নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ । যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়

নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ / যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়
 নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ

নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ / যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়

আসসালামু আলাইকুম আজকের আলোচনা তে রয়েছেন নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ সম্পর্কে ও যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ ও যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায় এই বিষয়ে তাই চলুন জেনে নেই নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়

অবশ্যই প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ ও যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায় এই বিষয় সম্পর্কে জানা কারণ আমরা যদি নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ ও যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয় এই কারণগুলো জানতে না পারে তাহলে আমাদের নামাজ আদায় করে কোন লাভ নেই। তাই অবশ্যই মুসলমান ব্যক্তিদের কে জানতে হবে নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ সম্পর্কে।

চলুন জেনে নেই নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ এবং যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। আশা করব আপনাদের কাছে আমাদের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগবে তাহলে চলুন।

নামাজ কবুল না হওয়ার কারণঃ

প্রত্যেকটি মুসলমানের উচিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা আমাদের মধ্যে অনেকেই নামাজ পড়ে থাকে কিন্তু নামাজ কবুল হচ্ছে কিনা সেটা আমি জানি না তাই আজকে তাদের জন্য এই আলোচনা নামাজ পড়ছেন ঠিক কিন্তু নামাজ কবুল হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে কারো ধারণা নেই। আলোচনা করব নামাজ কবুল হচ্ছে না কেন এবং নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ এবং নামাজ ভাঙ্গনের কারণ।

নামাজ কবুল হচ্ছে কিনা আমরা যদি না জানি তাহলে আমরা মারাত্মক একটি সমস্যায় রয়েছি তাই এই সমস্যা থেকে বের হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে জানতে হবে নামাজ কবুল হচ্ছে কিনা তাই আমরা যদি নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পারি তাহলে আমাদের জন্য নামাজ এবং সালাত আদায় করা ভালো হবে এবং আমরা মহান আল্লাহতালার কাছে আমাদের নামাজগুলো কবুল করাতে পারবো ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ তায়ালার ইবাদত পালন করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে জানতে হবে আমরা যে ইবাদতগুলো করছি এবং নামাজ আদায় করছি সেগুলো কবুল হচ্ছে কিনা আমরা যদি সঠিকভাবে নামাজ আদায় আল্লাহতালাকে খুশি করতে পারি এবং কবুল হওয়ার মতো নামাজ আদায় করতে পারে তাহলে আমাদের নামাজ কবুল হবে ইনশাআল্লাহ।

তাই অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে।

নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে না হওয়া

নামাজ আদায় করার সর্বপ্রথম উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহ তালাকে খুশি করা। তাই আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহতালাকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন। কথার নামাজ আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্য আদেশ করা। প্রত্যেকটি মুসলমানের সবকিছু ইবাদতের মালিক হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ তায়ালা তাই অবশ্যই মহান আল্লাহ তালাকে খুশি রাখার জন্য সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে হবে এবং এবাদত করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সবকিছু ইবাদতের মালিক

আমরা যদি অন্য কিছুর জন্য এবাদত পালন করে তাহলে এটি আল্লাহতালার সাথে শিরিক করা হবে। সমাজে এমন কিছু মুসলমান ব্যাক্তি রয়েছেন যারা মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে। মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে যার ফলে  তাদেরকে ভালো মানুষ মনে করে। তারা এমন কিছু ভাবে চেয়ে সমাজের মানুষকে সম্মান অর্জন করতে পারে যে উদ্দেশ্যে নামাজ আদায় করা হয় ইত্যাদি ইত্যাদি সেগুলো হচ্ছে শিরক। আমরা নামাজ আদায় করব ঠিক কিন্তু যদি নামাজ আল্লাহর উদ্দেশ্যে না হয় তাহলে সেই নামাজ কখনো মহান আল্লাহতালার কাছে কবুল হবে না।

সুন্নত তরিকায় নামাজ আদায় না করাঃ

একটি মুসলমানের উচিত সুন্নত তরিকায় নামাজ আদায় করা। যেকোনো ইবাদত করতে হলে আমাদেরকে অবশ্যই সুন্নত তরিকায় ইবাদত করতে হবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রদর্শিত সম্মত তরিকা অনুসরণ করে নামাজ আদায় করতে হবে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন তোমরা আমাকে যেভাবে নামাজ আদায় করতে দেখেছো  ঠিক সেইভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। সুন্নত তরিকা ভাবে যদি নামাজ আদায় না হয় সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে নামাজ কখনও কবুল হবে না।

হারাম রুজি খেয়ে নামাজ আদায় করাঃ

আমাদের যেকোনো ইবাদত কবুল হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো হালাল উপার্জনে নিজের জীবন জীবিকা নির্বাহ করা। হাদিসে রয়েছে হালাল রিজিক অন্বেষণ করা ফরজের পর আরেকটি ফরজ হালাল রুজি ভঙ্গ না করার কারণে বান্দাদের নামাজ আল্লাহ তাআলার কাছে কবুল হয় না। 

বিনয়ী  নম্রতা না থাকাঃ

আল্লাহ তাআলার প্রতি ভয় জাগত করে দেয় নামাজে বিনিয়োগ নর্মতা প্রদর্শ॥তাই অবশ্যই মুসলমান ব্যক্তিদেরকে নামাজ আদায় করতে হবে খুবই খুবই মনোযোগ সহকারে এমন ভাবে নামাজ আদায় করতে হবে যেন মহান আল্লাহতালার কাছে নামাজ কবুল হয়ে যায় আমাদেরকে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে মহান আল্লাহ তা'আলা কি ভয় পেয়ে।

 আমাদেরকে এও মনে রাখতে হবে আমরা যদি সঠিকভাবে এবং মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় না করে তাহলে মহান আল্লাহতালার কাছে আমাদের নামাজ কখনো কবুল হবে না তাই মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করতে হবে। আমরা নামাজ পড়ি ঠিক কিন্তু নামাজে যদি বিনিয়ম্রতা না থাকে তাহলে মহান আল্লাহতালার কাছে এই নামাজ কখনো কবুল হবে না।

লোকদের দেখানো ইবাদত করাঃ

সমাজে এমন কিছু মুসলমান লোক রয়েছে যারা সমাজের মানুষকে দেখানোর জন্য নামাজ আদায় করে থাকবেন কিন্তু এই নামাজ কখনো মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হবে না। আপনাকে ভয় করে না আদায় করতে হবে এতে মহান আল্লাহতালা অনেক খুশি হবেন মানুষকে দেখি ইবাদত করার কোন প্রয়োজন নেই নামাজ কখনও কবুল হবে না। প্রত্যেকটি মুসলমানকে অবশ্যই মহান আল্লাহ তা'আলা ইবাদত করতে হবে এবং মহান আল্লাহতালাকে ভয় পেতে হবে আমরা যদি পরকালে শান্তিতে ও সুখে থাকতে চাই তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহতালাকে খুশি রাখার চেষ্টা।

 যে কারণে নামাজ ভঙ্গ হয়ঃ

আমরা সকল মুসলমান ব্যক্তি এ জানি যে ইসলামের দ্বিতীয় স্থান হল নামাজ। সর্বপ্রথম আমাদেরকে ঈমান আনতে হবে তারপর নামাজ আদায় করতে হবে। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে ের গুরুত্ব অনেক অনেক বেশি তাই অবশ্যই সঠিক। প্রত্যেকটি মুসলমানের অপর নামাজ ফরজ। আমরা অনেকেই নামাজ আদায় করে থাকি কিন্তু কারো নামাজ হচ্ছে আবার কারো নামাজ হচ্ছে না তাই। আমাদেরকে ভালোভাবে জেনে তারপর নামাজ আদায় করতে হবে মহান আল্লাহতালা কি খুশি করার জন্য

  • কোন কারণ নেই আপনি যদি অযথা গলা খাগড়ানো বা গলা পরিষ্কার করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • নামাজে কথা বললে নামাজ ভেঙ্গে যায়। 
  • যদি কেউ নামাজের মধ্যে সালাম আদান-প্রদান করে ও হাঁচি আসলে এর উত্তরে যদি দোয়া করেন তাহলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • উনি ইচ্ছাকৃতভাবে ও অনিচ্ছাকৃতভাবে নামাজের কোন একটি ফরজ ছুটে গেলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • ইচ্ছাকৃতভাবে অনিচ্ছাকৃতভাবে নামাজের মধ্যে পানাহার করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। যদি আপনার দাঁতের ফাঁকে কোন ময়লা থেকে যায় বা কোন কিছু লেগে থাকে সেক্ষেত্রে বের করে ফেলা ও গিলে ফেলা কারণে নামাজ ভেঙ্গে যেতে পারে।
  • প্রত্যেক মানুষেরই দুঃখ কষ্ট থাকে কিন্তু আপনি যদি নামাজে বসে দুঃখ কষ্ট বেদনার কারণে নামাজে বসে উল্লাস করে বা চিৎকার করে কান্নাকাটি করে থাকেন সেক্ষেত্রের নামাজ ভেঙ্গে যেতে পারে।
  • জায়নামাজে বসে আপনি যদি কোরআন তেলাওয়াতের একটি অক্ষর বা শব্দ ভুলে যান এবং পাল্টে যায় সেক্ষেত্রে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
  • যদি কেউ কেবলামুখী না হয়ে নামাজ আদায় করে নামাজ ভঙ্গ হবে।
  • নামাজের মধ্যে কোরআন মাজীদ দেখে দেখে পড়া বা কোন লেখা পড়লে নামাজ ভঙ্গ হবে।
  • নামাজের মধ্যে জোরে জোরে হাসাহাসি করলে নামাজ ভঙ্গ হবে।
  • নামাজের সময় যদি অপবিত্র জায়গা সিজদা দেওয়া হয় তাহলে নামাজ ভঙ্গ হবে
  • যদি ইমামের আগে আগে মুক্তাদি নামাজে কার্যক্রম গুলো সম্পন্ন করে তাহলে সে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে। 
  • যদি কেউ এমন কিছু প্রার্থনা করা হয় যা মানুষের কাছে চাওয়া যায় এরকম প্রার্থনা করলে নামাজ ভঙ্গ হয়ে যাবে।

নামাজ না হওয়ার কারণঃ

আমরা মুসলমান ব্যক্তি অনেকেই জানিনা নামাজ না হওয়ার কারণ সম্পর্কে তাই আমাদের পোস্টে থেকে আজকে জেনে নিবেন নামাজ না। হওয়ার কারণ সম্পর্ক গুলো কি কি নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তাই অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে মহান আল্লাহতালাকে খুশি রাখার জন্য । নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত তাই অবশ্যই হাশরের ময়দানে প্রথম নামাজের হিসাব দেওয়া হবে যে ব্যক্তি নামাজ সঠিক নিয়মে দিতে পারবে সে ব্যক্তি তার সকল কার্যক্রমের হিসাব দিতে পারবে তাই আমাদেরকে নামার সঠিকভাবে আদায় করতে হবে।

  • নামাজের অশুদ্ধ পড়া নামাজের মধ্যে যদি কেউ অশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করে। তাহলে সে নামাজ কোন কবুল হবে না নামাজের মধ্যে কথা বলা নামাজের মধ্যে কোন রকমের যদি কথা বলা হয় সে ক্ষেত্রে নামাজ কবুল হবে না নামাজ চলাকালীন অবস্থায় যদি আপনি কথা বলেন সে ক্ষেত্রে আপনার নামাজ হবে না
  • নামাজের মধ্যে সালামের উত্তর দেওয়া একদিন উচিত না। 
  • নামাজের মধ্যে যদি কারো সালাম দেওয়া হয় তাহলে সে নামাজ হবে না। 
  • কেবলামুখী হয়ে নামাজ আদায় না করার কারণে নামাজ হবে না। 
  • বিনা কারণে যদি কাশি হয় সে ক্ষেত্রে নামাজ হবে না। 
  • নাপাক জায়গায় যদি সেজদা দেওয়া হয় তাহলে নামাজ হবে না। 
  • দুঃখের সংবাদ ও সুখের সংবাদ উত্তর দেওয়া নামাজ হবে না।
  • বিপদে পড়ে যদি আপনি চিৎকার করে কাঁদেন সে ক্ষেত্রে নামাজ হবে না এবং বিপদে পড়ে ভয়ে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে জোরে জোরে কান্নাকাটি করা কারণে নামাজ হবে না।
  • নামাজে যদি পান করা ও  খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে নামাজ হবে না মুক্তাদি ব্যতীত অপর লোকের লোকমা লোয়া। 
  • নামাজে বসে শব্দ করে হাসার কারণে নামাজ হবে না। 
  • নামাজে হাঁচির উত্তর দেওয়ার কারণে নামাজ হবে না। 
  • নামাজে যদি ইমামের আগে মুক্তাদির দাঁড়ায় তাহলে নামাজ হবে না। 
  • নামাজে দুনিয়াবী কোন কিছু প্রার্থনা করার কারণে নামাজ হবে না । 

নামাজ না পড়ার শাস্তিঃ

সর্বপ্রথম আমি একটি কথা বলব যে কথা হচ্ছে আমরা সকল মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ তাই অবশ্যই মুসলমান ভিত্তিদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি মহান আল্লাহতালা খুশি রাখতে হবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে বেহেস্তের চাবি হাতে নিতে হবে ইত্যাদি তাই অবশ্যই যদি ভালো থাকতে চান তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে যদি সঠিকভাবে নামাজ আদায় না করেন এবং নামাজ আদায় পড়তে চান সেক্ষেত্রে নামাজ না পড়ার শাস্তি আপনাকে ভোগ করতে হবে নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে জেনে নিন।

যদি কোন ব্যক্তি নামাজ আদায় না করে তাহলে তাকে ১৫ টি শাস্তি দেওয়া হবে। দুনিয়াতে পাঁচ ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে তিন ধরনের শাস্তি মৃত্যুর পর তিন ধরনের শাস্তি কবরে চার ধরনের শাস্তি কবর থেকে ওঠানোর পরে ইত্যাদি এভাবেই মোট 15 টি শাস্তি দেওয়া হবে নামাজ না পড়ার কারণে।

দুনিয়াতে যে শাস্তি দেওয়া হবেঃ

  • বেনামাজির চেহারা থেকে নে ককারের নূর দূর করে দে।ওয়া হবে।
  • নামাজ না পড়ার কারণে  বরকত ছিনিয়ে নেয়া হবে।
  • নামাজ না পড়ার কারণে নেক কাজের কোন বদলা দেওয়া হবে না।
  • নামাজ না পড়লে কোন দোয়া কবুল হবে না।
  • নেক বান্দাদের দোয়ার মধ্যে বেনামাজির কোন ভাবে কোন হক থাকবে না।

মৃত্যুর সময় যে শাস্তি দেওয়া হবেঃ

  • নামাজ না পড়ার কারণে মৃত্যুর সময় ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ হবে।
  • নামাজ না পড়ার কারণে মৃত্যুর সময় জিলাপি ও অপমানের সঙ্গী হবে।
  • নামাজ না পড়ার কারণে অনেকের মৃত্যু হবে পিপাসিত অবস্থায়। ঠিক যেন মনে হবে সমুদ্রের সমপরিমাণ পানি পান করলেও তা পিপাসা মিটবে না।

কবরে যে শাস্তি দেওয়া হবেঃ

মহান আল্লাহ তায়ালা বেনামাজি ব্যক্তিদেরকে একজনের পছন্দ করেন না তাই অবশ্যই যারা যারা বেনামাজি রয়েছেন তারা নামাজ পড়ার অভ্যাস করুন। পেয়ে নামাজি ব্যক্তিদের জন্য কবর ও সংকীর্ণ হয়ে যাবে যে এক পাসের বুকের হাড় অন্যপাশের বুকের সাথে এমন ভাবে চাপ দেওয়া হবে যা সহ্য করার মতো নয় বেনামাজির কবরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বেনামাজির কবরে এমন সাপ থাকবে ইত্যাদি যা আপনাকে কখনো শান্তিতে থাকতে দেবে না। কবরে সেই সাপের চোখ হবে আগুনের নখ গুলো হবে লোহার ঝাপের প্রতিটি নখ লম্বা হবে একদিনের দূরত্বের পথ।

কবরের সেই সাপের আওয়াজ হবে বর্জ্যের আওয়াজ এর মত সাম ওই বেনামাজিকে বলতে থাকবে আমাকে আমার রক্ত তোমার জন্য নিযুক্ত করেছে যাতে নষ্ট করার কারণে সূর্যোদয় পর্যন্ত দংশন  করতে থাকে।

কবর থেকে তোলার পর যে শাস্তি দেওয়া হবেঃ

  • যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করবে না সে ব্যক্তি তালার ওপর অসন্তিষ্ট থাকবে। 
  • যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করবে না তার হিসাব খুব কঠিন হবে
  • নামাজ না পড়ার কারণে বেনামাজি ব্যক্তিদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
  • নামাজ না পড়ার কারণে চেহারা তিনটি লাইন দেখা থাকবে।
  • প্রথমটি হচ্ছেঃ হে আল্লাহর হক নষ্টকারী।
  • দ্বিতীয়টি হচ্ছেঃ হে আল্লাহর গুস্তায়ও পতির ব্যক্তি।
  • তৃতীয়টি হচ্ছেঃ তুমি দুনিয়াতে যেমন আল্লাহর হক নষ্ট করেছ ঠিক তেমনি আজ আল্লাহর রহমত থেকে তুমি বঞ্চিত।

শেষ কথাঃনামাজ না হওয়ার কারণঃ

ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখিত বিষয় আলোচনা করা হয়েছে নামাজ না হওয়ার কারণ নামাজ ভঙ্গের কারণ নামাজ না পড়ার শাস্তি নামাজ কবুল না হওয়ার কারণ নামাজ না পড়ার কারণে কবরে কি শাস্তি হবে নামাজ না পড়ার কারণে মৃত্যুর পর কি শাস্তি হবে নামাজ না পড়ার কারণে দুনিয়াতে কি শাস্তি হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সকলে থেকে জেনে নিন।

শাহীন

আমি শাহীন । পেশায় একজন ব্যবসায়ী । পাশাপাশি অনলাইনে কাজ করতে পছন্দ করি। আশা করছি আমার শেয়ারকৃত তথ্য থেকে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন আর তা হলেই আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Ads

Ads