পত্র লিখনঃ একটি বইমেলার বর্ণনা দিয়ে তোমার প্রবাসী বন্ধুর কাছে একখানা পত্র লেখ।
অথবা, সম্প্রতি দেখা একটি বই মেলার বর্ণনা দিয়ে তোমার ছোট ভাইকে একটি পত্র লেখ।
অথবা, তোমার দেখা একটি একুশের বইমেলার বর্ণনা দিয়ে প্রবাসী বন্ধুকে একখানি পত্র লেখ।
পত্র লিখন
22 শে মার্চ ২০২৩ ইং
ঢাকা, বাংলাদেশ ।
প্রিয় আব্দুর রহমান,
পত্রের প্রারম্ভে আমার ভালোবাসাপূর্ণ শুভেচ্ছা নিও। জানি না তোমার প্রবাসজীবন কেমন কাটছে। তোমার সান্নিধ্য বতি থেকে আমার মনে হয় আমি বন্ধুহীন হয়ে গেছি । গতকাল তোমার পত্রটি আমাকে নতুন প্রেরণা দিয়েছে। আনন্দের ভাষায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে না পারলেও এবারের একুশে বইমেলায় আমার যে অনুভূতি তা তোমাকে না জানালে যে আমি স্বস্তি পাচ্ছি না। প্রতিবছরের মতো যথারীতি ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ভাষণের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক ঝাঁক সাদা কবুতর উড়িয়ে তিনি বইমেলার উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধন শেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রধান প্রধান কিছু স্টল ঘুরে দেখলেন। প্রথম দিনে মেলা তেমন জমে ওঠে নি। দ্বিতীয় দিন থেকে মেলায় প্রচুর লোক আসতে থাকে। এবারের মেলায় প্রায় সাড়ে তিন শ স্টল ছিল। প্রত্যেকেই কিছু কিছু নতুন বই প্রকাশ করেছে। শিশু ও কিশোরদের বই ও সিডির কয়েকটি স্টল ছিল। সব স্টলেই মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষ মেলা চত্বরে বিকালে বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি ও ভাষাভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রেখেছিল। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল খুবই সুশৃঙ্খল। র্যাব সদস্যদের তৎপরতা ছিল প্রশংসনীয়। তবে গেটে লাইন ধরে লোক প্রবেশের ফলে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় লেগেছে মেলার ভেতরে ঢুকতে। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফিরে গেছে। তারপরেও বলা যায়, সার্বিকভাবে এবারের একুশে বইমেলা বেশ প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল লেখক, পাঠক, দর্শকের সমাগমে । প্রতিদিন নতুন বই এসেছে মেলায়। প্রতিদিনই বিভিন্ন টিভি চ্যানেল থেকে সংবাদ প্রতিনিধি এসেছে। রীতিমতো প্রচার মাধ্যমগুলো মেলা সম্বন্ধীয় বিভিন্ন তথ্য প্রচার করেছে। মেলার প্রতিটি স্টল ঘুরে ঘুরে আমি বেশকিছু বই কিনেছি। তোমার জন্যও কিনেছি একটা বই। একরাশ আনন্দ নিয়ে চলে এসেছি বাসায়। আজ আর নয়। সময় পেলেই লেখো। ভালো থেকো।
ইতি-
তোমারই গুণমুগ্ধ
রফিক আহমেদ