|
যোহরের নামাজ কয় রাকাত |
যোহরের নামাজ কয় রাকাত, যোহরের নামাজের শেষ সময়, যোহরের নামাজের সময়, যোহরের নামাজের নিয়ম, যোহরের নামাজ ও যোহরের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে আমাদের আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। আশা করছি যারা যোহরের নামাজের পরিপূর্ণ নিয়ম এবং কয় রাকাত নামাজ আদায় করতে হয় এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা একটা পরিপূর্ণ ধারণা পাবেন। মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ফরজ করা হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে যোহরের নামাজ হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়াক্ত। যোহরের ওয়াক্তের নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ। কেউ যদি এই ওয়াক্তের নামাজ বাদে তাহলে তাকে গুনাহগার হতে হবে। আজকের পোস্টে যোহরের নামাজের নিয়ম, যোহরের নামাজ কত বা কয় রাকাত, যোহরের নামাজের শেষ সময়, যোহরের নামাজ ও যোহরের নামাজের নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
যোহরের নামাজের ওয়াক্তের সময় । যোহরের নামাজ কয় রাকাত
যোহরের নামাজ কয় রাকাত তা জানবো তার আগে যোহরের নামাজের ওয়াক্তের সময় সম্পর্কে জেনে নেই। দুপুরে সূর্য পশ্চিম দিক হেলে পড়লেই মূলত যোহরের নামাজের সময় শুরু হয়। অর্থাৎ সূর্য যদি মাথার উপর থেকে পশ্চিম আকাশের দিকে হালকা হেলে পড়ে তাহলেই যোহরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাবে। আর আসরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময় থাকে। ধারণা করা হয় শীতকালে মোটামুটি সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যোহরের নামাজের সময় থাকে আর গরমকালে আর একটু বেশি।
যোহরের নামাজ কয় রাকাত । যোহরের নামাজ কত রাকাত
তাই বেশি ভনিতা না করে আমরা সরাসরি মূল আলোচনা করে নেই তারপরে বাকি আলোচনা করব। যোহরের নামাজ 10 রাকাত সঙ্গে দুই রাকাত নফল নামাজ যুক্ত করলে হবে 12 রাকাত।
যোহরের নামাজ মোট ১২ রাকাত
- প্রথমে চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা
- এরপর চার রাকাত ফরজ নামাজ
- তারপর দুই রাকাত সুন্নত নামাজ
- এবং সর্বশেষ দুই রাকাত নফল নামাজ
যোহরের নামাজের নিয়ম । যোহরের নামাজ কত রাকাত
বাকি নামাজ এভাবে আদায় করতে হয় ঠিক একইভাবে যোহরের নামাজ ও আদায় করতে হবে।যোহরের নামাজের জন্য আলাদা কোন নিয়ম নেই। প্রথমে চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা অন্যান্য চার রাকাত সুন্নত নামাজ যেভাবে আদায় করা হয় সেভাবেই আদায় করতে হবে। এরপর চার রাকাত ফরজ নামাজ এটার জন্য আলাদা নিয়ম নেই। প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য সূরা মেলাতে হবে এবং দ্বিতীয় দুই রাকাতে শুধুমাত্র সুরা ফাতেহা পাঠ করে নামাজ আদায় করতে হবে। অর্থাৎ সকল চার রাকাত ফরজ নামাজ যেভাবে আদায় করা হয় এটাও একই ভাবে আদায় করতে হবে। নিচে ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব যোহরের নামাজের নিয়ম বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার জন্য।
যোহরের নামাজের নিয়ত ।যোহরের নামাজ কত রাকাত
যোহরের নামাজ কয় রাকাত সেটা জেনেছি এবার অন্য একটি বিষয় জানবো। আমরা ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি যে নামাজ পড়ার পূর্বে আরবিতে একটি নিয়ত বলতে হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এটি একটি ভুল ধারণা। কারণ নিয়ত অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা পোষণ করা। যদি আমরা মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করে নামাজ আদায় করে ফেলে তাহলেও নামাজ হয়ে যাবে এর জন্য আলাদা করে আরবিতে নিয়ত এর দোয়া পড়তে হবে না। তবে যদি কেউ আত্মতৃপ্তির জন্য আরবিতে নিয়ত করে তাতে কোন সমস্যা নেই। যেহেতু আরবিতে নিয়ত করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই বাংলায় নিয়ত করাই ভালো। তো বাংলায় নিয়ত করার ক্ষেত্রে যখন যেই নামাজ আদায় করবে সেই নামাজের নিয়ত করবে। যেমন যদি কেউ যোহরের চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় করতে চায় সেক্ষেত্রে মনে মনে বলবে আমি কেবলামুখী হয়ে যোহরের চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার। আবার যদি কেউ একইভাবে ফরজ নামাজ আদায় করে সে ক্ষেত্রেও সে মনে মনে বলবে আমি কেবলামুখী হয়ে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি আল্লাহু আকবার।
যোহরের নামাজের ফজিলত । যোহরের নামাজ কয় রাকাত
যোহরের নামাজ কয় রাকাত ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি এখন এর ফজিলত সম্পর্কে জানব। যোহরের নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বেশ কিছু হাদিস রয়েছে। একে একে আপনাদের সামনে সে হাদিসগুলো তুলে ধরছি ইনশাআল্লাহ।
হযরত উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (স) এরশাদ ফরমাইছেন, যে ব্যক্তি যোহরের পূর্বে চার রাকাত ও যোহরের পর চার রাকাত নিয়মিত পড়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে দোযখের আগুনের উপর হারাম করে দেন। (নাসায়ী)
আবু মুসলিম (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আবূ উমামা (রাঃ)এর খেদমতে হাজির হলাম। তিনি মসজিদে উপস্থিত ছিলেন। আমি আরজ করলাম যে, আমার নিকট এক ব্যক্তি আপনার পক্ষ হতে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, আপনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে এই এরশাদ শুনেছেন, যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করে অতঃপর ফরজ নামায পড়ে, আল্লাহ তায়ালা তার ঐ দিনের ঐ সমস্ত গোনাহ যা চলাফেরার দ্বারা হয়েছে, যা হাতের দ্বারা করেছে, যা কানের দ্বারা হয়েছে, যা চক্ষু দ্বারা করেছে এবং ঐ সমস্ত গোনাহ যেগুলির খেয়াল তার অন্তরে পয়দা হয়েছে সবই মাফ করে দেন? হযরত আবূ উমামা (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি এই কথা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হতে কয়েক বার শুনেছি। (তারগীবঃ আহমদ)
হযরত উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (স) এরশাদ করিয়াছেন, যে কোন মুমিন বান্দা যোহরের পর চার রাকাত পড়ে ইনশাআল্লাহ জাহান্নামের আগুন তাকে কখনও স্পর্শ করবে না। (নাসায়ী)
হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এই এরশাদ করতে শুনেছি যে, সূর্য ঢলার পর যোহরের পূর্বে চার রাকাত তাহাজ্জুদের চার রাকাতের সমতুল্য। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও এরশাদ করেছেন, এই সময় সমস্ত জিনিস আল্লাহ তায়ালার তসবীহ পাঠ করে, অতঃপর কুরআনের আয়াত তেলাওয়াত করেছেন, যার অর্থ এই যে, ছায়াযুক্ত জিনিসগুলো ও তাদের ছায়া (সূর্য ঢলার সময়) বিনয়ের সাথে আল্লাহ তায়ালাকে সেজদা করতঃ কখনও একদিকে কখনও অপরদিকে ঝুকে পড়ে। (তিরমিযী)
যোহরের চার রাকাত সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাজ পড়ার নিয়ম
বলেছিলাম যে যোহরের নামাজ এর নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করব তাই প্রথমে আমরা সুন্নতে মুয়াক্কাদা চার রাকাত নামাজ আদায় করার নিয়ম ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
সর্বপ্রথম অজু করে পাক পবিত্র হয়ে নামাজের নিয়ত করে পবিত্র স্থানে দাঁড়াতে হবে। এবং মনে মনে নিয়ত করতে হবে আমি ক্যাবলামুখী হয়ে যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি।
এরপর দুই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়া আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে পুরুষরা নাভি বরাবর আর মেয়েরা বুকের উপর হাত বাঁধবে। আর অবশ্যই বাম হাতের উপর ডান হাত রাখতে হবে।
হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে যেমন সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক
এরপর আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতে হবে।
সূরা ফাতিহা পড়া শেষ হলে এটার সঙ্গে আরো একটি যে কোন সূরা পাঠ করতে হবে।
সূরা পড়া হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম আর তা হবে তিনবার অথবা পাঁচ বার অথবা সাতবার অবশ্যই বিজোড় সংখ্যক তাসবীহ পড়াই উত্তম।
রুকু থেকে উঠে বলতে হবে “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলতে হবে “রব্বানা লাকাল হামদ”।
এরপর সরাসরি সিজদায় চলে যেতে হবে এবং সিজদাতে পড়তে হবে “সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা” তিনবার অথবা পাঁচবার অথবা সাতবার অবশ্যই বিজোড় সংখ্যক তাজবি পড়ার সবচেয়ে উত্তম।
প্রথম সিজদা শেষ করে সোজা হয়ে বসতে হবে (সোজা হয়ে না বসলে ওয়াজিব তরফ ফর বা ওয়াজিব হুকুম অমান্য করার জন্য নামাজ বাতিল হতে পারে যদি সাহু সিজদা না দেওয়া হয়) এরপর দ্বিতীয় সেজদায় যেতে হবে এবং করতে হবে “সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা”।
দ্বিতীয় সেজদা শেষে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
পূর্বের এক রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে হবে তবে দ্বিতীয় রাকাতে পূর্বের রাকাতের ন্যায় সানা পড়তে হবে না। কেননা শুধু মাত্র প্রথম রাখাতেই ছানা পড়তে হয়।
পূর্বের এক রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে না দাঁড়িয়ে বসতে হবে বসা অবস্থায় তাশাহুদ পড়তে হবে।
তাশাহুদ পড়া হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে এবং পূর্বের ন্যায় আবারও দুই রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে। দুই রাকাত নামাজ আদায় করা হয়ে গেলে শেষের রাকাতের শেষের সেজদা শেষে উঠে বসতে হবে।
আবারও তাশাহুদ পড়তে হবে তাশাহুদ পড়া হলে দরুদ শরীফ পড়তে হবে দরুদ শরীফ পড়া হলে দোয়ায়ে মাসুরা পড়তে হবে অর্থাৎ এক বসাতে তাশাহুদ দরুদ শরীফ এবং দোয়ায়ে মাসুরা তেলাওয়াত করতে হবে।
তাশাহুদ দরুদ শরীফ দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করা হয়ে গেলে ডান দিকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফেরাতে হবে এবং আবারও বাম দিকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি।চার রাকাত নামাজের ক্ষেত্রে ফরজ এবং সুন্নতের বেলায় নিয়মের হালকা পার্থক্য রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে ফরজ নামাজের বেলায় শুধুমাত্র প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য সূরা মেলাতে হয় পরের দুই রাকাতে মেলাতে হয় না। এই নিয়ম অনুসরণ করে আমাদেরকে যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু ফরজ নামাজ আমরা জামাতের সাথে আদায় করি আর সেটাই আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে হুকুম করা হয়েছে তাই আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজে জামাতের সঙ্গে আদায় করার জন্য।
যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম । যোহরের নামাজ কয় রাকাত
অন্যান্য সুন্নত নামাজ যেভাবে আদায় করে যোহরের সুন্নত নামাজের আদায় করার নিয়ম একই রকম।
সর্বপ্রথম অজু করে পাক পবিত্র হয়ে নামাজের নিয়ত করে পবিত্র স্থানে দাঁড়াতে হবে। এবং মনে মনে নিয়ত করতে হবে আমি ক্যাবলামুখী হয়ে যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি।
এরপর দুই হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়া আল্লাহু আকবার বলে হাত বাঁধতে হবে পুরুষরা নাভি বরাবর আর মেয়েরা বুকের উপর হাত বাঁধবে। আর অবশ্যই বাম হাতের উপর ডান হাত রাখতে হবে।
হাত বাধার পর সানা পড়তে হবে যেমন সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলাহা গাইরুক
এরপর আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করতে হবে।
সূরা ফাতিহা পড়া শেষ হলে এটার সঙ্গে আরো একটি যে কোন সূরা পাঠ করতে হবে।
সূরা পড়া হয়ে গেলে আল্লাহু আকবার বলে রুকুতে যেতে হবে। সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম আর তা হবে তিনবার অথবা পাঁচ বার অথবা সাতবার অবশ্যই বিজোড় সংখ্যক তাসবীহ পড়াই উত্তম।
রুকু থেকে উঠে বলতে হবে “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ্” এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলতে হবে “রব্বানা লাকাল হামদ”।
এরপর সরাসরি সিজদায় চলে যেতে হবে এবং সিজদাতে পড়তে হবে “সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা” তিনবার অথবা পাঁচবার অথবা সাতবার অবশ্যই বিজোড় সংখ্যক তাজবি পড়ার সবচেয়ে উত্তম।
প্রথম সিজদা শেষ করে সোজা হয়ে বসতে হবে (সোজা হয়ে না বসলে ওয়াজিব তরফ ফর বা ওয়াজিব হুকুম অমান্য করার জন্য নামাজ বাতিল হতে পারে যদি সাহু সিজদা না দেওয়া হয়) এরপর দ্বিতীয় সেজদায় যেতে হবে এবং করতে হবে “সুবহানা রাব্বিয়াল আ-লা”।
দ্বিতীয় সেজদা শেষে আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে যেতে হবে।
পূর্বের এক রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত আদায় করতে হবে তবে দ্বিতীয় রাকাতে পূর্বের রাকাতের ন্যায় সানা পড়তে হবে না। কেননা শুধু মাত্র প্রথম রাখাতেই ছানা পড়তে হয়।
পূর্বের এক রাকাতের ন্যায় দ্বিতীয় রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে না দাঁড়িয়ে বসতে হবে বসা অবস্থায় তাশাহুদ, দরুদ শরীফ, দোয়ায়ে মাসুরা পড়তে হবে।
তাশাহুদ দরুদ শরীফ দোয়ায়ে মাসুরা পাঠ করা হয়ে গেলে ডান দিকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফেরাতে হবে এবং আবারও বাম দিকে আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
যোহরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার নিয়ম
ইতিমধ্যে আমরা যোহরের নামাজ কয় রাকাত সম্পর্কে জেনেছি। আমরা যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এই দুই রাকাত সুন্নত নামাজের মত করেই দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে হবে। পার্থক্য শুধু নিয়তে নামাজ শুরু করার পূর্বে মনে মনে নফল নামাজের নিয়ত করতে হবে এভাবে আমি কেবলামুখী হয়ে যোহরের দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করছে আল্লাহু আকবার।
আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল যোহরের নামাজ কয় রাকাত। আশা করছি যোহরের নামাজ কয় রাকাত সম্পর্কে জানতে পেরেছেন পাশাপাশি যোহরের নামাজ সম্পর্কে আরো অনেক তথ্য যেগুলো শেয়ার করেছি সেগুলো আপনার উপকারে এসেছে। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দান করুন।