ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট সম্পর্কে আমাদের আজকের আলোচনা। ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ ডায়েট চার্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটা বিষয় ক্লিয়ার করে রাখি তা হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করা মানে কম খেয়ে থাকা নয়। অথবা না খেয়ে থাকাকে ডায়েট বলা হয় না। ডায়েট হচ্ছে একটা খাদ্য পরিকল্পনা যেখানে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেটা আপনার শরীরে থাকা মেদ কমাতে সাহায্য করবে। আর সেই খাদ্য তালিকাতে পুষ্টিগুণের উপস্থিতি থাকবে। মনে রাখবেন পুষ্টিকর খাবার সঠিক পরিমাণে না খেলে কিংবা কম খেয়ে থাকলে এটা কিন্তু শরীরের উপর প্রভাব ফেলে।
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট সম্পর্কে যারা জানতে চাচ্ছিলেন তাদেরকে বলব চেষ্টা করবেন একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য। কারণ আপনার শরীরের ওজন, শারীরিক অবস্থা, উচ্চতা আরও দরকারি কিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করে আপনার ওজন কমানো প্রয়োজন রয়েছে কিনা যাচাই বাছাই করে তারপরে আপনাকে সিদ্ধান্ত দিবে। তাই ওজন কমানোর উপায় কার্যকর করতে হলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদদের সহায়তা নিতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য কতজন কত কিছুই না করে। পরিণত খাবার গ্রহণ পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ডায়েট কন্ট্রোল করা ইত্যাদি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ডায়েট করতে হলে অবশ্যই নিয়ম কানুন মেনে জেনে শুনে করতে হবে। যদি ডায়েট কন্ট্রোলের সঠিক নিয়ম না জেনে ডায়েট করতে যান হয়তোবা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই সঠিক জ্ঞান জেনে, সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করে ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চাট অনুসরণ করবেন।
এখন আমরা ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট এর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করব। আশা করছি এভাবে অনুসরণ করলে ওজন কমানোর উপায় কাজে লাগবে।
ওজন কমাতে যে সকল খাবার পরিহার করবেন
যদি ওজন কমানোর চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে আপনাকে কিছু খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে। যেমন চিনি জাতীয় যেকোন খাবার, সফট ড্রিংক, কোকাকোলা ফান্টা ইত্যাদি, তেলে ভাজা খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত মাছ, বাদাম, শুকনো ফল, ঘি, মাখন ইত্যাদি খাবার পরিহার করতে হবে। শরীরে ক্যালরির প্রধান উৎস হচ্ছে শর্করা এবং চর্বি জাতীয় খাবার। মনে রাখবেন অধিক চর্বিযুক্ত কম কেলোরির খাদ্য স্থুল ব্যক্তির ওজন দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট
- সর্বপ্রথম ওজন কমানোর ক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমের বিকল্প কিছু হতে পারে না। যদি এমন কোন পেশের সাথে যুক্ত থাকেন যেখানে শারীরিক পরিশ্রম নেই তাহলে আপনাকে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। ক্যালরি বার্ন করার জন্য শারীরিক ব্যায়ামের বিকল্প কিছু হতে পারে না।
- সকালে যা খাবেনঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, দুটো আটার রুটি, এক বাটি সবজি সিদ্ধ, এক বাটি কাঁচা শসা।
- মধ্য দুপুরে যা খাবেনঃ একটি ডিম সঙ্গে টক জাতীয় যেকোনো ফল।
- দুপুরে যা খাবেনঃ দুপুর বেলার এক কাপ ভাত সাথে মাছ বা মুরগির এক বাটি ঝোল। এক বাটি শাকসবজি, শসার সালাদ, এক বাটি ডাল এবং ২৫০ গ্রাম টক দই।
- বিকালের খাবারঃ দুধ ছাড়া চা বা কফি, মুড়ি বা বিস্কুট দুটি।
- রাতের খাবারঃ আটার রুটি দুটা, এক বাটি সবুজ তরকারি, এক বাটি ডাল, টকদই দিয়ে এক বাটি সালাদ।
- আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন যেমন: গমের আটার রুটি, লাল চাল, শাকসবজি, ডাল টক ফল ঢেঁকিতে ভাঙ্গানো চাল খেতে পারেন। আরো উল্লেখযোগ্য কিছু খাবার রয়েছে যেমন শিম জাতীয় সবজি, টমেটো, গাজর, পাতাযুক্ত শাক, মশুর ডাল, বাদা।
- ওজন কমানোর উপায় ডা আর চ্যাট অনুসরণ করা পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। একজন সুস্থ সবল মানুষ কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন রয়েছে। ঘুম শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়।
- ওজন কমানোর ডায়েট চারতো অনুসরণ করবেন কিন্তু তার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে 40 থেকে 45 মিনিট হাটাহাটি অথবা ব্যায়াম করুন।
ওজন কমানোর উপায় আরো কিছু পরামর্শ
অতিরিক্ত ওজন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কোন একটি ডায়েট চাট অনুসরণ করে নিয়মিত ওজন মাপবেন। যদি দেখেন ওজন কমছে না তাহলে নির্দিষ্ট সময় পর পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট চার্ট পরিবর্তন করতে পারেন। যাদের ওজন অলরেডি বেড়ে গেছে তাদের কমাতে একটু সময় লাগবে। অতিরিক্ত ওজন নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন না হয়ে পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কার্যক্রম অনুসরণ করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ ফল পাবেন। পরিণত খাদ্য গ্রহণ, পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুসরণ, শারীরিক ব্যায়াম সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে অনুসরণ করবেন।
মনে রাখবেন ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট অনুসরণ করার ক্ষেত্রে চিনিযুক্ত খাবার, বেশি তেলে ভাজা খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার, প্রসেসিং ফুড, ট্রান্সফ্যাট যুক্ত খাবার, প্রানিজ ফ্যাট, রিফাইন্ড করা বা চকচকে সাদা ময়দার তৈরি খাবার, মধু বা সিরাপ জাতীয় খাবার, মিষ্টি জাতীয় শুকনা ফল এবং প্রক্রিয়া জাত করা স্নাক ফুড, স্টার্চ যুক্ত সবজি (যেমন- আলু, ভুট্টা, মিষ্টি আলু) কখনই খাবেন না।
ওজন কমানোর উপায় শেষ কথা
আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট সম্পর্কে। আরো একটি পরামর্শ দিচ্ছি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করার পর কমপক্ষে দুই গ্লাস পানি পান করবেন। আর সারাদিন কর্মব্যস্ত সময়ের মাঝে মাঝে সময় পেলেই পানি পান করুন। বেশি বেশি পানি পান করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আশা করছি আমাদের আজকের ওজন কমানোর উপায় ডায়েট চার্ট পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে।