করোনাভাইরাস অনুচ্ছেদ
এই পৃথিবীতে নানা রকম রোগ আকার ধারণ করেছে এবং অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটিয়েছে । করোনা ভাইরাস এমন একটি রোগ যা সারা বিশ্বে বিস্তার করেছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে যার নাম করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ ।করোনা ভাইরাস নামটির উৎপত্তি হয় ল্যাটিন শব্দ থেকে যার অর্থ মুকট বা হার । এই রোগ হলে শুকনো কাশি ও জ্বরের মাধ্যমে শুরু হয় এই ভাইরাসের আক্রমণ । অল্প সময়ের মধ্যে এটি ফুসফুস আক্রমণ করে ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দেয়। হাসি কাশির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় । সম্প্রীতি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী রোগী তার টিকা কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে । বাংলাদেশের টিকা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে । আশা করা যায় খুবই দূরত্ব করোনাভাইরাসের আতঙ্ক থেকে পৃথিবীর মানুষেরই রেহাই পাবে । জ্বর , গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা শুষ্ক কাশি বমিশ্বাসকষ্ট পেটে সমস্যা করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম লক্ষণ । বিশ্বজুড়ের্ এখন পর্যন্ত ৬৬ কোটির বেশি মানুষ এভাবে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৬৬ লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে । সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ১১ লাখেরও বেশি মানুষ । বাংলাদেশ এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২০ লাখ মানুষ, মৃত্যু বরণ করেছে ২৯ হাজারও বেশি মানুষ । করোনা ভাইরাস থেকে সংক্রমণ প্রতিরোধে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া , মার্কস ব্যবহার করা । ঘরে থাকা এবং নিরাপদ বজায় রাখা । করোনা ভাইরাসের অনেক রকম প্রজাতি আছে কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ছয়টি প্রজাতি মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে ।
তবে নতুন ধরনের ভাইরাসের কারণে সেই সংখ্যা এখন থেকে হবে সাতটি । সাধারণত করোনা ভাইরাসের রোগীর উপসর্গগুলো প্রকাশ পেতে পাঁচ দিন সময় নেই । মানুষের মধ্যে যখন ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের। তবে এমন ধারণা করা হচ্ছে যে নিজেরা অসুস্থ না থাকার সময় সুস্থ মানুষের দেহে ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে মানুষ । শুরুর দিকে উপসর্গ সাধারণ সর্দি জ্বর এবং ফুলোএয়ের সাথে রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া স্বাভাবিক । করোনা ভাইরাস খুবই দূরত্ব রূপান্তর ঘটে এবং তাদের বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন করতে পারে । এগুলো বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে সাধারণ সর্দি থেকে শুরু করে আরো জটিল রোগ এমন কি জীবন ঝুঁকির মত রোগ হতে পারে, যেমন নিউমোনটাইটিস বা শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ।করোনা ভাইরাস একটি ভাইরাস যা মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে । এই রোগের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয় । এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, ঘরের বাইরে গেলে ঘরে আসলে সাবান দিয়ে হাত দেওয়া, এবং সুরক্ষা মাক্স ব্যবহার করা। তাহলেই এই ভাইরাসের কবল থেকে রেহাই পেতে পারবে সারা বিশ্ব ।