চুল লম্বা করার উপায় |
চুল লম্বা করার উপায়
চুল মানুষের সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম প্রতিক।চুল কমে গেলে বা টাক হয়ে গেলে কাউকেই দেখতে ভালো লাগে না।নারী ও পুরুষের উভয়ের সুন্দর দেখতে চুলের বিকল্প আর কিছু নেই।লম্বা চুল পছন্দ করে না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুসকিল। কিন্তু লম্বা চুল ধরে রাখা অনেক সাধনার বিষয়। কেননা চুলকে লম্বা আর সুন্দর দেখাতে চুলের জন্য আলাদা যত্নশীল হতে হয়। আপনি ও যদি আপনার চুল লম্বা ও সুন্দর করতে চান তাহলে আজকের এই আলোচনা আপনার জন্য। তাহলে আসুন চুল লম্বা করার উপায় যেনে নেই।
চুল লম্বা করতে দৈনন্দিন কাজঃ চুল লম্বা করার উপায়
আসলে দৈনন্দিন রুটিনে আমরা এমন অনেক কাজ করে ফেলি, যা আদৌ আমাদের চুলের ক্ষতি করে। সেসব ভুল যদি একটু হলেও শুধরে নেওয়া যায়, তবে চুলের অনেক সমস্যাই কিন্তু সমাধান হতে পারে। পাশাপাশি, ঘন ও লম্বা চুল পেতেও খুব বেশি সময় লাগে না।
এছাড়াও সারা সপ্তাহে যদি একটু সময় বের করে চুলের প্রতি যত্নশীল হতে পারেন, তবে চুলের জেল্লাও হয় দেখার মতো। জেনে নিন ঠিক কী কী নিয়ম মেনে চলবেন। কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখবেন। কোন ভুলগুলো আর করবেন না।
১. তেল মালিশ: লম্বা চুল পেতে চাইলে চুলে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়বে। চুলের গোড়াতে পুষ্টি আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে পৌঁছাবে। ফলস্বরূপ চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হবে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
২. চুলে ট্রিম করানো : চুলের আগা ফাটার ইতিহাস যাদের আছে তারা ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর পর ট্রিম করালে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। আগা ফাটা সমস্যা কেটে গেলে চুল বৃদ্ধির পরিমাণও বাড়বে। দেখতেও সুন্দর লাগবে।
৩. ভিটামিন -ই: চুলের বৃদ্ধির জন্য ভিটামিনের অবদানকে অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রয়োজনীয় ভিটামিন না পেলে চুলের বৃদ্ধি কমে যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আর ভিটামিন বি সমৃদ্ধ ওষুধগুলো খেলে চুল পুষ্টি পাবে এবং স্বাভাবিক গতিতে বাড়বে।
৪. নিয়মিত শ্যাম্পু করা: শ্যাম্পু আবর্জনা পরিষ্কার করে চুলের বৃদ্ধির পথ সহজ করে দেয়। তবে সে জন্য আপনাকে সঠিক শ্যাম্পুটি খুঁজে নিতে হবে। আপনার চুলের ধরন অনুসারে কোন শ্যাম্পুটি উপযুক্ত, সেটা নিজে বাছাই করতে না পারলে বিউটিয়ানের সাহায্য নিতে পারেন।
৫. গরম পানি এড়িয়ে চলুন: চুল ধোয়ার সময় গরম পানি ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা এবং কিউটিকলগুলি হারিয়ে যাবে। এ সমস্যা এড়াতে চুল ধোয়ার জন্য সব সময় হালকা ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন। যাদের ঠান্ডার সমস্যা নেই, তারা সম্ভব হলে ঠান্ডা পনিতে চুল খানিক সময় ভিজিয়েও রাখতে পারেন। এতে চুল স্বাভাবিক গতিতে বৃদ্ধি পাবে।
৬. চুলের যন্ত্রপাতি থাকে দূরে থাকুন: চুল স্টাইলিং করার যন্ত্রপাতি আসলে চুলের ক্ষতিই করে। তাই এগুলো যত কম ব্যবহার করা যায়, তত ভালো। চুল স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রন গরম করে ব্যবহার করতে হয় বলে চুল ক্রমশ দুর্বল আর ভঙ্গুর হতে থাকে। তাতে চুল লম্বা হওয়ার গতি কমে যায়।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে চুল লম্বা করার উপায় :
চুলের যত্নের সাথে সাথে আমরা প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে চুল কে আরও লম্বা ও সুন্দর করতে চাই।তার জন্য প্রাকৃতিক কিছু উপাদানই যথেষ্ট। আসুন চুল লম্বা করতে প্রাকৃতিক উপায় গুলো জেনে নেই।
১.পেয়াজের রস: পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের পিএইচ’য়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এতে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়। চুলের গোড়া শক্ত করতে ও মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে এই তেল উপকারী।
পেয়াজে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুলে ঘনভাব আনে ও উজ্জ্বলতা বাড়ায়। তাছাড়া চুল কন্ডিশন করতে এবং মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে এটা উপকারী।পেয়াজ চুলের জন্য অনেক উপকারী। যেমন:
★চুল লম্বা করতে সাহায্য করে
★চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
★খুশকি নিয়ন্ত্রণ করে
★কন্ডিশনিং করে
★চুল পাকা রোধ করে।
এই উপকার পেতে হলে পেয়াজের রস করে নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা করে গরম করে নিতে হবে। তাহলেই তৈরী হবে পেয়াজের তেল।
২.আ্যলোভেরাঃ চুল লম্বা করতে প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মধ্যে এটি অন্যতম একটি উপায়। আসুন জেনে নেই আরও কিছু ঘরোয়া টিপস
★মধু,নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল রুক্ষ চুলকে উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন মধু,নারকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল। শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা ফেরাতে ও চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করতে এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এক চা চামচ মধু, দু’ চামচ নারকেল তেল ও দু’ চামচ অ্যালোভেরা নিয়ে মিশিয়ে এক জেলের মতো উপাদান তৈরি করুন। গোসলের ৩০ মিনিট আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপে ঢেকে দিন মাথা। পারে আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু করুন।
★দই ও অ্যালোভেরাঃ চুলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে দই ও অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। দু’ চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা মিশিয়ে প্রায় ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে মাসাজ করুন। পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন চুল। কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না।
★লেবু ও অ্যালোভেরাঃ লেবুর রস, অ্যালোভেরা ও আমলার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, গোড়া মজবুত করে।
★অ্যালোভেরা ও ডিমঃ একটি ডিমের কুসুম ও দু’চামচ অ্যালোভেরা ও তার সঙ্গে এক চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। এতে চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
৩.লেবুর রসঃ মাথার ত্বক পরিস্কার করে- মাথার ত্বকে ধুলো,ময়লা আটকে থাকে, তখন লেবুর জল মাথার ত্বকে ব্যবহার করলে তা পরিস্কার হয়ে যায়। চুলের ফলিকলগুলি আনলক করতে সাহায্য করে।
চুলের লম্বা করতে - চুল লম্বা করার উপায়
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা কোলাজেন উত্পাদনে সাহায্য করে ও চুলের বৃদ্ধি করে। এটি চুলের ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করে। যা চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
খুশকি দূর করেঃ- লেবুতে প্রাকৃতিক ছত্রাক বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা খুশকিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
★নারকেল জল ও লেুবর রস:
চুল লম্বা করতে এই ঘরোয়া টিপস টি খুব উপকারি।
একটি পাত্রের মধ্যে এক টেবিলস্পুন নারকেল জলের সঙ্গে এক টেবিলস্পুন লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। মাথার ত্বকে ব্যবহার করে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভাল করে পরিস্কার করে নিন। নারকেল জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য, যা চুলের যে কোনও অক্সিডেটিভ ক্ষতি রোধ করে। কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের জন্য সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতিটে অনুসরণ করতে পারেন।
৪.পান পাতা:
চুল লম্বা করার উপায় গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে পান পাতা।আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় চুলের যত্নের জন্য পান পাতা ব্যবহার করা হয়।যার সাহায্য চুলের জন্য ঘরোয়া প্যাক তৈরি করা যায়। আসুন যেনে নেই।
আপনার প্রয়োজন ৫টি পান পাতা। ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল। ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল। ১ টেবিল চামচ জল।
গ্রাইন্ডারে পান পাতা নিন। তার সঙ্গে জল মিশিয়ে দিন। গ্রাইন্ডারে একটি মিশ্রণ তৈরি হবে। এবার একটি পাত্রে এই মিশ্রণ নিয়ে নিন। তার মধ্যে নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এবার তাতে মেশান ক্যাস্টর অয়েল। প্রত্যেকটি উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার সেই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে ও চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিতে হবে। তারপর ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫.মেথি:
চুলের লম্বা করার জন্য এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে মেথি। মেথিতে প্রচুর পরিমাণে লেসিথিন রয়েছে যা চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে কার্যকরী। ১ টেবিল চামচ মেথি এবং ১ চা চামচ সরিষা দানা পাউডার করে নিন। ২-৩ টেবিল চামচ কুসুম গরম পানিতে এই পাউডার ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এতে ১ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরী করুন
এবার এই পেস্ট ভালোভাবে মাথায় ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি মাসে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়। সরিষাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ রয়েছে যা চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে উদ্দীপকের কাজ করে। এই প্যাকটি নতুন চুল গজাতে খুবই কার্যকরী। মেথি মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখতেও বিশেষভাবে উপযোগী।
৬.মেহেদী পাতাঃ
মেহেদি মাথার ত্বক ঠাণ্ডা ও মসৃণ করতে সাহায্য করে। এটা খুশকি দূর করে। চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং প্রাকৃতিকভাবে কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই চুল রং করতে সাহায্য করে।
মেহেদির গুঁড়া ব্যবহারের আগে যে কোনো প্রাকৃতিক উপদানের সঙ্গে মিশিয়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে তারপর ব্যবহার করা উচিত।এটি চুল লম্বা করার অন্যতম উপায়।
৭.আমলকিঃ
আমলকিতে উপস্থিত ফাইটো-নিউট্রিয়েন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ মাথার ত্বকের সঞ্চালন বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। আমলার ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করে। এটি চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। কোলাজেন চুলের ফলিকলের মৃত কোষকে নতুন চুলের কোষ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।যা চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।
৮.জবা ফুলঃ
চুলের যত্নে কতকিছুই ব্যবহার করা হয়। তবে জবা ফুলের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জবা ফুলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিকভাবে চুলের জেল্লা বজায় রাখে।
এছাড়াও জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলোও পুষ্টি পায়। যা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।
৯.দইঃ
দইয়ে রয়েছে ভিটামিন বি। বি২, বি ৫, বি ১২ সমৃদ্ধ দই ত্বককে ময়শ্চারাইজ ও হাইড্রেট করতে সাহায্য করে।
– এত রয়েছে জিংক, যা প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব সরবরাহ করে ও ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
– এতে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শুষ্ক ও নিস্তেজ ত্বকের কোষকে দূর করতে সাহায্য করে
– আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিডের একটি প্রাকৃতিক উত্স হল দই। যা ল্যাকটিক অ্যাসিড নামে পরিচিত। ল্যাকটিস অ্যাসিডের এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রিঙ্কেলস, বলিরেখা, ফাইন লাইনসকে ম্লান করতে সাহায্য করে। এছাড়া মুখের মধ্যে বুড়ো-বুড়ো ভাব প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
-ত্বকের টোন বজায় রাখতে সহায়তা করে।
– ডার্ক সার্কেল কমায় ও ব্রণের সমস্যা নির্মূল করে।
– চুলের জন্যও দই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাথার ত্বকে চুলকানি, খুশকি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চুল পড়া বন্ধ করে, চুল লম্বা ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
-অন্যান্য উপাদান মিশিয়ে কন্ডিশনার তৈরি করে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে এটি।
১০.মধুঃ
– মধু হল একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক উপাগান। ব্রণর ব্রেকআউচস নিরাময়ে সাহায্য করে।
– কাঁচা মধু ত্বককে হাইড্রেট করে ও নরম, উজ্জ্বল ও চকচকে করতে সাহায্য করে।
– ত্বককে দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন প্রদান করে ত্বকের শুষ্কতা হ্রাস করে
– দইয়ের মতো মধুও বলিরেখা ও ফাইনস লাইনস হ্রাস করে
– মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের দাগ মেটাতে ও স্ট্রেচ মার্ক কমাতে আশ্চর্য়জনকভালে কাজ করে।
-মধু চুল বৃদ্ধিতে ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে।
-মাথার ত্বকের চুলকানি ও খুসকি দূর করে। মাথার ত্বক পরিস্কার করতেও সাহায্য করে।
– চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে
– প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন নিতে ও চুল বৃদ্ধিতে মধু অত্যন্ত উপকারী একটি উপাদান।
চুল লম্বা করার উপায় শেষ কথা
উপরের প্রতিটি উপাদান আমাদের হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। তাই চুল লম্বা করতে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু উপায় জানা থাকলে বানিয়ে ফেলুন উপরের প্যাক গুলো। যেগুলো আপনার চুল লম্বা ও সুন্দর করতে সাহায্য করবে।