ঈদের রিটার্ন ট্রেনের টিকিট বিক্রির সময়সূচী নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে এই তথ্যটি প্রকাশ করা হয়েছে। ঈদুল আযহা ঈদ উদযাপন করে যারা আবারও রাজধানীতে ফিরে আসবেন তাদের জন্য অগ্রিম রিটার্ন টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রিটার্ন টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২০ জুন ২০২৩ ইং তারিখ থেকে। আন্তজেলার সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ছয় দিন ব্যাপী অনলাইনে রিটার্ন টিকিট বিক্রি করা হবে এই কার্যক্রমটি বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং ওয়েবসাইট এবং রেল সেবা অ্যাপে চলমান থাকবে। টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে এবার অঞ্চল ভেদে দুইটি শিফটে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ অনলাইনে টিকিট বিক্রির সময় ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয় আর এই চাপ কমানোর জন্যই দুই ধাপে টিকেট বিক্রি করা হবে।
ঈদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির তারিখ ২০২৩
এবার আমরা জানবো রিটার্ন টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোন দিন কোন তারিখের টিকিট পাওয়া যাবে। ফিরতে বা রিটার্ন ট্রেনের টিকেট কেনার জন্য ২ জুলাইয়ের টিকেট পাওয়া যাবে 22 জন, তিন জুলাই টিকেট পাওয়া যাবে 23 জুন, চার জুলাই টিকিট পাওয়া যাবে 24 জুন, ৫ জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যাবে 25 জুন, 6 জুলাইয়ের টিকিট পাওয়া যাবে 26 জুন এছাড়া ১ জুলাইয়ের টিকিট বিক্রি করা হবে 21 জুন।
সারা বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল এবং পশ্চিমাঞ্চলকে আলাদা ভাগ করে দুই শিফটে টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল আটটায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট এবং দুপুর 12 টায় বিক্রি হবে পূর্বাঞ্চলের টিকিট। আন্তজেলা ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ২৯ হাজার।
এবার ঈদের সকল টিকেট বিক্রি করা হবে অনলাইনে। একজন যাত্রী ঈদে বাড়ি যাওয়ার সময় একবার টিকিট কাটতে পারবেন এবং বাড়ি থেকে ফেরত আসার সময় একবার টিকেট কাটতে পারবেন। একটি এনআইডি কার্ডের অধীনে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কাটা যাবে সেক্ষেত্রে টিকিটের মধ্যে যারা সহযাত্রী হবে তাদের তথ্য দিতে হবে।
সকাল আটটা থেকে যে সকল ট্রেনের রিটার্ন টিকেট বিক্রি করা হবে
একতা এক্সপ্রেস (৭০৫/৭০৬), করতোয়া এক্সপ্রেস (৭১৩/৭১৪), কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (৭১৫/৭১৬), সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫/৭২৬), রুপসা এক্সপ্রেস (৭২৭/৭২৮), বরেন্দ্র এক্সপ্রেস (৭৩১/৭৩২), তিতুমীর এক্সপ্রেস (৭৩৩/৭৩৪), সীমান্ত এক্সপ্রেস (৭৪৭/৭৪৮), লালমনি এক্সপ্রেস (৭৫১/৭৫২), সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (৭৫৩/৭৫৪), মধুমতী এক্সপ্রেস (৭৫৫/৭৫৬), দ্রুতযান এক্সপ্রেস (৭৫৭/৭৫৮), পদ্মা এক্সপ্রেস (৭৫৯/৭৬০), সাগড়দাড়ি এক্সপ্রেস (৭৬১/৭৬২), চিত্রা এক্সপ্রেস (৭৬৩/৭৬৪), নীলসাগর এক্সপ্রেস (৭৬৫/৭৬৬), দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস (৭৬৭/৭৬৮), ধুমকেতু এক্সপ্রেস (৭৬৯/৭৭০), রংপুর এক্সপ্রেস (৭৭১/৭৭২), সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৭৫/৭৭৬), ঢালারচর এক্সপ্রেস (৭৭৯/৭৮০), টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস (৭৮৩/৭৮৪), বনলতা এক্সপ্রেস (৭৯১/৭৯২), পঞ্চগড় এক্সপ্রেস (৭৯৩/৭৯৪), বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫/৭৯৬), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (৭৯৭/৭৯৮), বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস (৮০৩/৮০৪) এবং চিলাহাটি এক্সপ্রেস (৮০৫/৮০৬)।
দুপুর ১২:০০ টায় যে সকল ট্রেনের রিটার্ন টিকেট বিক্রি করা হবে
সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), গোধূলি/প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭/৭০৮), পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯/৭১০), উপকূল এক্সপ্রেস (৭১১/৭১২), জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস (৭১৭/৭১৮), পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭১৯/৭২০), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৩/৭২৪), মেঘনা এক্সপ্রেস (৭২৯/৭৩০), অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫/৭৩৬), এগারোসিন্ধুর প্রভাতী এক্সপ্রেস (৭৩৭/৭৩৮), উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯/৭৪০), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩/৭৪৪), যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫/৭৪৬), এগারোসিন্ধুর গোধূলি এক্সপ্রেস (৭৪৯/৭৫০), কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩/৭৭৪), হাওড় এক্সপ্রেস (৭৭৭/৭৭৮), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮১/৭৮২), বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫/৭৮৬), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০), জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯/৮০০) এবং চট্টলা এক্সপ্রেস (৮০১/৮০২)।