মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব কিভাবে মাথা ব্যথা হয়। মাথা ব্যথায় একটি সাধারণ সমস্যা প্রায় প্রত্যেক মানুষেরই দেখা যায় আপনার দৈনিক কাজকে প্রভাবিত করতে পারে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ফলে । আপনি যখন মাঝে মাঝে এটি উপেক্ষা করেন তখন এটি গুরুতর আকার ধারণ করে । প্রতিটি মাথা ব্যথার ধরন হলো আলাদা,বিভিন্ন উপসর্গের জন্য বিভিন্ন মাত্রা লক্ষ্য করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজন হয় । বিভিন্ন ধরনের বা বিভিন্ন রকমের মাথাব্যথা কারণ হতে পারে ।
মাথা ব্যাথা একটি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় আমরা এটিকে গুরুত্ব দেই না কিছু মাথা ব্যাথা জটিল রোগের উপসর্গ গুরুত্ব না দিলে এটি মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে । স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক বয়স্ক লোক বছরে একবার মাথা ব্যাথা অনুভব করে কোন কারণ নেই । সকল মাথাব্যথা শতকরা ৯০ ভাগেই সাধারণত জটিলহীন এবং বারবার হয় । মাথা ব্যাথা কোন কারণ জানা যায়নি বা অন্য কোন রোগ বা কোন কারণ জানা যায়নি বা অন্য কোন রোগ বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমস্যার জন্য সৃষ্টি নয় ।সাধারণত মৃদু থেকে মাঝারি তীব্রতা নিয়ে মাথার উভয়ের পাশে ব্যথা করে ।মাথার উপরে চাপ, উভয়ের পাশে চাপ অনুভূত হয় ।
মাথা ব্যাথার লক্ষণ গুলি যে রকমহতে পারে । মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
- মাথার এক পাশের বা উভয় পাশে ব্যাথা হতে পারে
- ধীরে ধীরে বা হঠাৎ হতে পারে
- এক ঘন্টা থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়
- ব্যাথা আস্তে আস্তে বা ব্যাথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
মাথা ব্যথার কারণ একটি প্রাথমিক মাথা ব্যাথা মানে এই নয় যে আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যায় আছেন হয়তো আপনার মাথা ব্যথায় সংগঠনে স্থান আছে যদিও এইগুলো অর্থাৎ এই সক্রিয় হয়ে যায় বা তাদের সাথে কোন সমস্যা গুলি থাকে তখন আপনি এই মাথা ব্যাথার সমস্যাগুলো অনুভব করতে পারেন । প্রাথমিক মাথা ব্যাথা কারণ হতে পারে এমন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিচে উল্লেখ করা হবে।
- আপনার মাথার খুলি ঘিরে থাকা রক্ত স্বল্পতা
- আপনার মাথার খুলি তার পাশে স্নায়ু
- আপনার ঘাড় এবং মাথার পেশী
- আপনার মস্তিষ্কের ভিতরে কোন রাসায়নিক কার্যকলাপ
- চিন্তার মাথাব্যথা।
কিছু আনুষঙ্গিক মাথা ব্যাথা রয়েছে এগুলো সাধারণ ধরনের মাথা ব্যথার লক্ষণ করা গেছে
- টেনশনের মাথাব্যথা
- মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা
- হালকা মাথা ব্যাথা
- সাইনোসের মাথা ব্যাথা
টেনশনের মাথাব্যথা । মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথা ব্যাথা সব থেকে সাধারণ ধরনের একটি একটি এটিকে হ্যান্ড ব্যান্ড মাথা ব্যথা বলা হয় । কপালে তার পাশে হয় যেখানে আপনি সাধারণত টুপি পড়ে থাকেন । এটি সাধারণত মৃদু এবং মাঝারি হয় তবে এটি গুরুত্ব কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে ।
হালকা মাথা ব্যাথা
হালকা মাথা ব্যাথা যেমন চক্রাকারে বা কিছুক্ষণের সময়টা জুড়ে থাকে রাতে ঘুমানোর সময় এই মাথাব্যথা হয়। এই ব্যাথা সাধারণত মাথা একদিকে হয় এবং আপনার চোখের মধ্যে এবং চারপাশে জুড়ে দেখা দেয় । এই মাথা ব্যাথা কে ক্লাসটার পিরিয়ড বলা হয় ।
মাইগ্রেনের মাথা ব্যাথা
এই মাথা ব্যাথা গুলো সাধারণত মাথার এক পাশে পরিলক্ষিত হয় তাদের এই জন্য মাইগ্রেন বলা হয় এটি মূলত কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে এ মাথা ব্যথায় প্রায় দেখা দেয় উপসর্গ হিসেবে বমি বমি ভাব এবং আলোর প্রতি সমবেদনশীলতা এর সাথে থাকে ।
সাইনাসের মাথা ব্যাথা
সাইনাসের মাথা ব্যাথা সংক্রমণ তখনই হয় যখন সেগুলো ফুলে যায় এবং নালীতে থাকা এটি বন্ধ করে দিত সেলেশ মা এটি আপনার সাইনাসের চাপ বাড়ায় এবং মাথায় ব্যাথার মতো যন্ত্রণা হয় এসব কিছু লক্ষণ হলো জ্বর নাক দিয়ে জল পড়ে এবং মুখে ফোলা ভাব ।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ জানার পাশাপাশি আরো কিছু নির্দিষ্ট ধরনের মাথাব্যথা রয়েছে যা প্রাথমিক মাথা ব্যাথাহিসেবে বিবেচিত হলেও খুব বেশি পরিচিত নয় । কিন্তু এই মাথাব্যথা গুলো প্রতিটি একটি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য লক্ষণ হওয়া সম্ভব না বেশি থাকে।
- যৌন মিলনের পর মাথা ব্যাথা
- ব্যায়ামের পর মাথা ব্যাথা
- দীর্ঘস্থায়ী নিয়মিত মাথা ব্যাথা, যেমন টেনশন এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যাথা, দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন
আবার কিছু প্রাথমিক মাথা ব্যাথার উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে পারে:
- ঘুমের ধরনের পরিবর্তন
- অ্যালকোহল পান করা
- ঘুমের ভঞ্চনা করা
- মানসিক চাপ
- ভুল বসা বা ঘুমানোর ভঙ্গি
- খাবার এড়িয়ে যাওয়া
- নাইট্রেট যুক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস সহ খাদ্য আইটেম
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এগুলো তো জানলাম তার পাশে বসে আরো কিছু মধ্যম স্তরের মাথাব্যথা হলো একটি অসুস্থ লক্ষণ যার মাথা ব্যাথা সেই বুঝতে পারে মাথা ব্যাথা সংবেদনশীল স্নায়ুকে সক্রিয় করতে পারে। মধ্যম স্তরের মাথা ব্যাথা বিভিন্ন রকমের হতে পারে
- মস্তিষ্কে টিউমার
- ব্রেন টিউমার
- সংকোচন
- মস্তিষ্কের রক্ত জমাট বাধা
- জলশূন্যতা
- দাঁতের সমস্যা
- করোনা ভাইরাস সংক্রমণ
- মধ্য কানে সংক্রমণ
- উচ্চ রক্তচাপ
- কার্বন -মনোক্সাইড বিষক্রিয়া
- ব্যাথা নাশক ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার
- আতঙ্ক আক্রমণ
- স্টক
- কিছু ওষুধ
- পেনিক ডিসঅর্ডার
- মস্তিষ্কে টিউমার
- হ্যাং ওভার ইত্যাদি।
সাধারণত মাথা ব্যাথা ৪৮ ঘন্টার মধ্যে চলে যায় কিন্তু আপনি উল্লেখিত উপরের কোন সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে দেরি করবেন না তৎক্ষণা ডাক্তারের কাছে যাবেন
সময়ের সাথে সাথে মাথা ব্যাথা তীব্রতা পরিবর্তিত হচ্ছে:
- আপনি কথা বলতে অসুবিধা অনুভব করছেন , দুর্বলতা অনুভব করছেন
- নির্ধারিত ব্যাথা উপশম্য হচ্ছে না
- দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মাথা ব্যাথা আছে
- উল্লিখিত পদক্ষেপগুলো দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে
তাছাড়া মাথা ব্যাথা হলে বিভিন্ন রকমের জটিলতা দেখা দিতে পারে তীব্রতা এবং আপনার জীবনযাত্রা মান খারাপ করে দিতে পারে তবে কিছু জটিলতা আছে।
- ঘুমের অস্বাভাবিক ধরন
- দুশ্চিন্তা
- বিষন্নতা
তাছাড়া মাথা ব্যাথা যেভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে:
এটি আপনার শরীর এবং মনে যত্ন নেওয়া কে প্রতিদিনের দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা এড়াতে সাহায্য করবে। কর্মজীবনে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করুন এবং আপনার অফিসের কাজ বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার পরিবারের সাথে সময় কাটান যা আপনার আত্মাকে সমৃদ্ধ করুন উজ্জীবিত করবে এবং নিশ্চিত করবে যে আপনার অসুবিধা হচ্ছে না ।
যেগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে :
- স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
- ওষুধের উপর আপনার নির্ভরতা কমাতে হবে
- মাথা ব্যথার কারণ কি কি এবং আপনি কিভাবে সেগুলায় রাখতে পারেন তা নিয়ে নিজে থেকে বুঝতে পারবেন
আপনি মাথা ব্যাথার অপেক্ষা করতে পারেন কিন্তু যদি এটি খারাপ আকার নেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয় এটি আরো অপেক্ষা করবেন না অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের পরিবর্তে হাসপাতালে ডাক্তারদের সাথে একটি সাক্ষাৎকারের সময় ধার্য করুন সঠিক চিকিৎসা এবং রক্তের মাধ্যমে শুধুমাত্র আপনার মাথা ব্যথায় কমবে না আপনি সে উদ্দীপনা গুলোকে বুঝতে পারবেন ব্যাপার।
মাথা যন্ত্রণা অনেক প্রকারে আছে তখন কিভাবে বুঝবেন কিভাবে চিনতে হবে তার জন্য ডাক্তারের নিউরোলজি স্ট ডাক্তারের কাছে যাইতে হবে ।আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনার বুঝতে পেরেছেন মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ এবং মাথাব্যথা কে পরিহার করতে হয় ।