প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি |
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি । গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি সেটা সম্পর্কে আজকের আলোচনা। নববিবাহিত দম্পতিরা এ বিষয়টি সম্পর্কে অনেক উদ্বিগ্ন থাকেন। কারণ অনেকেই বিয়ে করার পর বাচ্চা নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু সময় নিতে চান।সেজন্য প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি তা জানতে চান। আবার অনেকেই এমন রয়েছে যারা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। অনেকে দেখা যায় যে বিয়ের পর প্রেগন্যান্ট হয়ে যায় কিন্তু বুঝতেই পারে না সেটা। তাই আজকে প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করছি যারা এ বিষয়টির সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তারা সঠিক সমাধান পাবেন।
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি ? গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ কি কি
অনেক মেয়েরাই এমন রয়েছে যাদের মাসিকের সময় পার হয়ে গেলেও বুঝতে পারে না কারণ অনেকের কাছে হিসাব থাকে না। কিন্তু যারা সঠিক হিসাব রাখতে পারে তারা নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর সেটা বুঝতে পারে। আর সেক্ষেত্রে তারা সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা নেয় এবং সুস্থ হয়ে ওঠে। তাই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে প্রতি মাসে মাসিকের হিসাব ঠিক মত রাখতে হবে।
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম দুই সপ্তাহের লক্ষণ হচ্ছে যে নির্দিষ্ট সময়ে অতিক্রম হয়ে গেলেও মাসিক হবে না।প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি তার মধ্যে সর্বপ্রথম লক্ষণ হচ্ছে এটি। অর্থাৎ যে সময় মাসিক হওয়ার কথা সেই সময় যদি মাসিক না হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলোর মধ্যে এটি একটি।
কি করে বুঝবেন আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি তা হল মাথা ঘুরানো, চাপ দিলে স্তনে ব্যথা অনুভব করা, বমি বমি লাগা, ক্লান্তি অনুভব করা ইত্যাদি। তবে এই লক্ষণ গুলো থাকলেই যে আপনি প্রেগন্যান্ট তা কিন্তু নয়। কারণ অনেক সময় শারীরিক অন্যান্য সমস্যার কারণে ও এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। তাই আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে পরীক্ষা করা।
এর জন্য আপনাকে যে কোন ঔষধের দোকান থেকে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করার জন্য প্রেগনেন্সি পরীক্ষার কিট কিনে আনতে হবে। পাড়া মহল্লার প্রত্যেকটা ঔষধের দোকানেই এই কিট পাওয়া যায়। তাই প্রেগনেন্সির লক্ষণ কি কি সেটা জানার আগে আপনি প্রেগন্যান্ট কিনা সেটা পরীক্ষা করে নিন।
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি । গর্ভবতী হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ
মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়াঃ প্রেগনেন্সি লক্ষণ কি কি যদি জানতে চান তাহলে বলবো সর্বপ্রথম লক্ষণ হচ্ছে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। যদি নির্দিষ্ট সময়ে আপনার মাসিক না হয় তাহলে ধরে নেওয়া যায় প্রেগনেন্সি হয়েছেন কিন্তু সব ক্ষেত্রে এটা সঠিক নয়। কোন কোন সময় শারীরিক দুর্বলতা, রক্তস্বল্পতা, ক্যালসিয়ামের অভাব ইত্যাদির কারণেও মাসিক বন্ধ হতে পারে।
শরীর দুর্বল অনুভব হওয়াঃ প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শরীর দুর্বল অনুভব হওয়া। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই যে শরীর দুর্বল হলেই প্রেগন্যান্স হয়েছে তা কিন্তু নয় কারণ শারীরিক দুর্বলতার কারণেও বা অন্য কারনেও শরীর দুর্বল অনুভব হতে পারে।
বমি বমি ভাব অথবা মর্নিং সিকনেসঃ প্রেগনেন্সি লক্ষণ গুলোর মধ্যে বমি বমি ভাব হওয়া একটি কমন লক্ষণ। প্রেগনেন্সির দুই থেকে চার সপ্তাহ পরেই এটা লক্ষ্য করা যায়। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা 14 থেকে 15 সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। যদি অন্য কোন শারীরিক সমস্যা না থাকে তাহলে ধরে নেওয়া যায় যে প্রেগনেন্সির কারণেই বমি বমি ভাব হচ্ছে।
অল্প পরিমাণে রক্তপাতঃ মাসিক বন্ধ হওয়ার পর যদি হালকা রক্তপাত বা স্পোটিং দেখা যায় তাহলে সেটাকে প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলোর মধ্যে ফেলা যায়। এটাকে বলে ভ্রূণ ইমপ্ল্যান্টেশন অর্থাৎ প্রেগনেন্স হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই লক্ষণটি দেখা যায়।
মানসিকতার পরিবর্তনঃ যদি কেউ প্রেগনেন্স হয় সেক্ষেত্রে মোট সুইং হওয়ার মত একটি লক্ষণ রয়েছে। অর্থাৎ এখনই মন ভালো আবার পরক্ষণেই মন খারাপ হয়ে যায়। আর এটাকে বলে mode swing।
ঘনঘন প্রস্রাব হওয়াঃ গর্ভবতীদের যতগুলো লক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে আরেকটি হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। ডাক্তার গুণ বলেন এ সময়ে প্রেগনেন্সির কারণে হরমোন জনিত কারণে কিডনিতে রক্ত সঞ্চালন আগের তুলনায় বেড়ে যায়। আগের তুলনায় গর্ভবতী অবস্থায় দ্রুত মূত্রথলে ভরে যায় যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়।
খাবারে অরুচি হওয়াঃ প্রেগনেন্সির লক্ষণ কি কি সেটা বলতে গেলে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে খাবারে অরুচি হওয়া। খাবারে অরুচি প্রেগনেন্সির লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি লক্ষণ। এমন একটা অবস্থা হয় যে আপনার যে খাবারটা সবচেয়ে পছন্দনীয় ছিল সেটাই খেতে ইচ্ছে করছে না। এ সময় ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায় ফলে খাবারের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হয়।
স্তন ফুলে যাওয়া বা স্পর্শকাতর হওয়াঃ অস্বাভাবিকভাবে স্তন ফুলে যাওয়া বা স্পর্শকাতর হয়ে যাওয়া প্রেগনেন্সির কি কি লক্ষণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম।