অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়ার কারণ |
মাসিক বন্ধ করার উপায় । অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়ার কারণ
আমরা মহিলারা সবাই জানি আমাদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। ঋতুস্রাব যদি অতিরিক্ত হয়ে থাকে বা অনিয়মিত হয় এই বিষয়ে অনেকে জানা নেই তাই আজকে তাদের উদ্দেশ্যে আলোচনা করব মাসিক বন্ধ করার 10 টি উপায় অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়ার ১৫টি কারণ। অতিরিক্ত ঋতুস্রাব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ভিত্তুস্রাব কেন হয় এই বিষয়ে প্রত্যেকটি মহিলার অবশ্যই ধানারা রাখা উচিত। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত ঋতুর ছাপ কেন হয়। সকল বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করব। অতিরিক্ত ঋতুস্রাব কেন হয় যদি জানতে চান তাহলে আমাদের এই পোস্টের সঙ্গে থাকুন। আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করে নিন এবং বুঝে নিন মাসিক বন্ধ হওয়ার 10 টি উপায় অতিরিকু ঋতুস্রাব হওয়ার ১৫ টি কারণ।
অতিরিক্ত ঋতুস্রাব কেন হয়ঃ
ঋতুস্রাব অতিরিক্ত কেন হয় এর কারণ গুলো জেনে নিনঃ
- মানসিক চাপের কারণে অতিরিক্তঋতুস্রাব হয়ে থাকে।
- যদি হঠাৎ করে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে পারে।
- যদি কেউ জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল ও কপার টি ব্যবহার করে থাকে তাহলে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে শরীরচর্চা যদি করা হয় অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে।
- জরায়ুর যদি টিউমার হয় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হয়।
- কোন মহিলার যদি থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে পারে।
- যেসব মা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ায় সাধারণত তাদের অতিরিক্ত ঋতুস্রাব হতে পারে।
- যারা কিশোরী রয়েছে যদি তাদের শরীরে হরমোনের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অতিরিক্ত ঋতু ছাপ হতে পারে।
মাসিক যদি ২০ দিনের বেশি হয় । যদি মাসিক ১০ দিনের বেশি হয় করণীয় কি । যদি মাসে সাত দিনের বেশি হয় করণীয় কিঃ
অনিয়মিত মাসিক হলে মাসে ১০ দিনের বেশি হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই দশ দিনের বেশি ২০ দিনের বেশি যদি মাসিক হয়ে থাকে সেসবের করণীয় কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব নিচে উল্লেখ করা হবে জেনে নিন এবং সাত দিনের বেশি যদি হয়ে থাকে।
সাধারণত যাদের 10 দিনের বেশি মাসিক হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য প্রথমে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যাগুলো আলোচনা করব।
১. অনিয়মিত ঋতুস্রাব যদি হয় তাহলে এক মাসে রক্তপাত বেশি হতে পারে। আবার অন্য মাসে রক্তপাত কম হতে পারে প্রথমে এই সমস্যাটি দেখা দেয়।
২. যদি অনিয়মিত মাসিক হয় তবে সন্তান ধরনের ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। অনিয়মিত মাসিক হলে সন্তান নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে যায়।
৩. অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ দূর তা মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকা।
৪. নিয়মিত সব হওয়ার ফলে বেশি সময় ধরে রক্তপাত হওয়া ও মানে বেশি রক্তপাত হওয়া সম্ভাবনা থাকে।
মাসিক ১০ দিনের বেশি হলে করণীয় কি জেনে নিনঃ
১. মাসিক যদি অনিয়মিত হয় এবং 10 দিনের বেশি স্থায়ী থাকে তাহলে প্রথমেই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২. যদি কখনো সাত দিনের বেশি মাসিক হয় তার করণীয় স্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের দিকে বেশি নজরদারি দিতে হবে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব কেন হয় সেহেতু আগে থেকে আমরা স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করব।
৩. অনিয়মিত মাসিক হওয়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে দুশ্চিন্তা করা এটি হচ্ছে অন্যতম কারণ। যদি কখনো অনিয়মিত বা অতিরিক্ত মাত্রায় রক্তপাত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৪. অবশ্যই অবশ্যই শরীরের ওজন ঠিক রাখতে হবে কারণ শরীরের ওজন যদি কমে যায় সে ক্ষেত্রে অনিয়মিত মাসিক হতে পারে এবং শরীরের ওজন যদি বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
৫. অনিয়মিত মাসিক হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মমতো ব্যায়াম করতে হবে। মনে রাখতে হবে ব্যায়াম যেন আপনার শরীরে অতিরিক্ত না হয়। আপনার শরীর যেই ব্যায়ামগুলো সহ্য করতে পারবে ঠিক সেই ব্যায়ামগুলো করতে হবে।
৬. মিষ্টি জাতীয় খাবার ফাস্টফুট ইত্যাদি এসব থেকে এড়িয়ে চলতে হবে এর সঙ্গে অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবেনা বেশি বেশি শাকসবজি খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়ঃ
অনেক সময় দেখা যায় অনেক মহিলাদের অতিরিক্ত মাসিক হয়ে থাকে ।অতিরিক্ত মাসিক হওয়ার সমস্যা কি দিন দিন বেড়েই চলছে । তাই অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার উপায় জেনে নিন। ঘরোয়া পদ্ধতি থেকে আমরা যেন খুব সহজে অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করতে পারি অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার জন্য অবশ্যই আমাদের কিছু করণীয় পদ্ধতি জানতে হবে চলুন জেনে নেই।
নিচে উল্লেখ্য করা হলো অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় সমূহঃ
- কাঁচা পেঁপে
- কাঁচা হলুদ
- দারচিনি
- আদা
- এলোভেরা
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
- নিয়মিত শরীরচর্চা
- শাক-সবজি ফলমূল জুস
- এসব ব্যবহার করুন অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার জন্য।
মাসিকের ব্লিডি কম হওয়ার কারণঃ
- অনেকের মাসিক হওয়ার সময় অতিরিক্ত ব্লিডিং হয়ে থাকে আবার অনেকেরই একেবারে কম হয়। এখন জেনে নিন ব্রিডিং কম হওয়ার কারণ।
- যে মহিলাদের হরমোন কম থাকে সেই মহিলাদের মাসিকের সময় ব্রিডিং কম হয়ে থাকে। তার কারণ হলো ইস্ট্রোজেন হরমোন জরায়ুর ভেতরে পুরুষত্ব বাড়ায়। অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে ও অতিরিক্ত। খারাপ খাবার খাওয়ার জন্য এই সমস্যা দেখা দেয়।
- যেসব মহিলাদের রক্ত সচলতা ও রক্তশূন্যতা সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় busin কম হয়ে থাকে।
- অতিরিক্ত টেনশন মানসিক চাপ ইত্যাদি এসবের কারণে এ মাসিকে ব্লিডিং কম বেশি হতে পারে।
- সাধারণত যারা নিয়মিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষা তাদের ক্ষেত্রে মাসিকের সময় ব্রিডিং কম হয়ে থাকে আবার দেখা যায় অনেকের অতিরিক্ত পরিমাণে হয়।