নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি । নামাজে ভুল হলে করণীয় কি
আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনা নামাজের প্রচলিত মূল ত্রুটি নামাজের ভুল হলে করণীয় ইত্যাদি। ফরজ ইবাদত হলেও নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি সমূহ মুসলমান ব্যক্তিদের মাঝে অনেকটাই অংশের পরিলক্ষিত হয়। তাই অবশ্যই প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি গুলো পরিহার করে সহি শুদ্ধ ভাবে অবশ্যই নামাজ আদায় করা । আমরা সব সময় চেষ্টা করব সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার জন্য। আমাদের নামাজে ভুল ত্রুটি হলে তার করনীয় কি সেই বিষয়গুলো জানতে হলে আমাদের পোস্টের সঙ্গে থাকুন। নামাজের ভুল ত্রুটি সংশোধন এবং সঠিকভাবে নামাজ আদায় করার সহজ উপায় জেনে নিন।
চলুন জেনে নেই নামাজে ভুল হলে করণীয় কি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
মানুষ বলতেই ভুল তাই অবশ্যই আমাদের ভুল হতেই পারে এটা মেনে নিতে হবে কিন্তু নামাজের ব্যাপারটা পুরোপুরি আলাদা আপনাকে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে নামাজ আদায় করতে হবে। যে কোন নামাজেই ভুল হতে পারে হোক সেটি ফরজ ওয়াজিব সুন্নত এবং নফল কিন্তু সব সময় ভুল করলে চলবে না হঠাৎ বা ভুলে যাওয়ার কারণে ভুল হতে পারে ইত্যাদি সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু নিত্যদিন যদি ভুল হয় সে ক্ষেত্রে এটা আসলে আমাদের ভুল ধরা হবে তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে ধৈর্য ধরে নামাজে ফরজ সুন্নত ওয়াজিবনগর ইত্যাদি সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে কোন রকম কোন কেন ভুল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের ভুল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে। তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করা মনোযোগ না দেওয়ার কারণে ইত্যাদি ইত্যাদি তাই অবশ্যই আপনি যত ব্যস্ত থাকুন না কেন আপনাকে নামাজের সময়। মাথা ঠান্ডা করে এবং সময় নিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে। যার ফলে আমাদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম হবে আজকে আমাদের পোস্টে আলোচনা করব নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি নামাজের ভুল হলে করণীয় কি ইত্যাদি হাদিস অনুযায়ী আলোচনা করব।
- নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি ও নামাজে ভুল হলে করণীয় কি
- নামাজে ভুল হলে সাহুল সিজদাহ দেবে যেভাবে
- নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি
- ঈদের নামাজে ভুল হলে করণীয় কি
- জানাজার নামাজে ভুল হলে করণীয়
- সুন্নত নামাজে ভুল হলে করণীয়
- নামাজে কেরাত ভুল হলে করণীয়
- নামাজে ইমামের ভুল হলে মুক্তাদির কি করনীয়
- শেষ কথা নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি এবং নামাজি ভুল হলে করণীয় কি
নামাজে প্রচলিত ভুল/নামাজের প্রচলিত ভুল ত্রুটিঃ
প্রত্যেকটি মুসলমানের জন্য নামাজ অবশ্যই মুসলমান ব্যক্তিদেরকে নামাজ আদায় করতে হবে পরকালে শান্তির জন্য। নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ তথা পরিহার্য ইবাদত তাই অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে কেমন আছো নামাজে ভুল হলে নামাজ এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি মসজিদে ইমাম সাহেব নামাজ পড়তে কোন ভুল করে মুক্তাদীরা তা সংশোধন করে দিতে হবে। যদি একা নামাজ পড়তে গিয়ে ভুল হয় সে ক্ষেত্রে আমাদেরকেই তা ভুল সংশোধন করতে হবে। তাই অবশ্যই ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করতে হবে যাতে কোন ভাবে ভুল না হয় আর ভুল হলে সেটা সংশোধন করা যায় সেই ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা যেহেতু মুসলমান তাই অবশ্যই আমাদেরকে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে তাই ভুল ত্রুটি থেকে বিরত থেকে সংশোধন করে নামাজ আদায় করুন। সহি শুদ্ধ ভাবে নিয়ম অনুসারে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
আমরা জানি যে নামাজের মাধ্যমে খুব সহজ ভাবে আমরা মহান আল্লাহ তাআলার নিকট লাভ করতে পারি। নামাজের মাধ্যমে সবচেয়ে সহজে মহান আল্লাহর নৈকট লাভ করা যায়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাদিসে রয়েছে তিনি বলেছেন নামাজের ভুল সংশোধন নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ তোমরা যেমন ভুলে যাও ঠিক আমিও তেমন ভুলে যাই তাই আমি যদি ভুলে যাই তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দেবে। মুসলিম তাই শয়তানের পরিচালনায় কখনো নামাজি ভুল হলে করণীয় হিসাবে আমরা শহুর সেজদার মাধ্যমে সেই ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে পারব।
সাহু সেজদা কিভাবে দিবেন । নামাজের প্রচলিত ভুল ঃ
নামাজের ভুল ত্রুটি নামাজের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সংশোধন করার জন্য সাহস সিজদা খুবই পরিচিত এবং খুবই কার্যকারী। নামাজের প্রচলিত ভুল ত্রুটিগুলো ধরানোর জন্য সাহু সেজদা। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে সাহু সেজদা তা যদি নামাজের কোন ভুল হয় সেক্ষেত্রে এসেজ দা দিতে পারবেন। নামাজের মধ্যে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি নামাজের ভুল ত্রুটি সংশোধন করার জন্য সাহু সেজদা দিতে পারবেন। ইচ্ছাকৃতভাবে যদি কোন আমার যে ভুল হয় সেই ক্ষেত্রে সাহসের না দেওয়া ঠিক হবে না সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পুনরায় নামাজটি প্রথম থেকে আদায় করতে হবে।
সাহু সিজদা দেওয়ার নিয়মঃ
যদি নামাজ পড়তে গিয়ে বা নামাজের মধ্যে আমরা বুঝতে পারি যে নামাজে ভুল হচ্ছে সেক্ষেত্রে আপনি সাহসের দিতে পারেন। এরই নামি হচ্ছে সাহু সেজদা। নামাজ পড়ার সময় যদি বুঝতে পারেন নামাজে কোন ভুল হয়ে গিয়েছে তবে সে নামাজের শেষ বৈঠকে তা সাধু আত্তাহিয়াতু পড়ে শুধুমাত্র ডান দিকে সালাম ফেরাতে হবে। বামদিকে সালাম না ফিরিয়ে স্বাভাবিক সালাতের মত দুটি সেজদাহ করে পুনরায় বৈঠক করতে হবে বৈঠকে তা সাধুর দুরুদ শরীফ দোয়া মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরিয়ে নামাজে কার্যক্রম শেষ করতে হবে। অবশ্যই মনে রাখতে হবে আলাদা কোন দোয়া নেই
নামাজি ভুল হলে করণীয় কি সেই হিসাবে তিনটি প্রধান কারণে আপনাকে সাহু সিজদা দিতে হবে। সেই বিষয়গুলো এবং সে সম্পর্কে জেনে নিন।
কোন ওয়াজিব ছুটে গেলেঃ ওয়াজিব কাজ হচ্ছে নামাজের ভেতরে কোন বৈঠক করতে ভুলে গেলে আপনাকে সাহু সেজদাহ দিতে হবে। সুরা ফাতিহার পরে অন্য কোন সূরা পাঠ করা ওয়াজিব। ভুলক্রমে অন্য সূরা পাঠ না করলে আপনাকে নামাজ শুদ্ধ করার জন্য অবশ্যই সাহসেজদা দিতে হবে।
নামাজ বৃদ্ধি হলেঃ নামাজ বৃদ্ধি হলে আপনি যদি নামাজের ভেতরে রুকু সেজদাহ বৈঠক অতিরিক্ত করে ফেলেন অথবা রাকাত নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে বেশি পড়ে ফেলেন তাহলে আপনাকে সাহু সিজদা দিতে হবে। এই অতিরিক্ত কাজগুলোর নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটির মধ্যে অন্যতম একটি কাজ।
সন্দেহ লাগলেঃ আমাদের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে নামাজে তার মধ্যে একটি হচ্ছে নামাজের মধ্যে যদি কোন সন্দেহ মনে হয় যেমন এটা কত তোমরা কাজ রাকাত ভুলে গেলে সে ক্ষেত্রে আপনি সাহু সিজদা দিবেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে শেষ রাকাতে নামাজ শুধু করার জন্য সাহস সিজদা দিতে হবে।
সুন্নত নামাজে ভুল হলে কি করতে হবে/সুন্নত নামাজের ভুল হলে করণীয় কিঃ
নামাজের সময় বিভিন্ন ধরনের ভুল হতে পারে কারণ মানুষ বলতেই ভুল তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুন্নত নামাজ আদায় করার সময় যদি সুরা ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা পাঠ না করা হয় তবে সাহু সেজদাহ দিতে হবে। সেজদাহ সাহু হওয়ার কোন। একটি কারণ সুন্নত নামাজে পাওয়া গেলে অবশ্যই সাহ সেজদা দিয়ে সুন্নত নামাজ শেষ করতে হবে হাদিসে রয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন কেউ যদি প্রথম বৈঠকে তা সাদুর চেয়ে অতিরিক্ত কিছু পরে তবে তার সাহসীজদা দিতে হবে।
নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি। জানাজার নামাজে ভুল হলে করণীয় কিঃ
কোন রুকু বা সেজদা নাই জানাজার নামাজের চার তাকবীরে সহিত জানাজার নামাজ আদায় করতে হবে ইমাম যদি 4 তাকবীরের কম পড়ে তাহলে নামাজ হবে না কিন্তু বেশি তাকবীর দিলে নামাজ হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে কোন ওয়াজিব লংঘন হবে না জানাজার নামাজের ভুলে পঞ্চম তাকবীর দিয়ে দিলে মুসলিমগণ চুপ থাকবে। এতে নামাজ নষ্ট হবে না
ঈদের নামাজে ভুল হলে করণীয় কি । নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটিঃ
আমরা মুসলমান সবাই জানি আমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎস হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা বছরের দুইটি ঈদ আমরা পালন করে থাকি। মুসলমানদের তাই সব থেকে বড় উৎসব হচ্ছে ঈদ। নামাজের প্রচলিত ভুল ত্রুটি গুলোর মধ্যে ঈদের নামাজের ইমাম সাহেবের অনেক সময় তাকবির জনিত বিভিন্ন ভুল করে ফেলে তবে ঈদের নামাজে ওয়াজিব ছুটে গেলে সাহু সিজদা দেওয়া এত জরুরী নয়।
অধিকাংশ আলেম যে মতামত দিয়েছি এর ব্যাপারে তা হল সাধারণত ঈদের নামাজ ও জুম্মার নামাজ বড় জামাতে অনুষ্ঠিত হয় এখন সাহস সিজদাহ দিলে এই জামাতে বিস্তারিত আশংকা থাকে সেক্ষেত্রে না দিলেও নামাজ আদায় হবে কিন্তু নামাজে যদি প্রকাশিত ভুল হয় সে ক্ষেত্রে সাহসের দিতে হবে।
নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি। নামাজে ইমামের ভুল হলে মুক্তাদির করো নাকিঃ
আমরা জানি যে মানুষ বলতে ভুল মানুষের ভুল হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক তাই নামাজে ঈমানের ভুল হলে মুক্তাদির করণীয় কি সে সম্পর্কে জেনে নিন। নামাজ অবস্থায় যদি ইমাম ভুল করে ফেলে সেক্ষেত্রে মুক্তাদির অবশ্যই সেই ভুল সংশোধন করে দিতে হবে এখন কি বলে লোকমা দিলে ভালো হয় সে বিষয়ে জেনে নিন সহি হাদিস অনুযায়ী সুবাহানাল্লাহ বলে লোকমা দেওয়া উত্তম। একা দ্বারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম চার রাকাত বৈশিষ্ট্য নামাজের দ্বিতীয় রাকাতে বৈঠক না করে দাঁড়িয়ে যান তখন সাহাবায়ে কেরাম সুবহানাল্লাহ বলে লোকমা দিয়েছেন। এছাড়া
নামাজে প্রচলিত ভুল ত্রুটি শোধরানোর ক্ষেত্রে আল্লাহু আকবর বলে মুসলিমরা লোকমা দিতে পারেঃ
মহান আল্লাহতালাকে খুশি রাখার জন্য উত্তম কাজ হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা। অবশ্যই আল্লাহকে খুশি রাখার জন্য আমাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে সঠিক পথে চলতে হবে ইত্যাদি তাই অবশ্যই নামাজ মনোযোগ সহকারে পড়া উত্তম ভুল ত্রুটি সংশোধন করে নামাজ আদায় করতে হবে ধৈর্য ধরে সময় নিয়ে এবং ধীরে ধীরে নামাজ আদায় করা ভালো যার কারণে ভুল না হতে পারে উল্লেখিত বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে যদি ভুল হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে তার শোধরানোর সমাধান এবং নামাজী পর্যন্ত ভুল ত্রুটি ইত্যাদি ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা করেছে সকলের মনোযোগ দিয়ে আমাদের পোস্টের সঙ্গে থাকবেন।