টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
হরমোন প্রতিটি মানুষের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।মানব দেহে বিভিন্ন ধরনের হরমোন রয়েছে।নারী ও পুরুষের দেহে হরমোন একই ভাবে কাজ করে থাকে।তাই হরমোন অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাদের মধ্যে কিছু হরমোন রয়েছে যা কমে গেছে যেমন মানব দেহের ক্ষমতায় হয় তেমনি হরমোন বৃদ্ধি পেলে ও দেখা যায় বিভিন্নরকম রোগ ও সমস্যা। তাই আমাদের শরিরের ভালোর জন্য হরমোন সম্পর্কে ভালো ভাবে জানা প্রয়োজন। তেমনি আমাদের দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন হরমোন। আজকের আলোচনায় আমরা এই হরমোন বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করব।আমাদের সাথেই থাকুন।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কী?
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় জানার আগে আমাদের টেস্টোস্টেরন হরমোন সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।আসুন আগে আমরা এই হরমোন সম্পর্কে জেনে নেই।
টেস্টোস্টেরন হরমোন হচ্ছে প্রাথমিক ভাবে পুরুষ দের যৌন হরমোন এবং আ্যনাবলিক স্টোরয়েড।এটি পুরুষ প্রজনন টিস্যু যেমন টেস্টিস এবং প্রোস্টেটর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।পেশি এবং হাড়ের ভড় বৃদ্ধি এবং শরিরের চুল বৃদ্ধির মতো গৌণ বৈশিষ্ট্য গুলোকেও উন্নত করে এই হরমোন। তাছাড়া পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে মেজাজ, আচরণ এবং অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধের সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন জড়িত রয়েছে।
পুরুষদের অন্ডকোষ প্রাথমিকভাবে টেস্টোস্টেরন তৈরী করে থাকে। আমার মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ও খুব কম পরিমাণে হিলেও ভুমিকা রয়েছে এই হরমোনের। বয়ঃসন্ধিকালে এর উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধির পায়।এবং ৩০ বা এর বেশি বয়সে এই হরমোন কমতে থাকে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণঃ
টেস্টোস্টেরন হরমোন কী সেটা তো যেনে নিলাম।এবার টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় জানার আগে এই হরমোনটি কেনো আমাদের শরির থেকে কমে যায় সে কারন অবশ্যই জানতে হবে।
নারী ও পুরুষের জন্য এই হরমোনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক গবেষণায় জানা গেছে যে ৩০ বছর বয়সের পর একজন পুরুষের যৌন বা প্রজনন হরমোন বা টেস্টোস্টেরন হরমোন কমতে থাকে। (BAILEY,2021)আবার বয়স বেরে যাওয়া ছাড়াও অন্যান্য আরো কিছু বিষয়ের সাথে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার কারণ রয়েছে।যেমনঃ
- ১.উচ্চ রক্ত চাপ
- ২.ডায়াবেটিস
- ৩.থাইরয়েডের সমস্যা
- ৪.অতিরিক্ত ওজন
- ৫.ধুমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস
- ৬.কতিপয় ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- ৭.রেডিও থেরাপি বা কেমোথেরাপির কুফল
- ৮.অন্ডকোষে আঘাত লাগা।ইত্যাদি
টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কী?
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় জানার আগে আমাদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কী সেটা জেনে নেয়াও জরুরী। আসুন এবার আমরা টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ সম্পর্কে জেনে নেই।
টেস্টোস্টেরন নারী ও পুরুষের উভয়ের জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ হরমোন, যা আমাদের শরিরের বিভিন্নরকম কাজ করে থাকে।আসুন জানি এটি ঠিক কি ধরনের কাজ করে থাকে।
- ১.লিঙ্গ এবং অন্ডকোষের বিকাশ ঘটায়।
- ২.বয়ঃসন্ধির সময় কন্ঠের গভীরতা আনে
- ৩.পেশির আকার ও শক্তি বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে
- ৪.হাড় বৃদ্ধি ও শক্ত করতে সহায়তা করে।
- ৫.যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে
- ৬.শুক্রাণু উৎপাদনে সহযোগিতা করে
- ৭.বয়ঃসন্ধি কাল থেকে শুরু করে শরিরের বিভিন্ন অংশে চুল এবং পরবর্তী জীবনে টাক পরার ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি কমে যাওয়ার লক্ষন গুলো কী কী?
যৌন হরমোন বা টেস্টোস্টেরন হরমোন মুলত অন্ডকোষের মধ্যে উৎপন্ন হয়ে থাকে। কোনো কারণ বশত এই হরমোন উৎপাদন কমে গেলে কতিপয় শারীরিক ও মানসিক কিছু লক্ষন দেখা যায়। টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি উপায় জানার সাথে সাথে এর লক্ষন গুলো জেনে নেই। যেমন :
- ১.লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা বা ED (Erectile dysfunction)
- ২.অন্ডকোষ ছোট হতে থাকে
- ৩.যৌন ইচ্ছা কমে যেতে থাকে
- ৪.চুল পড়ে যেতে থাকে
- ৫.হাড়ের ঘনত্ব কমে যেতে থাকে
- ৬.মাংসপেশীর বৃদ্ধি ব্যহত করে
- ৭.দূর্বলতা ও ক্লান্তি বোধ
- ৮.বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা
এই লক্ষন গুলোই মুলত টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষন।উল্লেখিত কারণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষনটি হচ্ছে লিঙ্গ উত্থান সমস্যা বা যৌন দূর্বলতা। কারণ টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রধান কাজ হচ্ছে পুরুষের যৌন সক্ষমতা বজায় রাখা। যৌন দূর্বলতা দেখা দিলে আমাদের দেশের বেশির ভাগ পুরুষ হীনমন্যতায় ভোগেন কিন্তু সমাধানের জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।তাহলে চলুন এই পর্যায়ে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়ঃ
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির জন্য মোটামুটি ভাবে দুইটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।তবে এর বাইরেও আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। সে বিষয় গুলো ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।
১.হরমোন থেরাপি :
প্রথমত যে পদ্ধতি টি রয়েছে তা হল টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা যদি খুব বেশি পরিমাণে কমে যায় সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন থেরাপি নেয়া। আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য একটি রক্ত পরিক্ষা করানোর প্রয়োজন হবে। যাবে Testosterone test বলা হয়ে থাকে।এবং এর সাথে সাথে থাইরয়েডের টেস্ট বা TSH টেস্ট করানোর নির্দেশনা দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা।কারণ এই টেস্টোস্টেরন উৎপাদনের ক্ষেত্রে থাইরয়েড গ্রন্থির বিশেষ ভুমিকা রয়েছে।
২.ঘরোয়া প্রতিকার:
প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করার মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করাই হচ্ছে দ্বিতীয় উপায়।হরমোন থেরাপির তুলনায় প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন করা বেশি ভালো। কারণ হরমোন থেরাপি নেয়ার মানে হলো বাইরে থেকে শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোন সরবারহ করা।এতে করে শরীরে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যেতে থাকে। পক্ষান্তরে প্রকৃতিক পদ্ধতিতে শরীরের মধ্য টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়।
প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায় সতর্কতাঃ
প্রাকৃতিক পদ্ধতির নামে বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক ও ক্ষতিকর চিকিৎসা থেকে সতর্ক থাকাকে বোঝানো হয়েছে। যৌন দূর্বলতা দূর করে বা টেস্টোস্টেরন হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি করবে এমন নিশ্চয়তা দিয়ে রাস্তা ঘাটে অহরহ হকাররা নানা বিধ ঔষধ বিক্রি করে থাকে। যা কখনোই উপকারী ভুমিকা পালন করতে পারে না বরং ক্ষতি সম্মুখীন হতে হয়।
আবার বাজারে হরমোন উৎপাদন বৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তাকারী সাপ্লিমেন্ট কিনতে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্ত সাপ্লিমেন্ট কিনে খাওয়া উচিৎ নয়।কারন তাতে মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।আর তাই টেস্টোস্টেরন এর অভাব জনিত সমস্যা সমাধানের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি অবলম্বন অথবা একজন চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা।
প্রাকৃতিক ভাবে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়ঃ
চিকিৎসার পাশাপাশি হরমোন বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক কিছু নিয়ম রয়েছে আসুন আমরা সেই নিয়ম গুলো যেনে নেই।
- ১.পর্যন্ত পরিমাণে ঘুম জরুরি (প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা)
- ২.নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
- ৩.পুষ্টি কর খাবার খেতে হবে।
- ৪.শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
- ৫.মাসিক চাপ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
- ৬.ভিটামিন -ডি উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদ পোহাতে হবে।
- ৭.ধুমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস বর্জন করতে হবে।
এই উপায় গুলো মেনে চললে উপকার হবে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় /টিপস :
মাশরুম – খুব সাধারন ভাবেই বলব যে আপনি যদি সত্যিই টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়াতে চান তাহলে মাশরুম খান । কেননা মাশরুম শুধু যে আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল বাড়াবে তা নয় বরং এর মধ্যে এমন কিছু এনজাইম রয়ছে যেগুলো টেস্টোস্টেরন লস ( low Testosterone ) কেও প্রতিরোধ করতে সক্ষম । তাছাড়া মাশরুম শরীরে রক্ত প্রবাহকে বাড়ায় , ইরেক্টাইল ডিসফাংশন কেও কম করে ।
বাদাম – বাদাম হল জিঙ্ক ,ভিটামিন B, ভিটামিন E এবং প্রোটিন এর একটি ভালো উৎস । এর প্রত্যেকটি নিউট্রেন্ট টেস্টোস্টেরন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় উপাদান । তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ব্রাজিলিয়ান বাদাম, কাজু, আখরোট , চিনাবাদাম ইত্যাদি রাখার চেস্টা করুন ।
দই – দই আমরা সবাই কমবেশি পছন্দ করি । এর মধ্যে থাকা প্রো বায়োটিক ব্যক্টেরিয়া টেস্টোস্টেরন এর জন্য উপকারী ।
ডিমের কুসুম – ডিম হল একটি আদর্শ প্রোটিনের উদাহরন যাতে প্রয়োজনীয় সবকটি অ্যামাইনো এসিড রয়েছে । কিন্তু আপনি যদি টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়ানোর জন্য ডিম খেতে চান তাহলে আপনাকে ডিমের হলুদ অংশ ( ডিমের কুসুম ) খেতে হবে । কারন ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন D3 পাওয়া যায় যা টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়ায় ।
সবুজ শাক – সবজি – বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি যেমন ব্রকলি, বাঁধাকপি, পালং শাক ইত্যাদি আপনার শরীরে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কে বাড়াতে সাহায্য করে । তাই আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল বজায় রাখতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি যোগ করুন ।
বাঁধাকপি – এটি ইস্ট্রজেন এর লেভেল কে হ্রাস করে ফলস্বরুপ আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে । সুতরাং বাঁধাকপি যদি আপনি পছন্দ নাও করে থাকেন তবু টেস্টস্টেরন এর সঠিক লেভেল বজায় রাখতে আপনার এটি খাওয়া উচিত ।
আদা – মানুষের উপর একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে কোন ব্যাক্তি যদি নিয়মিত তিন মাস ধরে আদা খায় তাহলে অই ব্যাক্তির টেস্টোস্টেরন উৎপাদন মোটামোটি ১৪ % বৃদ্ধি পায় । এটি শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন কে বাড়ায় এবং টেস্টিসে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে টেস্টোস্টেরন এর উৎপাদন বৃদ্ধি করে ।
নারকেল - বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী নারকেল হল পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যের মধ্যে অন্যতম । এর ৯১% ফ্যাট হল টেস্টস্টেরন বুস্টিং স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড , যা আমাদের শরীরের টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়াতে সাহায্য করে ।
কুমড়োর বীজ – কুমড়োর বীজ হল জিঙ্ক , ম্যাগ্নেশিয়াম এবং ভিটামিন K এর খুব ভালো উৎস । এরা প্রত্যেকেই টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কে বৃদ্ধি করে । তাছাড়া এর মধ্যে রয়েছে টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধিকারী স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড ।
মুরগীর মাংস – সুসাস্থের জন্য মুরগীর মাংসে প্রয়োজনীয় ভিটামিন B থাকে , তা ছারাও এতে যথেষ্ট পরিমানে জিঙ্ক রয়েছে যা টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
এছাড়াও সূর্যমুখী ফুলের বিজ,দারুচিনি, ডালিম,আনার,বেদেনা,বাতাবি লেবু,কমলার রস, ডাল,মটরশুঁটি, এভোকেডো,কলিজা,চর্বিযুক্ত মাছ খুব উপকারি।
এই সব খাবার খেতে হবে এবং কিছু খাবার আছে যা বর্জন করতে হবে। বর্জন কৃত খাবার গুলো হল
- ১.প্রক্রিয়া জাত খাবার
- ২.প্লাস্টিকের পাত্রে রাখা খাবার,
- ৩.ফাস্ট ফুড
- ৪.মদ্যপানের অভ্যাস।
এই গুলো থেকে দূরে থাকলে টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি পাবে ইনশা আল্লাহ।
সবশেষে এটাই বলবো যে উপরে উল্ল্যেখিত প্রত্যেকটি খাবারই কোনো না কোনও ভাবে আপনার টেস্টোস্টেরন লেভেল কে বাড়াতে উপকারী । সেজন্য প্রতিদিন এই খাবার গুলির মধ্যে আপনার সাধ্যমত কিছুনাকিছু খাবার তালিকায় রাখতে সচেষ্ট হন । যাতে আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রত্যেকটা লোক সুন্দর সুস্বাস্থভাবে জীবন যাপন করতে পারে ।