|
জন্ডিস হলে করনীয় কি |
জন্ডিস হলে করণীয় কিঃ
জন্ডিস হলে করনীয় কি ও জন্ডিস এর লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি কখন বুঝবেন আপনার শরীরের জন্ডিস হয়েছে যখন চোখ ও প্রসবের রং হলুদ দেখা যাবে তখনই বুঝতে হবে আপনার শরীরের জন্ডিস হয়েছে। সাধারণভাবে আমরা চোখ ও প্রসাব এর দুইটা মধ্য দিয়ে জন্ডিস ধরতে পারি। জন্ডিসের আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
চলুন জেনে নেই জন্ডিস হলে করনীয় কি এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে।
জন্ডিস কত প্রকার ও কি কিঃ
জন্ডিস কত প্রকার ও কি কি সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। সাধারণত জন্ডিস হচ্ছে তিন প্রকার এই তিন প্রকারের জন্ডিস সচলচল মানুষের শরীরে প্রভাব বিস্তার করে থাকেন তাই চলুন জেনে নেই জন্ডিস কত প্রকার ও কি কি।
জন্ডিস কত প্রকার ও কি কি দেখে নিনঃ
- অবস্ট্রাকটিভ জন্ডিস
- হেমোলাইটিক জন্ডিস
- হেপাটোসেলুলার জন্ডিস
জন্ডিসের লক্ষণ জন্ডিসের প্রতিকার জন্ডিস কি বাহিত রোগ জন্ডিস কেন হয় সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা কর। জন্ডিস হলে করণীয় কি জন্ডিস হলে খাবার তালিকা সম্পর্কে থাকুন।।
জন্ডিসের ইংরেজি নাম কি জন্ডিসের মাত্রা ও জন্ডিস টেস্ট নামঃ
এখন আলোচনা করব জন্ডিসের ইংরেজি নাম কি জন্ডিসের মাত্রা জন্ডিস টেস্ট নাম সম্পর্কে। জন্ডিস এর ইংরেজি নাম হল Jaundice জন্ডিসের মাত্রা উঠানামা করে। যখন জন্ডিসের মাত্রা কম থাকে তখন রোগী বুঝতে পারে না যে তার জন্ডিস হয়েছে কিন্তু যখন জন্ডিসের মাত্রা বেড়ে যায় তখন রোগীর মাঝে উপসর্গগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে।
আপনি জন্ডিস কম থাকা অবস্থায় আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। যদি জন্ডিস অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায় তাহলে সেটা অনেক বিপদজনক হয়ে দাঁড়াবে তাই অল্প থাকতেই চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করুন।
জন্ডিস টেস্ট নাম| জন্ডিস হলে করনীয় কি
- Serum Bilirudin
- Senm Bilirubin
- Serum Bilirudin
- SGPT
- SGOT
জন্ডিস এর লক্ষণ কিঃজন্ডিস হলে করনীয় কি
জন্ডিস হলে করনীয় কি তা তো জানলাম এবার জানবো এর লক্ষণসমূহ সম্পর্কে। এখন সময় সকাল দশটাএখন আলোচনা করব জন্ডিসের লক্ষণ কি জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে। আমরা অনেকেই বলে থাকি মারাত্মক একটি রোগ আবার অনেকেই বলে থাকি জনটি সাধারণ একটি রোগ এটা আসলে সত্য যে জনটি সাধারণ একটি রোগ কিন্তু এই সাধারণ একটি রোগ মনে করে আমরা অনেকেই এই জন্ডিসকে অবহেলা করে থাকি।
এটা একদমই ঠিক নয় কারণ যেকোনো রোগ ছোট হোক বা বড় হোক এবং ভালো-মন্দ দেখে তারপর চিকিৎসা করাতে হবে। জন্ডিস সাধারণ একটি রোগ কিন্তু তারপরও একে অবহেলা করা কখনো ঠিক না কারণ আপনি যেকোনো রোগ যদি অবহেলা করে থাকেন সে ক্ষেত্রে মারাত্মক বিপদ হতে পারে তাই আমি বলব জন্ডিস হলে অবশ্যই চিকিৎসা করানো দরকার । জন্ডিস হলে অবশ্যই চিকিৎসা করেন অবহেলা করবেন না।
আপনার শরীরে জন্ডিস হয়েছে কিনা কিভাবে বুঝবেন। সাধারণত ঝন্টুস হলে যে সকল লক্ষণ দেখে আপনি বুঝে নিবেন যে আপনার শরীরের জন্ডিস হয়েছে চলুন জেনে নেই।
নিচে উল্লেখ্য করা হবে আপনার শরীরে জন্ডিস হয়েছে কিনা কি কি লক্ষণ গুলো সেগুলো জেনে নিন।
জন্ডিস এর লক্ষণ কি কি জেনে নিনঃ
দুর্বলতাঃ
আপনার শরীরের জন্ডিস হয়েছে কিনা সহজ কিছু লক্ষণ গুলো হচ্ছে। শরীর দুর্বল লাগা মাথা ঘোরানো বমি বমি ভাব ইত্যাদি । যখনি এই সমস্যাগুলো দেখা দিবে তখনই আপনি বুঝে নেবেন আপনার শরীরের জন্ডিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যাগুলো হলে আপনি যদি বুঝতে না পারেন সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিন আপনার শরীরের জন্ডিস হয়েছে কিনা।
জ্বর আসাঃ
জন্ডিসের উন্নত একটি লক্ষণ হচ্ছে জ্বর আসা। আপনার শরীরে যদি জ্বর হয় সেক্ষেত্রে আপনি বুঝে নিতে পারেন জন্ডিস হয়েছে। জন্ডিস হলে আপনার শরীরে কাঁপুনি হতে পারে অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর আসতে পারে। যদি অতিরিক্ত মাত্রায় জ্বর শরীরে হয়ে থাকে এবং চোখ ও প্রসাব। এর রং হলুদ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনাকে বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরের জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে তাই অবশ্যই জন্ডিসের চিকিৎসা করানোর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রসাব ও চোখ হলুদ হওয়াঃ
আপনার শরীরে যদি জন্ডিস হয়ে থাকে প্রদান দুটি কারণ হচ্ছে চোখ ও প্রসাদ যদি হলদে হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে। চোখ ও প্রসাবের রং যদি হলুদ হয়ে থাকে এবং এ থেকে মারাত্মক ও হতে পারে সর্ব শরীর হলুদ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জন্ডিসের চিকিৎসা করাতে হবে। খুবই মারাত্মকভাবে জন্ডিস যদি বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে সর্ব শরীর আপনার হলুদ বরণ হয়ে থাকবে তাই এইরকম সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ঘরে বসে না থেকে ডাক্তারের পরামর্শ।
বমি বমি ভাব হওয়াঃ
আপনার শরীরের যদি জন্ডিস হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার বমি বমি ভাব হবে এবং বমি হতে পারে এই লক্ষণগুলো দেখলে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে আপনার শরীরের জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে। সাধারণত যখন আপনার শরীরের জন্ডিসের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্র আকার হচ্ছে তখন অতিরিক্ত বমি হতে পারে।
পেটব্যথাঃ
জন্ডিসের লক্ষণ বোঝার আরও একটি সহজ উপায় হচ্ছে পেটব্যথা করা। যদি পেটে ব্যাথা হয়। এবং অতিরিক্ত মাত্রা পেট ব্যাথা করে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে বুঝে নিতে হবে জন্ডিসের সমস্যা রয়েছে আবার অনেকেই এ কথা বলতে পারে যে পেটে ব্যাথা হতেই পারে কিন্তু কিভাবে বুঝবে জন্ডিস হয়েছে হয়তো টেনশন না করে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে জেনে নিন পেট ব্যথার কারণে আপনার হয়েছে কিনা।
জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার জন্ডিসের খাবার জন্ডিস হলে করনীয় কি
ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে জন্ডিস কত প্রকার জন্ডিসের ইংরেজি নাম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এখন আলোচনা করব জন্ডিসের লক্ষণ প্রতিকার জন্ডিসের খাবার জন্ডিস হলে করণীয় কি সে সম্পর্কে।
চলুন জেনে নেই জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রতিকার জন্ডিসের খাবার জন্ডিস হলে করণীয়।
লেবুর রসঃ ডাক্তারের পরামর্শ হচ্ছে এবং ডাক্তাররা বলে থাকেন যদি শরীরের জন্ডিস হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে লেবুর রস খেতে হবে।। লেবুর রসের রয়েছে প্রাকৃতিক গুনাগুন তাই লেবুর রস জন্ডিসকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকেন ডাক্তার অনুযায়ী নিয়মিত লেবুর রস খাওয়ার অভ্যাস করুন জন্ডিস দূর করার জন্য।
টমেটো রসঃ জন্ডিস হলে যে খাবার খেতে পারেন টমেটোর রস জন্ডিসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই নিয়মিত টমেটোর রস খেতে পারেন টমেটোর রস খাওয়ার কারণে যদি দূর হয়ে যাবে টমেটোর রসকে বলা হয় জন্ডিসের খাবার।
মুলার পাতাঃ খুব ভালো একটি উপায় হচ্ছে জন্ডিস দূর করার মুলার পাতার রস খেতে পারেন। জন্ডিস দূর করার জন্য যতগুলো পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে খুবই মূল্যবান একটি উপায় হচ্ছে মুলার পাতার রস।
আখের রসঃ খুব সহজ দূর করতে পারবেন আখের রস খেয়ে। জন্ডিস হলে আখের রস খেতে পারেন জন্ডিস দূর করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপায় আছে ১৮ তাই নিয়মিত আখের রস খেতে পারেন জন্ডিস দূর করার জন্য।
ফলের শরবতঃ পারেন জন্ডিস হলে ফলের শরবত খেতে পারবেন যেকোনো রসালো ফল যেগুলো শরবত বানানো যায় সেই ফলগুলো খেয়ে আপনি আপনার শরীরের জন্ডিস দূর করে ফেলুন।
ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে আলোচনা করা হয়েছে জন্ডিসের লক্ষণ কি জন্ডিসের প্রতিকার করণীয় ইত্যাদি সম্পর্ক।
আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন জন্ডিস হলে করনীয় কি এখন আলোচনা করব জন্ডিসের চিকিৎসা ও জন্ডিসের ঔষধ সম্পর্কে।
জন্ডিসের ঔষধ ও জন্ডিসের চিকিৎসাঃ জন্ডিস হলে করনীয় কি
জন্ডিস হলে করনীয় কি সম্পর্কে অনেক কিছু বললাম । উপরে উল্লেখিত বিষয়ের মধ্যে অনেক কিছুই আলোচনা করা হয়েছে জন্ডিসের ব্যাপারে এখন আলোচনা করব জন্ডিসের চিকিৎসা ও জন্ডিসের ঔষধ সম্পর্কে। উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোতে সাধারণভাবে জন্ডিস দূর করার জন্য যে উপায়গুলো বলার বলা হয়েছে সেই উপায়গুলো অবলম্বন করে যদি জন্ডিস না কমে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ এবং ওষুধ সেবন করতে পারেন।
চলুন নিছে জেনে নেই জন্ডিসের ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে।
নিরাময় হোমিও ঔষধ খুবই কার্যকারী বলে প্রমাণিত হয়েছে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে জন্ডিস এর ঔষধ গুলো নিচের উল্লেখ করা হবে জেনে নিনঃ
জন্ডিসের ঔষধ সমূহ জেনে নিনঃ
- না ক্রো
- চায়না
- লাইকো
- চেলিডোনিয়া
- মার্কোসল
- নেট্রাম সাক্ষ ইত্যাদি
জন্ডিস হলে করনীয় কি জন্ডিসের লক্ষণ জন্ডিসের ঔষধ সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হলো।
জন্ডিস কেন হয় ও জন্ডিস কি বাহিত রোগঃ
জন্ডিস হলে করনীয় কি সেটা তো জানলাম এখন আলোচনা করব জন্ডিস কেন হয় জন্ডিস কি বাহিত রোগ সে সম্পর্কে বিস্তারিত। চলুন জেনে নেই জন্ডিস কেন হয় জন্ডিস কি বাহিত রোগ। জন্ডিস হচ্ছে ভাইরাস বাহিত রোগ।
হেপাটাইটিস এ, বি, সি, ডি ই এই ভাইরাস গুলো লিভারের যদি প্রবাহের সৃষ্টি করে তখন জন্ডিসের লক্ষণ বোঝা যায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন জন্ডিস কি বাহিত রোগ।
এখন জানিয়ে দেবো জন্ডিস কি কারনে হয়। সাধারণত যেকোনো কারণেই জন্ডিস হতে পারে।
জন্ডিস কেন হয়ঃ
- অতিরিক্ত মদ পান করার কারণে
- রক্তে বিলেরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে
- হ্যাম্যলাইটিক এনিমিয়া
- হেপাটো সেরুরাল ইত্যাদি।
আজকের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে জন্ডিসের লক্ষণ কি জন্ডিস কি বাহিত রোগ জন্ডিস কেন হয় জন্ডিসের ইংরেজি নামটি সেল ঔষধ ইত্যাদি সকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সকলে মনোযোগ দিয়ে দেখে নিন এবং আপনার শরীরের জন্ডিস দূর করে ফেলুন খুব সহজ উপায়।