আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনায় রয়েছে আকিকার নিয়ম কানুন ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য । সামনে কোরবানির ঈদ ও ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমরা অনেকেই বাচ্চাদের আকিকা নিয়ে ভেবে থাকি। ঈদুল আযহা সামনে রেখে আপনি আপনার সন্তানের আকিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আকিকা সুন্নতের কাজ। আকিকা করার আগে আমাদেরকে জানতে হবে আকিকা করার নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে। সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তারপর আপনি আপনার অনাগত সন্তানের জন্য আকিকা দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন।
বাচ্চাদের আকিকা করা মুস্তাহাব সুন্নত একটি কাজ। সন্তান জন্ম হওয়ার পর পশুর জবাই দিয়ে আল্লাহতালা শুকরিয়া আদায় করা হয় এজন্য আপনারা ঈদুল আযহা সামনে রেখে আকিকা করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মূলত সন্তান জন্মের ৭ দিনে পশু জবাই করাকে আকিকা বলা হয়। আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে হাদিস এর প্রতি উৎসাহিত করা হয়।
একটি সন্তানের আকিকা করার অধিকার রয়েছে। একটি সন্তানের আকিকা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও সুন্নত মোতাবেক একটি কাজ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। নবজাত সন্তানের বিপদ আপদ দূর করার জন্য আকিকা ফজিলতের বরকতময়। নবজাত সন্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা নির্দেশন হিসেবে বাবা মাকে সন্তানের জন্য দোয়া করতে হবে । আজকের আলোচনাতে একটি সন্তানের আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা থাকবে সকলে মনোযোগ দিয়ে পোস্টটি পড়ে তারপর আপনার সন্তানের আকিকা করার নিয়ত করুন।
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে আকিকার নিয়ম কানুন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে সে যেন তার তা পালন করে। নিয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল ও ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল নিয়ম করে রেখেছেন। অন্য হাদীসে আছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন বাচ্চার সঙ্গে আকিকা বিধান রয়েছে তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর অথবা পশু জবাই করুন এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দাও বুখারী হাদিস৫৪৭২
কোন দিন সন্তানের আকিকা করা উত্তম । আকিকার নিয়ম কানুন
সন্তান জন্মের ৭ দিন আকিকা করা উত্তম। এক হাদিসে ৭ দিনে আকিকা করা কথা বলা হয়েছে।
- তিরমিজি হাদিস ১৫২২
তাই যদি সম্ভব হয় সাত দিনের মধ্যে আকিকা করা উত্তম এবং সাত দিনে আকিকা করা অনেক ভালো একটি কাজ। সাত দিনের মধ্যে আকিকা করা যদি সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে ১৪ তম দিনে বা 21তম দিনে আকিকা করা ভালো। উমূল মমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন নবজাতক সন্তানের আকিকা সপ্তম দিনে করা উচিত। যদি সম্ভব না হয় তবে ১৪ দিনে এবং ২১ দিনে আকিকা করা উত্তম।
সপ্তম দিনে চতুর্থ দিনে এবং ২১ দিনের যদি আকিকা করানো সম্ভব না হয় পরবর্তীতে আকিকা করা যাবে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু উত্তম দিনে এবং ভালো দিন হিসেবে এই তিন দিনে আকিকা করানো খুবই খুবই উচিত । তাই অনাগত সন্তানের আকিকা করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই তিনটি সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো তাই চেষ্টা করবেন আকিকা দেওয়া।
আপনার সন্তানের আকিকা দেওয়ার দায়িত্ব হচ্ছে তার বাবার তবে অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করা জায়েজ রয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি অর্থের অভাবের কারণে তার সন্তানদের জন্য আকিকা করতে অক্ষম হয় তবে সন্তান বড় হওয়ার পর যদি তার আর্থিক অবস্থা উন্নতি হয় তাহলেও সে আকিকা করলে সুন্নত পূর্ণ হবে এবং বাবা-মা বরকত হবে ইনশাল্লাহ বাবা মা কি রান্না করার কারণে বড় হওয়ার পর আকিকা করলেও তার সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুওয়াত লাভের পর নিজের আকিকা নিজেই করেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর নিজের আকিকা নিজে করা জায়েজ রয়েছে।
সন্তানের আকিকার গোস্ত কারা খেতে পারে। আকিকার নিয়ম কানুন
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন আকিকার গোশত নিজে খাবে ও অন্যকে খাওয়াবে এবং কিছু সদকা করবে। আপনার সন্তানের আকিকার গোস্ত বাবা মা আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী সবাইকে খেতে পারবেন।
সুফিয়ান ইবনে উয়াইনা (রহ.) বলেছেন আমি আতা রহ কে বলতে শুনেছি যে আকিকার গোস্ত তার পরিবারে সবাই খেতে পারবে এবং হাদিয়াও দিতে পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম তা কি সদকা দিতে পারবে তখন তিনি বললেন না চাইলে তুমি খেতে পারো হাদিয়া দেওয়া যাবে ।’
(মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ৭৯৬৯; ফাতহুল বারি: ৯/৫০৭; ফাতাওয়া বাজ্জাযিয়া: ৩/৩৭০; রদ্দুল মুহতার: ৬/৩২৬; আলমাওসুআতুল ফিকহিয়্যাহ, কুয়েত: ৩০/২৭৬; তুহফাতুল মাওদুদ বিআহকামিল মাওলুদ: ৭৮)
কি ধরনের পরশু দিয়ে আকিকা করানো উচিত। আকিকার নিয়ম কানুন
আকিকা দেওয়ার ব্যাপারে কিছু নিয়ম জেনে নিন। ছেলে সন্তানের জন্য দুটি ছাগল বা ভেড়া ও মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল অথবা একটিভেরা আকিকা করা সুন্নত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন ছেলের পক্ষ থেকে সমবয়সী দুটি ছাগল এবং মেয়ে পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে আকিকা দিতে হবে। আহাম্মদ ও তিরমিজি কোরবানির জন্য বৈধ ছাগল বা দুম্বক ধরন ও বয়স দিয়ে আকিকা করতে হবে অর্থাৎ কোরবানির পশুকে সকল দোষ ত্রুটি থেকে মুক্তি করতে হবে, আকিকার ছাগল খাসি বা দুম্বাকে তার সকল দোষ ত্রুটি থেকে মুক্ত, করতে হবে যদি ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে দুটি সাগর দিয়ে আকিকা দিতে না পারে সে ক্ষেত্রে একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করানো জায়েজ রয়েছে, কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত যে ছেলে সন্তানের পক্ষ থেকে একটি দুম্বা দিয়েও আকিকা করা যায়।
আব্বাস থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হাসান ও হোসাইন এর পক্ষ থেকে একটি দুম্বা আকিকা করেছিলেন। আবু দাউদ তবে সামর্থ্যবান ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি ছাগল দিয়ে ছেলে সন্তানের আকিকা করা উচিত নয়। ছেলে সন্তানের আকিকার জন্য দুটি ছাগল বা দুম্বা আকিকা করা খুবই জরুরী।
আকিকা পশু ও সংখ্যা। আকিকার নিয়ম কানুন
গরু, ছাগল, মহিষ, উট, ভেড়া এসব দিয়ে আকিকা করতে হবে। আকিকার পশু কোরবানির পশুর মতই সুস্থ সবল তরুণটিহীন হতে হবে। হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত রয়েছে যে রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম তাদেরকে ছেলের জন্য সমবয়সী দুটি ছাগল এবং মেয়ের জন্য একটি ছাগল দিয়ে আকিকা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আকিকার মাংস বিতরণের নিয়ম জেনে নিন। আকিকার নিয়ম কানুন
কোরবানির গোস্তের মতই আকিকার গোস্ত আমরা কোরবানির গোশত যেভাবে নিজেরা খায় এবং আত্মীয়-স্বজনদের খেতে দেই গরিব মিসকিন তাদেরকে খেতে দেয় ঠিক আকিকার গোশত আপনি একটি নিয়মে খেতে পারবেন আত্মীয়-স্বজনকে দিতে পারবেন এবং গরিবদের সদকা দিতে পারবেন। তবে কোরবানির গোশতকে যেমন তিন ভাগে ভাগ করা জরুরি নয় এক ভাগ নিজে খেতে হবে একভাগ সদকা ও এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনকে উপহার হিসাবে দিতে হবে। গোস্তকে সেই নিয়ম অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা। আকিকার গোস্ত যদি সম্পূর্ণভাবে রান্না করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব ও অন্যান্য মুসলমানদের তা খাওয়ার জন্য দাওয়াত করে তবে যথেষ্ট হবে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে উপহারের আশায় শুধুমাত্র ধনী ও সম্পত্তির ব্যক্তিদের আমানত জানিয়ে দরিদ্র ও অভাবগ্রস্থদের প্রত্যক্ষণ না করা হয় যা আমাদের দেশের অধিকাংশ সমাজে বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠানে হয়ে থাকে তবে কিছু লোক সন্তানের জন্মদিনে যে অনুষ্ঠান করে বা প্রতি বছর শিশুর জন্মদিন নিষেধ। বাচ্চার জন্মদিন পালন করা এ বিষয়ে ইসলামে শরীয়তে কোন দলিল নেই। সুন্নত মোতাবেক আপনি আপনার সন্তানের জন্য আকিকা করানো উত্তম। ভুলেও কখনো জন্মদিন পালন করতে যাবেন না জন্মদিন পালন করা একেবারে নিষিদ্ধ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে, যে কেউ আমাদের ধর্মে এমন কিছু সৃষ্টি করেছেন যা আমাদের ধর্মের অংশ নয় তাকে প্রত্যাখ্যান করা বোকারী এক এটি শুধু বিদায়েত নয় অমুসলিম অধর্মীয় খ্রিস্টান ইত্যাদি তাদের এসব কাজ বাচ্চাদের জন্মদিন পালন করা। মুসলমানদের জন্মদিন পালন করা একদম নিষেধ।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুসরণ করবে সে উক্ত জাতির অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
আকিকার গোস্ত খাওয়া। আকিকার নিয়ম কানুন
কারো কোন বাধা নেই আকিকার গোস্ত খেতে। আকিকার গোস্ত নিজেরাই খেতে পারবেন। অন্যদেরকেও খাওয়ানো যাবে।
গরু দিয়ে আকিকা করা যাবে কিনা জেনে নিনঃ
রাসুল সাঃ এর যুগে সব ধরনের প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল । আকিকা করার জন্য গরুর দিয়ে আকিকা করার কোন নিয়ম নেই হাদিসে। গরু দিয়ে আকিকা করার কোন নিয়ম নেই সেহেতু আকিকা করার জন্য ছাগল বা দুম্বা দিয়ে আকিকা করা উত্তম। একদল আলেমদের মতে গরু দিয়ে আকিকা করা জায়েজ হবে। শর্ত হলো গরুর সাথে আকিকাকে সন্তানের পাশে থাকতে হবে। পক্ষান্তরে কোন কোন আলেম বলেছেন যে সাত সন্তানের পক্ষ থেকে গরু দিয়ে আকিকা দেওয়া জায়েজ হবে। সাত সন্তানের পক্ষ থেকে গরু আকিকা হওয়ার কথা হাদিসে পাওয়া যায়নি। আকিকা একটি ইবাদত তাই হাদিসে বর্ণিত এবাদত অনুযায়ী করা উচিত।
কোরবানির অংশে আকিকার দেওয়ার নিয়ম
আমাদের দেশে ব্যাপকভাবে পরিচালিত যে সাত ভাগে গরু দিয়ে কোরবানি করার ক্ষেত্রে আকিকার অংশদার হওয়ার নিয়ম রয়েছে। এটি হাদিসে সম্পদ নয় একটি গরু দিয়ে যদি একজন সন্তানের আকিকা করা যদি ঠিক না হয় তাহলে কোরবানির গরুর সাথে ভাগে আকিকা করা সঠিক হওয়া প্রশ্নই আসে না। কোরবানির গরুর সাথে আকিকা করার কোন প্রশ্নই আসে না। কোরবানির গরুর সঙ্গে আকিকা করার কোন বিধান নেই। তাই আকিকা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই খাসি ছাগল আকিকা দিতে হবে। হাদিসের সাথে এই বিষয়ে একমত নয়।
আকিকা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকলে তার করণীয় কি
উপরে উল্লেখিত বিষয় বলা হয়েছে যে আকিকা দিতে না পারলে বা আর্থিক অবস্থা না থাকলে দরিদ্র এইরকম যদি কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আর্থিক অবস্থা উন্নয়ন হওয়ার পর আপনি আকিকা দিতে পারবেন। তবে আকিকা অবশ্যই দিতে হবে । যত তাড়াতাড়ি আকিকা দেওয়া যায় ততই ভালো তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আকিকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আর যদি কারো সামর্থ্য না থাকে সেক্ষেত্রে আকিকা না দিলেও কোন গুনাহ হবে না। অবশ্যই আমাদেরকে মনে রাখতে হবে । আকিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট তিনটি সময় হচ্ছে সপ্তম দিনে ১৪ ও দিনে ও ২১ দিনে আকিকা করানো উত্তম তাই এই সময়ের মধ্যে আকিকা দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আকিকার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিনঃ
শিশুর বাবা-মার উদারতা আকিকার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে থাকে। আত্মীয়-স্বজন গরিব এতিম এদের মধ্যে গোস্ত বিতরণের আত্মীয়তার হক আদায় করা যায়। আপনার ত অনাগত শিশুর জন্য সবাই দোয়া করবেন। আকিকাকে নতুন জীবন দান করার ফলে আল্লাহতালা নবজাতকে আসা সমস্ত বিপদ আপদ দূর করতে সাহায্য করে থাকেন। তাই আকিকা দেওয়া উত্তম।
আকিকা সম্পর্কে কুসংস্কার কিছু কথা জেনে নেইঃ
আকিকা দেওয়ার পশুর মূল্য তার দাদার বাড়ি থেকে দিতে হয়। আকিকার গোস্ত বাবা-মা দাদা-দাদি নানা-নানী খেতে পারবে না। বাচ্চার চুল কমানোর সময় মাথার তালুতে ক্ষুর রাখতে হবে এবং আকিকা পশু জবাই করতে হবে এসব তো সংস্কার কথা থেকে অবশ্য আমাদের দূরে থাকতে হবে। আপনার সন্তানের কল্যাণের জন্য আকিকা করানো হয়। তাই আকিকা কেন্দ্র করে কোন অনুষ্ঠান নাচ-গান ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে।
আকিকার পশুর চামড়া । আকিকার নিয়ম কানুন
আকিকার পশুর চামড়া বাজারে বিক্রি করার পর বিক্রেতার টাকাগুলো গরিব মিসকিনদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে হবে। আকিকার মাধ্যমে নবজাত বাচ্চার বাবা মা দানশীলতা প্রকাশ পায়। গরিব এতিম আত্মীয় স্বজনের মধ্যে গোশত বিলি বন্টনের মাধ্যমে আত্মীয়তার হক আদায় করা।
নবজাত বাচ্চার জন্য সবাই দোয়া করবেন।