দুর্নীতি জাতীয় জীবনে অভিশাপ স্বরুপ
ভাবসম্প্রসারণঃ নীতির বিরুদ্ধাচারণ-ই দুর্নীতি। অর্থাৎ প্রচলিত আইন ও নীতি-নৈতিকতাবিরোধী কাজকে দুর্নীতি বলে। জাতীয় জীবনে এ দুর্নীতি বিরাজ করলে তা জাতির সর্বনাশ ডেকে আনে। এর প্রভাবে একটি জাতির স্বপ্ন ও সম্ভাবনা অঙ্কুরেই শেষ হয়ে যেতে পারে; হারিয়ে যেতে পারে অতীত ঐতিহ্য।
সত্য ও ন্যায় পথ একটি জাতির জন্য একান্ত অপরিহার্য। কেননা, সত্য ও ন্যায়ের পথে অগ্রসর হলে অবশ্যই সে জাতির উন্নতি সহজ হয়। তাই সত্যের সাধনা জাতির প্রধান কাজ। ন্যায়নীতির পথে চলে জাতি উন্নতির শীর্ষে উঠতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব জাতি উন্নতির দিকে অগ্রসর হয়েছে, তার পেছনে কাজ করেছে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা। অন্যদিকে জাতীয় জীবনে যদি দুর্নীতির প্রবেশ ঘটে তবে সে জাতির উন্নতির পথ হয়ে যায়। রুদ্ধ। তখন জাতির সামনে নেমে আসে ঘোর অমানিশা। অন্যায় বা দুর্নীতি যে জাতির মধ্যে বিরাজ করে সে জাতি নানা অনাচারে মগ্ন হয়। ফলে লোকে জাতির উন্নতির কথা ভুলে গিয়ে নিজের সুখ, সুবিধা ও স্বার্থের কথা ভাবতে থাকে। কীভাবে অন্যকে ঠকিয়ে নিজের লাভের পরিমাণ বাড়ানো যায় দুর্নীতিবাজ মানুষ সে চিন্তাই করে। এক্ষেত্রে নিজের লোভই বড় হয়ে দেখা দেয়; অন্যের মঙ্গলের কথা লোকের ভাবনায় আসে না।
আমরা দেখি পৃথিবীর ইতিহাসে যেসব জাতি উন্নতির দিকে অগ্রসর হতে পেরেছে তার পেছনে কাজ করেছে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠা। অন্যায় বা দুর্নীতি যে জাতির মধ্যে বিরাজ করে সে জাতি নানাবিধ অনাচারে লিপ্ত হয়। যেসব জাতি দুর্নীতিতে আক্রান্ত হয়েছে সেসব জাতি কোনো দিনও উন্নতির শিখরে আরোহণ করতে পারবে না। দুর্নীতি প্রত্যেকটি জাতির বিশেষ করে মানবজাতির জীবনে অভিশাপস্বরূপ। কোনো জাতির জীবনে যদি দুর্নীতি প্রবেশ করে তবে সেখানে স্বার্থের যে খেলা চলে তাতে জাতির উন্নতির পথ বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে দুর্নীতিকে জাতীয় জীবনে অভিশাপ বিবেচনা করা হয়। এ অভিশাপ জাতির সর্বনাশ ঘটায়। মানুষের জীবনে তখন নেমে আসে চরম দুঃখ-দুর্দশা।
কোনো জাতির জীবনে যদি দুর্নীতি প্রবেশ করে তবে সেখানে স্বার্থের যে লীলা চলে, তাতে জাতির উন্নতির পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। সে কারণে দুর্নীতিকে জাতীয় জীবনে অভিশাপ বলা হয়ে থাকে। সমস্যার সমাধান তাই অত্যন্ত জরুরি।