ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়

ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়

আসসালামু আলাইকুম আজকে আলোচনা করব ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয় বিস্তারিত| আমরা অনেকেই জানিনা ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয় তাই আজকে এই পোস্টে আলোচনা করব ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়| আপনারা কি জানেন ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয় যারা জানেন না তাদের জন্য আজকের এই আলোচনা আবার অনেকেই ভুলে থাকেন শনিবারে মারা গেলে কি হয় শুক্রবারে মারা গেলে কি হয় ইত্যাদি সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করুন। 

চলুন জেনে নেই ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয় সে সম্পর্কে। 

শুক্রবার মারা গেলে কি হয়ঃ

শুক্রবারে মারা গেলে কি হয় অনেকের মনে এরকম প্রশ্ন থাকে যে শুক্রবারে যদি মারা যায় সেই ব্যক্তি বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবে।। এই কথাটা কতটুকু সত্য সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনারা কি জানেন শুক্রবারে মারা গেলে কি হয়। অনেক মুসলমান লোক রয়েছেন যারা ভেবে থাকে শুক্রবারে মারা গেলে তিনি হিসেবে জান্নাত পাওয়া যায়। আসলে এই কথাটির কতটা ভিত্তিহীন যে শুক্রবারে মারা গেলে বিনা হিসাবে জান্নাত পাওয়া যাবে।

জেনে নিন শুক্রবারে মারা গেলে মহান আল্লাহ তা'আলা সেই বান্দার প্রতি কবরের আজাব তুলে নেয়। হযরত মুহাম্মদ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বর্ণনা করেছেন যে কোন মুসলমান ব্যক্তির জুম্মার দিনে মৃত্যু বরণ করলে নিশ্চয়ই কবরের খেতে না থেকে আল্লাহতালা তাকে বাঁচিয়ে রাখবে।

আরো পড়ুনঃ

আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩জন্ডিস হলে করনীয় কিগেম খেলে টাকা ইনকাম করার অ্যাপ

শনিবারে মারা গেলে কি হয়ঃ

আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক রয়েছে যারা হয়তো ভুলে থাকে যে শনিবার ও মঙ্গলবার গেলে অনেক কিছু হয়ে থাকে এই কথাগুলো আসলে কতটা সত্য সেই বিস্তারিত আলোচনা করব। সমাজে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা বলে থাকে শনিবার মঙ্গলবার মারা যাওয়া শুভ এবং ভালো কাজ নয়। আবার সমাজের এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা এ কথা বলে থাকে যে শনিবার ও মঙ্গলবার দিনে যেকোনো কাজ করলে সঠিক হবে না। শনিবার মঙ্গলবার কোন শুভ কাজ করা ঠিক হবে না। আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা শনিবার মঙ্গলবার নিয়েছি কথাগুলো বলে থাকি সেগুলো আসলে কুসংস্কার কথাবার্তা। তাই অবশ্যই কিছু বলার আগেই বুঝে শুনে বলতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার দিন সবগুলোই একই রকম তাই শনিবার মঙ্গলবার হবে। আবার অনেকে মনে করে থাকে শনিবার মারা গেলে কি হয়।

সমাজে যেহেতু প্রচলিত হয়েছে যে শনিবার একটি অমঙ্গল কর দিন শুভ কাজ নয় কিন্তু এই বিষয়টি একেবারে ভুল ধারণা। 

আমাদের প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিদের যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে আমল করা থাকে সে ক্ষেত্রে এগুলো কুসংস্কার কথাবার্তা আপনাকে কোন ক্ষতি করবে না। এবং আপনার কোন সমস্যাই হবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে আমল যদি থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে শনিবার মঙ্গলবার আপনি যদি মারা যান সে ক্ষেত্রে আপনার কবরে কোন আজাব হবে না। এজন্য অবশ্যই আমাদেরকে কবরের শান্তি তে থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মহান আল্লাহ তায়ালার বিধি-বিধান ইবাদত করতে হবে তাহলে আমরা পরবর্তীতে জান্নাতি হতে পারব।

ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়ঃ

সমাজে এমন কিছু লোক রয়েছেন যারা। অনেক কিছুই বলে থাকে তার মধ্যে একটি কথা বলে থাকেন সেটি হচ্ছে ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয় আবার অনেকেই জানতে চান ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়। আবার অনেকে বলে থাকেন ঈদের দিন কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি মারা যায় সে ক্ষেত্রে তার কবরের আজাব মাফ হয়ে যাবে এবং বিনা হিসেবে জান্নাত পাবে। 

এই কথাগুলো আসলে কতটা সত্য। সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আসলেই সত্য কথা এটাই যে জান্নাত পাওয়া এত সহজ নয় আপনাকে জান্নাত পেতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইবাদত করতে হবে। ঈদের দিনে মারা গেলে কি হবে এরকম কোন বিধি-বিধান নেই আল্লাহ তাআলার নিয়ম অনুসারে চলুন আপনি খুব সহজেই জান্নাতে যেতে পারবেন। তবে ঈদের দিনে মারা গেলে সে ব্যক্তি জান্নাতে যেতে পারবে এটা আসলে সত্যি নয়। 

জান্নাতে যেতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে আমল নিয়ে যেতে হবে। ঈদের দিন সম্পর্কে এ ধরনের কোন হাদিস না থাকলেও জুম্মার দিন বা শুক্রবার সম্পর্কে এ ধরনের একটি হাদিস রয়েছে শুক্রবারের দিন বা রাতে কেউ মারা গেলে তার কবরের আজাব মাফ করে দেওয়া হয়। হযরত মুহাম্মদ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণনা যে কোন মুসলমান ব্যক্তির জুম্মার দিনে মৃত্যুবরণ করলে নিশ্চয়ই কবরের হেতে না থেকে আল্লাহতালা তাকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আশা করব আপনারা সকলেই ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন ঈদের দিনে মারা গেলে কি হয়।

কবরের কয়টি প্রশ্নঃ

মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম অনুসারে প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তিকে মৃত্যুবরণ অবশ্যই করতে হবে। প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে মৃত্যুর পর কবরের তিনটি প্রশ্ন করা হবে। আমাদের প্রত্যেক মুসলমানদেরকে জানা উচিত কবরে তিনটি প্রশ্ন কি কি। 

জেনে নিন কবরের তিনটি প্রশ্ন উত্তরঃ

মান রাব্বুকা,  ওয়া মান দিনুকা, ওয়মান নাবিয়ুকা

অর্থঃ তোমার রব কে, তোমার দিন কি, তোমার নবীকে

কবরে এই তিনটি প্রশ্ন করা হবে। যেই মুসলমান ব্যক্তি ঈমান আনবে ও আমল করবে একমাত্র সেই ব্যক্তি এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। আর যারা আমল করেননি ঈমান আনেন নি তারা এই কবরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না। তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে ঈমান ও আমল করুন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত তাহলে আপনি কবরের তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।

কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়ঃ

প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তিকে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হচ্ছে একটাই সেটা হচ্ছে মহান আল্লাহ তায়ালার অনুগত হওয়া এবং মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করা। কবরের আজাব থেকে বাঁচতে চাইলে অবশ্যই প্রত্যেক মুসলমান ব্যক্তিকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।

 রমজান মাসে রোজা রাখতে হবে যাকাত দিতে হবে সামর্থ্য থাকলে হজ করতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে ইসলামের দৃষ্টিতে যা নিষেধ তা করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যে কাজগুলো করা খুবই জরুরী যে কাজটি করার কারণে আপনি জান্নাত পাবেন। তবেই আপনি কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রিয় মুসলমান ভাই ও বোনেরা আপনারা প্রত্যেকেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করুন মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম মেনে চলুন তাহলে খুব সহজেই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে আমল করতে হবে ঈমান রাখতে হবে ইবাদত করতে হবে। 

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে জানতে পেরেছি এবং আলোচনা করেছি ঈদের দিন মারা গেলে কি হয় শনিবার ও মঙ্গলবার মারা গেলে কি হয় শুক্রবার মারা গেলে কি হয় শনিবার মারা গেলে কি হয় কবরের কয়টি প্রশ্ন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।