুধু রোজা রাখলেই হবে না রোজা রাখার পূর্বে রোজার নিয়ত অবশ্যই করতে হবে। আজকের পোস্টে আমরা রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা দুইভাবেই আপনাদের সামনে তুলে ধরব। সেই সাথে রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত কিভাবে করবেন অথবা আরবীতে রোজার নিয়ত করা জরুরী কিনা সবকিছু সম্পর্কে আলোচনা করব।
রোজার নিয়ত করার নিয়ম
রোজার নিয়ত করা যেমন ফরজ কথাটি ঠিক তেমনি ভাবে রোজার নিয়ত আরবিতে করতে হবে এটা কোন বাধ্যবাধকতা নেই। নিয়ত হচ্ছে মনের ব্যাপার, মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করলেই নিয়ত হয়ে যায়। তাই আলাদাভাবে রোজার জন্য আরবিতে নিয়ত করার দোয়া না পড়লেও হবে। তবে যদি কেউ আরবিতে নিয়ত করার দোয়া পড়ে তাতে কোন ক্ষতি হবে না। মনে রাখতে হবে যে নিয়ত করা জরুরি কিন্তু নিয়ত পড়া জরুরি নয়।
যদি কোন ব্যক্তি রোজা করার জন্য সঠিক সময়ে সেহরি খেয়ে রোজা পালন করেন তাহলেই তার রোজা হয়ে যাবে।
রোজার নিয়ত বাংলা
রোজা রাখার জন্য আরবিতে রোজার নিয়ত করার জরুরি নয় তাই আপনি আপনার নিজের ভাষায় রোজার নিয়ত করতে পারবেন। যেহেতু আমরা বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করি তাই রোজা নিয়ত করার ক্ষেত্রেও আমরা বাংলাতে নিয়ত করতে পারব। নিচে বাংলায় রোজার নিয়ত লেখা হলো-
রোজার নিয়তের বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের আপনার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ করলাম। তুমি আমার পক্ষ থেকে আমার রোজা কবুল করো নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্ব জ্ঞানী।
রোজার নিয়ত আরবি
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার কাফফারা করার নিয়ম
রোজার কাফফারা করার প্রসিদ্ধ নিয়ম হচ্ছে তিনটি। প্রথম নিয়মটি হচ্ছে গোলাম আজাদ করা বা দাস মুক্ত করা, দ্বিতীয় নিয়ম হচ্ছে ৬০ জন মিসকিনকে অথবা অসহায় ব্যক্তিকে দুই বেলা ভালোভাবে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ান এছাড়াও সর্বশেষ উপায়টি হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে ৬০ টি রোজা পালন করা। এগুলো হচ্ছে রোজার কাফফারের নিয়ম কিন্তু রোজা কাজা করার ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে একটি রোজার পরিবর্তে একটি রোজা রাখা।
রোজার মাসের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সমূহ
এই মাস এবাদতের মাস তাই রমজান মাসে যত বেশি ইবাদত করা হয় তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি সওয়াব হয়। প্রত্যেক এবাদতের ক্ষেত্রেই সাধারণত রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসে এবাদত করলে যা সওয়াব হয় রমজান মাসে এবাদত করলে 70 গুণ বেশি সওয়াব হয়।
- রোজা হচ্ছে ইসলামের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ
- রমজান মাসে আল্লাহ পাক জান্নাতে দরজা খুলে দেন
- পক্ষান্তরে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেন
- এ মাসে আল্লাহ পাক শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন
- পবিত্র কুরআন পাঠ করলে অতিরিক্ত সব হয়
- লাইলাতুল কদর অর্থাৎ শবে কদর পালন করা হয় এ মাসেই
- রমজান মাসে দোয়া কবুল হয়
- জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস
- আল্লাহ তায়ালার নিকট থেকে ক্ষমা পাওয়ার মাস
- আল্লাহ পাক সৎকাজের প্রতিদান বাড়িয়ে দেন
- হজের সওয়াব পাওয়া যায় এ মাসে