নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম |
নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম। সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম আজকের পোস্টে আলোচনা করব নামাজেরসূরা পড়ার নিয়ম ও সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম অনুযায়ী সহী ভাবে সূরা পাঠ করে নামাজ আদায় করা দরকার।
চলুন জেনে নেই নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম সুন্নত নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম সম্পর্কে।
আমাদেরকে অবশ্যই নামাজের প্রত্যেক রাকাতে সূরা পড়তে হবে প্রত্যেকটি মুসলমানের জানতে হবে যে নামাজে সূরা পড়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে নামাজে কোন সূরার পর কোন সূরা পড়তে হবে নামাজে কি ক্রমিক অনুসারে পড়তে হবে ইত্যাদি সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা কর নামাজের 11 টি সূরা যা দিয়ে সকল নামাজ পড়তে পারবেন| নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম সুন্নত নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন।
নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম। সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন সূরা ফাতিহাকে উম্মুল কুরআন নামে অবহিত করেছেন& তাই নামাজে সুরা ফাতিহা পাঠ করা আবশ্য\ এক কথায় নবীজি বলে যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পাঠ করবে না তার নামাজ হবে না| ফজরের নামাজে সূরা ফাতিহা পড়ার আবশ্যক নির্দেশন করে হাদিসে রয়েছে|
হানাফি মাযহাব ফজর নামাজে ইমাম সূরা ফাতিহা পড়লে মুক্তাদির সূরা ফাতিহা পড়া হয়ে যাবে মুক্তাদের কাজ হচ্ছে নামাজের মধ্যে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করা| মহান আল্লাহতালা কুরআনে বলেছেন যে আর যখন কোরআন পাঠ করা হয় তখন মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর ও চুপ থাকতে বলেছেন| তোমাদের প্রতি যাতে দয়া করা হয়| সূরা আরাফ204 এছাড়াও আরেক আয়াতে বলা হয়েছে যে আমি যখন তা পাঠ করি তখন সে পাটের অনুসরণ কর| নামাজের ভেতরে বা বাইরে যে কোন অবস্থায় কোরআন পাঠের সময় অনুসরণ করতে হবে|
শাফিই মাযহাবে সুরা ফাতিহা মুক্তাদির অবশ্যই পড়তে হবে এমনটি বলা হয়| এই কাজ যদি না করা হয় সেক্ষেত্রে নামাজ হবে না এই বিষয় নিয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে| হানাফিরা বলেছেন যে সূরা ফাতিহা ছাড়া নামাজ হবে না বলে যে সৃষ্টি বর্ণনা করা হয়েছে তা একাকী সালাত আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য| জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম সাহেবকে অনুসরণ করে সুরা ফাতিহা না পড়লেও চলবে অধিকাংশ আলেম সমাজ হানাফি মাজহাবের এই মত টিভি অতিক্রমণযোগ্য|
নামাজে কিরাত করার নিয়ম - নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম - সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম - চার রাকাত সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়মঃ
আমরা যদি একা একা নামাজ পড়ে থাকে সে ক্ষেত্রে সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে। সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য আরেকটি সূরা মিলাতে হবে। অবশ্যই সূরা ফাতেহা পাঠ করার কারণ হচ্ছে একা নামাজ পড়তে গেলে সেখানে ঈমান সাহেব থাকে না যার কারণে সূরা ফাতিহা পড়তে হবে । আর সূরা ফাতিহা না পরলে নামাজ হবে না। একা নামাজ পড়লে অবশ্যই সুরা ফাতিহা পড়তে হবে। যে ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করবে ইমামের কেরাত তার কেরাত হিসেবে গ্রহণ করবে তাই অবশ্যই নামাজের সময় ইমাম সাহেবকে যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে কোন জায়গায় ভুল না হয়। নামাজের জোরে কিংবা আস্তিকেরা পাঠ করলেও একইভাবে চুপ থাকতে হবে
অনেক মুসলমান রয়েছেন যারা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকে তার মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম। সুন্নত নামাজ ফরজ নামাজের মতই। একটুখানি পার্থক্য রয়েছে যে সুন্নত নামাজ যদি চার রাকাত হয় তবে সকল রাকাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য একটি সূরা পাঠ করা ওয়াজিব। ছুটে গেলে নামাজে অবশ্যই সেজদা দিতে হবে। এই মুহূর্তে আপনারা সুন্নত নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। সুন্নত ও নফল নামাজের সকল রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে অন্য একটি সূরা পাঠ করাকে সকল মুহাদ্দিস ও ইসলামী পন্ডিত গন অজিত হিসেবে গ্রহণ করবে। সুন্নত নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম এর মধ্যে আমরা এই নিয়মটি মেনে চলবো।
১১ টি সূরা রয়েছে নামাজেঃ
আমরা জানি নামাজে ১১ টি সূরা রয়েছে। যে কোন নামাজ পড়ার জন্য ১১ টি সূরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই জেনে নিন 11 টি সূরা কি কি।
সূরা ফাতিহাঃ বিসমিল্লাহির রহমা-নির রহি-ম। আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আ -লামি-ন।আররহমা-নির রাহি-ম। মা-লিকি ইয়াওমিদ্দি-ন। ইয়্যা-কা না’বুদু ওয়া ইয়্যা-কা নাসতাই’-নইহদিনাস সিরাতা’ল মুসতাকি’-মসিরাতা’ল্লা যি-না আনআ’মতা আ’লাইহিম গা’ইরিল মাগ’দু’বি আ’লাইহিম ওয়ালা দ্দ-ল্লি-ন।
সূরা নাসঃ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
সূরা ফালাকঃ কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক । মিন শাররি মা-খালাক। ওয়া মিন শাররি গা-ছিকিন ইযা-ওয়াকাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-ছা-তি ফিল ‘উকাদ। ওয়া মিন শাররি হা-ছিদিন ইযা-হাছাদ।
সূরা ইখলাস ঃকুল হুয়াল্লাহু আহাদ। আল্লাহুচ্চামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
সূরা কদরঃ ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।তানাঝঝালুল মালাইকাতুওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।
আলাম তারা কাইফা ফা‘আলা রাব্বুকা বিআসহা-বিল ফীল। আলাম ইয়াজ‘আল কাইদাহুম ফী তাদলীল ওয়া আরছালা ‘আলাইহিম তাইরান আবা-বীল। তারমীহিম বিহিজা-রাতিম মিন ছিজ্জীল। ফাজা‘আলাহুম কা‘আসফিম মা’কূল।
আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন। ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম। ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ফাওয়াইঁলুলিলল মুসাল্লীন। আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিমি ছা-হূন। আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা। ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা-‘ঊন।
সূরা কাওসারঃ ইন্না আ’তাইনা-কাল্ কাওছার।ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান্’হা’র ৷ন্না শানিয়াকা হুয়া’আলআবতার ৷
সূরা লাহাবঃ তাব্বাত ইয়াদাআবী লাহাবিওঁ ওয়া তাবব। মাআগনা-‘আনহু মা-লুহূওয়ামা-কাছাব। ছাইয়াসলা-না-রান যা-তা লাহাব। ওয়ামরাআতুহূ; হাম্মা-লাতাল হাতাব। ফী জীদিহা-হাবলুম মিম মাছাদ।
সূরা কুরাইশঃ লিঈলা-ফি কুরাইশ।,ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ। ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত। আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।
কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-ছ, মালিকিন্না-ছ, ইলা-হিন্না-ছ। মিন শাররিল ওয়াছ ওয়া-ছিল খান্না-ছ। আল্লাযী ইউওয়াছবিছুফী সুদূরিন্নাছ-। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-ছ।
কোন সূরার পর কোন সূরা পড়তে হয় নামাজের / নামাজের সূরা কি ক্রমানুসারে পড়তে হবেঃ
অনেক আলেম নামাজে ক্রমানুসারে সূরা পড়াকে উত্তম বলে থাকেন। সহি হাদিসে বলা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম পক্ষ থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী সূরা পড়ার কোন নির্দেশনা নেই মহান আল্লাহতালা কুরআনে বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে করে রেখেছেন যে কোরআন থেকে যতটুকু সম্ভব হয় ততটুকু তেলাওয়াত করতে। তোমাদের জন্য যেটা সহজ ও সম্ভব হয় সেটাই তুমি তেলাওয়াত করবে নামাজে সুরা কোন সাহেব পড়তে হবে এমন কোন নির্দিষ্ট নিয়ম হাদিসে নেই ।
সুন্নত নামাজে সুরা পড়ার নিয়ম ও নামাজের সূরা পড়ার নিয়মঃ
উপরে উল্লেখিত বিষয়ের ইতি মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম ও সুন্নত নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম ফরজ নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ার নিয়ম নামাজের সূরা পড়ার নিয়ম নামাজে কেরাত পড়ার নিয়ম নামাজে 11 টি সূরা রয়েছে নামাজের কোন সূরা কখন পড়তে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।