ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন |
তবে কালের কন্ঠ পত্রিকা মারফত একটি দাবী করা হয় যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলওয়ে জংশন হতে পারে পার্বতীপুর জংশন। তাদের দাবি পার্বতীপুর জংশন এর রয়েছে চার লাইনের রেলওয়ে জংশন অন্যদিকে ঈশ্বরদীতে রয়েছে তিন লাইনের রেলওয়ে জংশন। ব্রড গেজ ও মিটার গেজ এর হিসাবে ঈশ্বরদী- তিন লাইনের কিন্তু পার্বতীপুর হচ্ছে দুই লাইনের এই দিক দিয়ে আবার ঈশ্বরদী এগিয়ে রয়েছে।
তবে যাই হোক অনলাইন অথবা সাধারণ জ্ঞানের পুস্তকগুলোতে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম রেলওয়ে জংশন হচ্ছে ইশ্বরদী জংশন।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন সম্পর্কে ইতিহাস
যখন ১৯১০ থেকে ১৯১৪ সালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল তখন সেতু চালুর পর উত্তর এবং দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্থাপিত হয়। সে সময় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ইয়ার্ড এবং সতরটি রেললাইন স্থাপন করা হয় ওই স্টেশনে।
১৯৯৯ সালে ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের কারণে এই এই রেললাইনের প্রয়োজনেতা পুনঃ নির্ধারণ করা হয়। ফলে পরবর্তীতে জয়দেবপুর থেকে জয়ন্তল পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ৯৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন ডুয়েল গেজ লাইন তৈরি করা হয়। কিন্তু সে সময় এই দ্বৈত গেস একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এপারে দ্বৈত গেছ ওপারে দ্বৈত না থাকার কারণে সমস্যার তৈরি হয়। তবে এই সমস্যা কে সমাধান করা হয়। ফলে সে সময় জাম তৈল থেকে পার্বতপুর পর্যন্ত ২৪৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল লাইনকে দ্বৈত গেজে রূপান্তরিত করা হয়।