কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিভাবে কিনবেন তার বিস্তারিত

কিস্তিতে মোটরসাইকেল

 কিস্তিতে মোটরসাইকেল

আজকের পোস্টটি তাদের জন্য যারা আমরা কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য চিন্তা ভাবনা করতেছি তাদের উদ্দেশ্য আজকে আমার এই পোস্টটি। আশা করি আপনারা পুরো ডিটেলসটি পড়ে কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে আপনাদের অনেক সহায়ক হবে বলে আমি মনে করতেছি।

বেসিক্যালি মোটরসাইকেল কেনার উপায়গুলো আমরা অনেকেই জানিনা তবে মোটরসাইকেল কেনার উপায় তিন  ধরনের ভাবে আপনি পেতে পারেন।কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য দরকারি ডকুমেন্ট বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে সঙ্গে করে ।

১.আপনার নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যক্তিগত ট্রেড লাইসেন্স বর্তমানে সরকারি আইন কঠোর থাকায় জাতীয় পরিচয় পত্র বেশিভাগ ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাছাড়া আপনি আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি  সঙ্গে নিয়ে আসতে  

২.  আপনি ব্যবসায়ী হন বা চাকরিজীবী হন তার একটা আয়ের ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে হবে । 

৩.কিস্তি কেনার আগে অবশ্যই আপনার মোটরসাইকেল কিনতে যাওয়ার আগে আপনার সর্বপ্রথম যেটা সব থেকে ইম্পোর্টেন্ট সেটা হচ্ছে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের সার্টিফিকেট থাকতে হবে তাছাড়া বর্তমানে এটি ড্রাইভিং ছাড়া  মোটরসাইকেল কেনা এক প্রকার দন্ডনীয় অপরাধ।

৪.ঠিকানা বিষয়ে ডকুমেন্ট কিস্তিতে আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার ঠিকানা দিতে হবে যেখানে আপনার প্রয়োজনে আপনার সাথে তারা যোগাযোগ করতে পারে এই ঠিকানায় প্রমাণ হিসেবে আপনাকে এক মাসের ইউটিলিটি বিলে কাগজ বলতে এখানে যা বুঝায় বিদ্যুৎ বিল পানির অথবা গ্যাসের বিল এগুলো অবশ্যই তিন মাসের মধ্যে আপনাকে পরিশোধ করে একটা ডকুমেন্ট নিয়ে  আসতে হবে । 

 ব্যাংক লোন এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার যেকোনো শোরুম থেকে শুরু করে পারেন বড় শোরুম গুলোতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের প্রতিনিধি থাকেন যাদের সাথে আপনি কথাবার্তা বলে এবং সব ব্যাপারে ডিটেলস শুনে তাদের কাছ থেকে সাহায্য  নিতে পারেন কিভাবে মোটরসাইকেল কিনতে হয় তারা আপনাকে সব কিছু পুরোপুরি জিনিসটা বুঝিয়ে দিবে নেওয়ার জন্য আপনার নূন্যতম কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে ও কাগজপত্র সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে 

কিস্তি যখন  কোন ডিলার বা কোম্পানি একটি নির্দিষ্ট ব্রান্ডের কিছু মডেলের বাইক কিস্তিতে কেনার অপশন দেন তখন অবশ্যই আপনাকে নিকটস্থ  যে কোন মোবাইল শোরুম ব্রান্ড ডিলারের সবথেকে সহজ কিস্তিতে আপনাকে মোটরসাইকেল  তারা দিতে যাবে ।

তিন ধরনের ব্যক্তি লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন: 

১.ব্যবসায়ী

 আপনার নিজস্ব কোন ব্যবসা থাকলে ওই ব্যবসায়িক ব্যাংক একাউন্টে আপনাকে প্রতি মাসে নূন্যতম পাঁচ ছয় থেকে সাত লাখ টাকা অথবা তারও বেশি সম্পন্ন করতে পারবে তবে এই ক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায়ী যে মুনাফাটাআসে  মাসে অর্থাৎ আয়ের বিবরণটা তাদেরকে দেখাতে হবে এক্ষেত্রে আপনি  দেখা যাবে বেশি টাকাও পেতে পারবেন এক্ষেত্রে  অবশ্যই আপনাকে কাগজপত্র বৈধ চলমান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি  ব্যবসায়িক লোন পেতে পারবেন আপনার কাজে ইজিলি হবে ।

২.চাকরিজীবী

 এক্ষেত্রে চাকরিজীবীরা নিজেদের ব্যাংক একাউন্টের নিয়মিত লেনদেনের একটি জমা দিতে হবে সাধারণত চাকরিজীবীদের আই এর উপর  তাদের মাসিক বেতন 15 থেকে 20 হাজারের মধ্যে হলেও  আপনি তাদের কাছ থেকে চাকরি  লোন পেতে পারেন। আপনি অবশ্যই আপনার বাইক লোন পাওয়ার উপযুক্ত হবেন।

৩. প্রপার্টির মালিক

 আপনি যদি কোন ধরনের প্রপার্টির মালিক হন সেখান থেকে আপনাকে অবশ্যই আপনার একটা মাসিক টাকা উপার্জনের ও  পরিমাণ ব্যাংকে জমা দিতে হবে এক্ষেত্রে আপনি আপনার অবশ্যই লোন নেওয়ার উপযুক্ত হবেন বলে বিবেচিত করা যায় ।তাছাড়া আপনাকে মোটরসাইকেল কিস্তিতে নেওয়ার জন্য অবশ্যই  আপনাকে ডেবিট কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে । 

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য ডাউন পেমেন্ট কত?

 আমরা অনেকেই কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার জন্য একটা জিনিস নিয়ে চিন্তিত থাকি যে ডাউন পেমেন্ট কত দিতে হবে এটা মূলত বাইকের দাম কম্পানি নিয়ম  সামর্থ  উপর নির্ভর করে থাকে । তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই দামের উপর নির্ভর করে ১৫ থেকে ২৫% ডাউন পেমেন্ট করতে হবে তবে একটা জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে আপনি ডাউন পেমেন্ট তাদের যেটা দিবে তার থেকে যখন আপনি আপনার টাকাটা একটু বেশি দেন তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে আপনার মাসিক  কিস্তির পরিমাণ  সেটা একটু পরিমাণ হলেও কমে আসবে এক্ষেত্রে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে। 

মোটরসাইকেল  কিস্তিতে নেওয়ার সর্ব নিম্ন বয়সীমা কত?

আমরা অনেকেই জানি না যে মোটরসাইকেল কিস্তিতে নেওয়ার জন্য একটা বয়স থাকা উচিত সেটা হচ্ছে আপনার বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে তাহলে আপনি আপনারকিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে পারবেন তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই বয়সসীমা ৬০ বছর ঊর্ধ্বে তারা আপনাকে কিস্তিতে মোটরসাইকেল দিবে না ।

কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার সময় কিভাবে পেমেন্ট করব?

 হ্যাঁ তবে এটাও একটা অনেক ইম্পোর্টেন্ট কথা আমরা আমাদের নগদ ছাড়াও বিকাশ রকেট বিভিন্ন একাউন্ট থেকে তাদেরকে টাকা দিতে পারব । 

মোটরসাইকেল কোম্পানি উপর আপনাকে অবশ্যই একটা রিচার্জ করে নিতে হবে?

 এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কোম্পানির মোটরসাইকেল নিতে হবে কোন কালার নিতে হবে অবশ্যই আপনাকে আগে থেকেই একটা সম্মুখ ধারণা থাকতে হবে কোন মোটরসাইকেল কত লিটার তেল দিয়ে কত মাইল যায় আগে থেকে আপনাকে মাইন্ড সেটআপ করতে হবে বর্তমানে আমাদের দেশে যেগুলো আছে সেগুলো হচ্ছে বাজার, walton, yamaha, বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির মডেল অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল আমরা কিনতে পারব কিস্তির মাধ্যমে । 

মোটরসাইকেল কেনার জন্য যে ডকুমেন্টগুলো অবশ্যই নিয়ে আসতে হবে সঙ্গে করে

১. আপনি নিজের জাতীয় পরিচয় পত্র

২. পাসপোর্ট সাইজের ছবি

৩. নমনীর পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও তার জাতীয় পরিচয় পত্র

৪. বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ বিল  পানির বিল, গ্যাসের বিল, অবশ্যই আপনাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হয়

 আশা করি আপনারা আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন যারা কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিভাবে কিনতে হয়। এবং কি কি ধরনের  পদক্ষেপ নিতে হয় এগুলো প্রসেস অনুযায়ী আপনি আপনার পছন্দের  মোটরসাইকেল নিতে পারবেন ।

manik

আমার নাম মানিক প্রামানিক। বর্তমানে আমি সিটি ইউনিভার্সিটি তে EEE বিষয়ে বিএসসি তে অধ্যায়নরত রয়েছি। টেকনোলজির প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে । লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। অবসর সময়ে বই পড়তে ভালোবাসি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads