দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি ও তার প্রতিকার |
ভূমিকাঃ
বাজারে আগুন মাথায় হাত
শুন্য থলে হাতে যাচ্ছে তাজ
শুধু তাজ নয়, বাংলাদেশের হাজারো তাজ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারছে না। বেঁচে থাকার জন্যে মানুষের নানাবিধ দ্রব্য ও উপকরণের প্রয়োজন হয়। উপকরণের সবগুলো সে নিজে তৈরি করতে পারে না। জীবন ধারণের অধিকাংশ দ্রব্যই মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। মূল্যস্তর ঠিক থাকলে সে দ্রব্যটি তার আয়ের টাকায় সংগ্রহ করে জীবন ধারণা নিশ্চিত করতে পারে। দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পেলে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়, সংসার চালানো তখন কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবছরই বিভিন্ন কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
দৈনন্দিন জীবনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির চিত্রঃ
আমাদের দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি কোন আলোচিত সংবাদ নয়। বরং আজকাল দৈনন্দিন জীবনের সংবাদে পরিণত হয়েছে। মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা তথা খাদ্য, বস্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতির প্রয়োজন মিটাতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের চাহিদা পূরণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। সেই সাথে আমাদের সামাজিক, জাতীয় ও অর্থনীতিক জীবনের গতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। মানুষ প্রাত্যহিক জীবনধারণের অনেক দ্রব্যসামগ্রী ব্যবহার করে থাকে কিন্তু সেগুলাে নিজে তৈরি করে না। তারা পরস্পরে ক্রয়বিক্রয় বিনিময়ের মাধ্যমে প্রতিদিনের চাহিদা নিবারণ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যমূল্য এমনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে যা মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। গত ২০২০ থেকে ২০২২ সালের দ্রব্যমূল্যের চিত্র পর্যালােচনা করলে দেখা যায় যে প্রতিটি পণ্যের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে।
দ্রব্যমুল্যের সাথে জীবন যাত্রার সম্পর্কঃ
দ্রব্যমুল্যর সাথে জীবন যাত্রার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পেলে সমাজের দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।মানুষকে প্রতিদিনই নানাবিধ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ক্রয় করতে হয়।আর এ রুপ কেনাকাটা যদি তার আয়ের সাথে সমজতাপূর্ন্য না থাকে তবে তার দুরবস্থার সীমা থাকে না।
আমাদের দেশের বেশির ভাগ শ্রমিক, কর্মচারির আয় সামান্য। দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি পেলে এই সামান্য আয় দ্বারা জীবন নির্বাহ করা তাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাড়ায়।তখন সাধ ও সাধ্যের ব্যাপক ব্যাবধানে জীবন নেমে আসে দুর্ভোগ ও হতাশায়।পক্ষান্তরে দ্রব্যমুল্য স্থিতিশীল থাকলে তাদের জীবন থাকে স্বস্তি।
দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির ক্ষতির দিকঃ
দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধির প্রভাব সবটাই জনগণের উপর প্রভাবিত হয়।জীবনের দৈনন্দিন প্রয়োজনে কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়ে প্রয়োজনী জিনিসপত্রাদি ক্রয় করতে হয়। দেশের অধিকাংশ মানুষ সল্প আয়ের মধ্যে জীবন যাপন করে এবং তাদের পক্ষে অতিরিক্ত মুল্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করা প্রায় অসম্ভব। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের ব্যয় বরাদ্দ কমাতে থাকে।
বাজারে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে শিশুদের ভোগ্যপণ্য ক্রয়ের পরিমাণ কমছে।ফলে শিশুদের উপর যে প্রভাব পরে তাতে তাদের স্বাস্থ ঠিক থাকে না। তারা অপুষ্টির শিকার হয়। দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধির কারণে যে আর্থিক সংকটের সৃষ্টি হয়, তাতে ছাত্র ছাত্রীদের জীবনেও প্রভাব পড়ে খাদ্য, পোশাক, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে।দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধিজনিত সংকট কাটানোর জন্য অনেক অবৈধ অর্থ উপার্জনের দিকে মনোযোগী হয়।ফলে সমাজে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণঃ
বর্তমানে বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্র চলাচলের ব্যবস্থা সহজ হলেও জতিলতা মুক্ত পণ্য বাজার তৈরি হচ্ছে না। লাগামহীন এ মূল্যবৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ বর্তমান। নিম্নে এগুলাে আলােচনা করা হলাে:
মুদ্রাস্ফীতি:
মূল্যস্ফীতির চাপ যেমন সামলানো যাচ্ছে না, তেমনি নিত্যপণ্যের দামেও লাগাম টানা যাচ্ছে না। কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের আশপাশে আটকে আছে। এ কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে গিয়ে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। মজুরি সূচক ও মূল্যস্ফীতি প্রায় কাছাকাছি চলে আসছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, গত জানুয়ারি মাসে মাসওয়ারি সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)। তবে তা ডিসেম্বরের চেয়ে কিছুটা কমেছে। ডিসেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
উৎপাদন অপ্রতুলতা:
বাংলাদেশ কষিপ্রধান দেশ। এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লােক কষির উপর নির্ভরশীল। অথচ কৃষিকে আধুনিকীকরণে কোনাে পদক্ষেপ গ্রহণ হচ্ছে না। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যও কোনাে কৌশল গ্রহণ করা হয় না। ফলে মানুষের প্রয়ােজন অনুযায়ী উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং দ্রব্যমূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি:
দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়। এই স্লোগানে বাংলাদেশ অনেকটা এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও বর্তমানে প্রায় ২০ কোটি মানুষ এদেশে বসবাস করে জীবনধারণ করেছে। জনবহুল এদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ধীরে ধীরে আবাদি জমি নষ্ট করে সেখানে ঘরবাড়ি তৈরি করছে। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে এবং জনগনের চাহিদে অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হচ্ছে না। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চোরাকারবার ও চাঁদাবাজি:
অসাধু ব্যবসায়ীদের অধিক টাকার লোভে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাচার মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। চোরাই পথে বিদেশে পাচার করায় খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয় এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়। তেমনি আবার পথে পথে চাঁদাবাজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে দেয়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে এক ট্রাক মালামাল ঢাকায় পৌছাতে পুলিশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাঁদা দিতে প্রায় ট্রাকভাড়ার সমান লেগে যায়। আবার ট্রাকে মালামাল আনা-নেওয়া, মাললােড, আনলােড খাজনা খরচে অনেক টাকা ব্যয় হয়। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
কৃষি ভর্তুকির অভাব:
কৃষি উৎপাদনে ব্যবহার্য উপকরণের আকাশচুম্বী দাম হওয়ায় কৃষক প্রয়ােজনীয় উপকরণ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়। আবার সুদমুক্ত ঋণের অভাবে অনেক নিত্যপ্রয়ােজনীয় পণ্য উৎপাদন থেকে বিরত থাকেন। ফলে নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যে অপ্রতুলতা চোখে পড়ে। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
বাজার নিয়ন্ত্রণের অভাব:
উৎপাদিত পণ্যের মূল্যনির্ধারণ ও বাজার মূল্যনির্ধারণ করে তা তদারকির অভাবেও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসাধু অর্থলােভী কিছু ব্যবসায়ীর কারণে একই পণ্য বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। যার মূল কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে বাজার মনিটরিং না করা।
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল নয়। এ দেশে ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন আন্দোলন হরতাল, ধর্মঘট, মারামারি রাহাজানি, অবরােধ ইত্যাদির কারণে নিত্যপ্রয়ােজনী দ্রব্যসামগ্রী একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিতে বাধার সৃষ্টি হয়। ফলে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়।
মজুতদার ও সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য:
আমাদের দেশে অসাধু ব্যবসায়ীতে ভরপুর। তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজারে হাহাকার তুলে দেয় আর অর্থশালী কিছু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্য মজুদ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়।
খরা, বন্যা ইত্যাদির প্রভাব:
শুকনাে মৌসুমে খরা এবং বর্ষার সময় বন্যার ফলে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়। ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকে না। ফসল কম হওয়ার ফলে চাহিদা মেটানােও সম্ভব হয় না। এতে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।
সরকারের উদাসীনতা:
সরকার ইচ্ছে করলে কঠোর অধ্যাদেশ জারি করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। কিন্তু সরকারের উদাসীনতার সুযােগে ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়ে দেয়।
করারােপ:
কোন দ্রব্যে নতুন কর ধার্য করলে সে দ্রব্যের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। আমাদের মত অনুন্নত দেশে করারােপ না করে অর্থনীতির আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে সরকার কর আরােপ করেন, ফলে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যায়।
সামাজিক মর্যাদা রক্ষা:
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের মানুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের চলতে হয়। তাল মিলাতে গিয়ে তারা বিলাসিতাই গা ভাসিয়ে দেয়। এ বিলাসিতাই তাদের মধ্যে বেশি দামে দ্রব্য ক্রয়ের মানসিকতা সৃষ্টি করে। এভাবে নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিকারঃ
নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যসমূহ জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার ভেতরে রাখা সরকারের কর্তব্য। কিন্তু তা অনেক সময়ই সম্ভব হয় না। দ্রব্যের মূল্য একবার বেড়ে গেলে তা কমানাে খুবই কঠিন। তাই মূল্য যাতে না বাড়ে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া সরকারের দায়িত্ব। দ্রব্যমূল্য কমানাে বা স্থিতিশীল রাখার ব্যাপারে সরকারকে অভ্যন্তরীণ কঠোর নীতি ও আমদানি-রফতানির ভারসাম্যমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরােধের জন্য নানা উপায় বর্তমান। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরােধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিম্নে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রতিরােধে করণীয় দিক নিয়ে আলােচনা করা হলাে :
১. উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা অনুযায়ী যােগান নিশ্চিত করতে হবে।
২. জনসংখ্যাবৃদ্ধি রােধ করে সমবণ্টনের মাধ্যমে চাহিদা নিবারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মজুতদার ও ফটকাবাজদের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়ােগ করতে হবে। যাতে করে তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে।
৪. পণ্যমূল্য নির্ধারণ ও বাজার তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. কৃষি ভর্তুকি বৃদ্ধি করে কৃষকদের উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। উৎপাদন বাড়লে বাজারে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল হবে।
৬. চাঁদাবাজ ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে আইন প্রণয়ন করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ব্যবসায়ীরা যাতে ইচ্ছামতাে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য সরকার একটি নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠন করে তাদের হাতে দায়িত্ব ন্যস্ত করবে।
৮. প্রতিটি ক্রয়বিক্রয় কেন্দ্রে দ্রব্যমূল্যের তালিকা ঝুলিয়ে দিতে হবে এবং সে অনুযায়ী বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে।
৯. কৃষিপণ্য উৎপাদনে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই সঙ্গে ভালাে বীজ ও কীটনাশক সার সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
১০. পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। যাতে সহজে পণ্য সামগ্রী একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে চাহিদা পূরণ করতে সহজ হয়।
১১. সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে বিলাসিতাপূর্ণ প্রতিযােগিতার অবসান ঘটাতে হবে।
১২. একচেটিয়া বাজারকে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিযােগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
১৩. প্রয়ােজনে নতুন আইন প্রণয়ন করে কঠোরভাবে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করতে হবে।
১৪. এছাড়া মদ্রাস্ফীতি, চোরাকারবার, মজুতদারি ইত্যাদি ব্যাপারে সজাগ থাকলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রােধ করা সম্ভব হবে।
উপসংহারঃ
দৈনন্দিন জীবনে দ্রব্যমূল্য বুদ্ধি আমাদের জাতীয় সমস্যার একটি। প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য স্থিতিশীল রাখা আমাদের মত দরিদ্র দেশের জন্যে অতীব প্রয়ােজন। অনেক সময় সরকার ভর্তুকি প্রদান করে বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে প্রয়াস পায়। তবে দ্রব্যমূল্যকে স্থিতিশীল রাখার কার্যকর পন্থা হল চোরাচালানি, মজুতদারি রােধ করা এবং কঠোর হস্তে আইন প্রয়ােগ করা। যে সমস্ত কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় তা প্রতিরােধ করলেই আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হাত থেকে মুক্তি পাব। তবে দ্রব্যমূল্য হ্রাস করা সম্ভব না হলে ও সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ তা স্থিতিশীল রাখা সম্ভব।