ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় |
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করব। ব্যবসা অথবা যে কোন আর্থিক কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য বর্তমানে ব্যাংক লোনের প্রচলন অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা করার জন্য অথবা বাড়ি করার জন্য কিংবাবিদেশে পাড়ি জমানোর জন্য এছাড়াও ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটানোর জন্যও বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া যায়। আজকের এই পোস্টে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় এবং ব্যাংক লোন সংক্রান্ত বিস্তারিত অন্যান্য সকল আলোচনা করব । এছাড়া ব্যাংক লোন ইসলামের দৃষ্টিতে কেন হারাম অথবা ইসলামী ব্যাংকিং সিস্টেমে কিভাবে লোন নেবেন সেটি নিয়েও আলোচনা করব।
ব্যাংক লোন কি? । ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
সবার আগে জানবো ব্যাংক লোন কি? ব্যাংক লোন হচ্ছে কোন ব্যাংক থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নির্দিষ্ট কিছু শর্তের বিনিময়ে ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহককে প্রদান করা এবং তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের প্রফিট মার্জিন আয় করা। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের গ্রাহককে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করা এবং তার বিনিময়ে সেই টাকার উপর সুদের হার বসিয়ে অথবা অন্য কোন শর্ত বসিয়ে সেখান থেকে প্রফিট অর্জন করা। ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রফিট অর্জন করা আর গ্রাহকের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেই টাকা দিয়ে প্রয়োজন মিটিয়ে ব্যবসা অথবা অন্য যেকোনো কাজে লাগানো।
ব্যাংক লোন নেওয়া হালাল নাকি হারাম?
কোরআন হাদিসের আলোকে বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জেনেছি যে ব্যাংক লোন অর্থাৎ সুদ্ ভিত্তিক ব্যাংক লোন হারাম। ইসলামিক চিন্তাবিদ বিভিন্ন জ্ঞানী মহাদ্দিসগণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে ফতোয়া দিয়েছেন। চলুন ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করা যাবে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নেই।
ইসলামিক পদ্ধতিতে ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
আমরা যারা মুসলমান রয়েছে তারা অবশ্যই চাইবো সুদবিহীন ব্যাংকিং কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য। যেহেতু সুদভিত্তিক ব্যাংক কার্যক্রম এর মাধ্যমে লোন নেওয়া হারাম তাই যদি আমরা ইসলামিক পদ্ধতিতে লোন নিতে পারি তাহলে নিশ্চয়ই সেটি আমাদের জন্য ভালো। বাংলাদেশে বেশ কিছু সুনাম ধন্য ব্যাংক রয়েছে যারা ইসলামিক পদ্ধতিতে লোন দেয়। যদি তাদের নিয়ম অনুসরণ করে ব্যাংক লোন এর জন্য আবেদন করেন তাহলে অবশ্যই ইসলামিক পদ্ধতিতে হারাম মুক্ত লোনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা অথবা অন্য প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবেন। ইসলামিক পদ্ধতি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়টি কাজে লাগাতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বাংলাদেশের চলমান ইসলামী ব্যাংক গুলোর মধ্যে একাউন্ট করতে হবে এবং তাদের শর্ত মোতাবেক ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে নিশ্চয়ই সেক্ষেত্রে যে সকল ব্যাংক ইসলামের পদ্ধতিতে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রয়েছে তাদের কাছ থেকেই লোন নেওয়ার আবেদন করাই ভালো।
ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজ লাগে
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়টি সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে চাইলে ব্যাংক যে সকল কাগজপত্র চাই তা 100% সঠিক প্রদান করতে পারলে লোন পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেকটাই বেড়ে যায়। নিচে ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে তার একটি তালিকা তুলে ধরা হলো-
- লোনের জন্য পূরণকৃত আবেদন ফরম
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংকের চলতি হিসাব।
- ঔষধ ব্যবসার ক্ষেত্রে ড্রাগ লাইসেন্স।
- খাদ্য প্রস্তুতকারীর প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিএসটিআই সার্টিফিকেট।
- ডিজেল এবং অকটেন ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে পেট্রোবাংলার সার্টিফিকেট
- দোকান অথবা ঘর ভাড়া চুক্তিনামা।
- ভ্যাট সার্টিফিকেট প্রযোজ্য ক্ষেত্রে।
- সর্বশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট। (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- আমদানি রপ্তানির ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে আইআরসি এবং আইআরই সার্টিফিকেট।
- মজুদকৃত মালামাল এবং তার বর্তমান মূল্য তালিকা।
- স্থায়ী সম্পদের তালিকা এবং মূল্য।
- দেনাদার এবং পাওনাদারের তালিকা।
- বর্তমানে অন্য কোথাও ঋণ থাকলে তার বিবরণী।
- অফিস আইডি কার্ডের ফটোকপি যদি ব্যবসায়ী হয় তাহলে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
- স্যালারি সার্টিফিকেট।
- যে কোন বিলের ফটোকপি।
- ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন এর ফটোকপি।
- চেক বুক পাতা ।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
মূলত প্রায় প্রত্যেক ব্যাংকেই এই কাগজপত্রগুলো জমা দিতে হয় কিন্তু ক্ষেত্র বিশেষে যে ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তারা আপনার কাছ থেকে আরও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইতে পারে।যেমন- যদি আপনি ব্যবসায়ী হন তাহলে গত এক বছর অথবা ৬ মাসের বেচা বিক্রির হিসাব এর কাগজ চাইতে পারে।
ব্যাংক লোনের আবেদন করার নিয়ম। ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ব্যাংকের লোন এর আবেদন ফরম পূরণ করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। অবশ্যই কি কারনে লোন নিতে চাচ্ছেন সেটি সুস্পষ্ট ধারণা দিতে হবে। এছাড়া আপনি কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন সেটাও সুস্পষ্টভাবে বলে দিতে হবে। ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কত টাকা লোন নিচ্ছেন তার বিপরীতে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং মাসিক কিস্তি কত টাকা হবে সেগুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নেবেন।
ব্যাংক লোন পাওয়ার জন্য সকল কাগজপত্র সাবমিট করার পর ব্যাংকের প্রতিনিধি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন অথবা আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকবে। ইন্টারভিউ অথবা সাক্ষাৎকারে আপনি সুস্পষ্টভাবে কি জন্য লোন নিতে চাচ্ছেন এবং কত টাকা লোন নিতে চাচ্ছেন সেটা তাদেরকে বলতে হবে। আপনি আপনার প্রয়োজনের কারণটি কনফিডেন্স এর সঙ্গে ব্যাখ্যা দিবেন যদি তাদের কাছে সেই ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত মনে হয় তাহলে অবশ্যই তারা আপনাকে লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
ইন্টারভিউ শেষ হলে তারা আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা চাকরি প্রতিষ্ঠান ভেরিফিকেশন করবে এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনার বাড়িও ভেরিফিকেশন করতে পারে। সবকিছু ভেরিফাই করার পর যদি আপনি উপযুক্ত বলে বিবেচিত হন তাহলে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। আর যদি কোন কারনে ব্যাংক প্রতিনিধি মনে করে যে আপনাকে লোন দেওয়া যাবে না তাহলে আপনি লোন পাবেন না। তাই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় কি কার্যকর করার জন্য সকল কাজ নির্ভুলভাবে করার চেষ্টা করতে হবে।
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তো জানলেন এবার কিছু সাবধানতা জানুন?
ক্রেডিট স্কোরঃ অনেক সময় ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার সময় গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোর দেখা হয়, এটার মাধ্যমে লোন পরিশোধের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
সুদের হার এবং লোনের মেয়াদঃ যদি আপনি লোনের আবেদন করেন অবশ্যই তার আগে প্রাপ্ত লোন এর বিপরীতে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে এবং তার মেয়াদ কতদিন সেটা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জেনে নেবেন।
প্রসেসিং চার্জঃ ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে তারা যে সকল কার্যাবলী পরিচালনা করে তার বিপরীতে প্রসেসিং চার্জ কত নিবে সেটা সম্পর্কেও জেনে নেবেন।
লেট পেমেন্ট চার্জঃ যদি কোন কারনে ব্যাংকে কিস্তি পরিশোধে দেরি হয় তাহলে তার বিপরীতে লেট পেমেন্ট চার্জ কত হবে সেটাও জেনে নিন।
প্রি পেমেন্ট চার্জঃ লেট পেমেন্ট চার্জ সম্পর্কে যেমন জেনে নেওয়ার জরুরী ঠিক তেমনি প্রি পেমেন্ট চার্জ সম্পর্কে জেনে নেওয়া জরুরি।
লোনের প্রকারভেদ
যদি আপনি ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ব্যাংকে কত ধরনের লোন রয়েছে সেটা সম্পর্কেও ধারণা রাখা দরকার। ব্যাংকগুলো তাদের প্রফিট মার্জিন ইমপ্রুভ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের লোন এর ব্যবস্থা করেছে। আপনি দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিচে ব্যাংক লোনের কিছু প্রকারভেদ তুলে ধরা হলো-
স্যালারি লোন
- এসএমই লোন বা ক্ষুদ্র ব্যবসার ঋণ
- হোম লোন
- বিবাহ লোন
- পার্সোনাল লোন
- স্টুডেন্ট লোন
- অটো লোন
- কৃষি লোন
- প্রবাসী লোন
- বাইক অথবা কার লোন, ইত্যাদি
ব্যাংক লোনের সুবিধা এবং অসুবিধা
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে তো জানলেন এটার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কেও জানা দরকার। এটা যেমন বাহ্যিকভাবে সুবিধা রয়েছে কিন্তু পাশাপাশি অসুবিধা রয়েছে। বিপদের সময় আপনি তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনি সময় মতো টাকা পরিশোধ করতে পারছেন না তাহলে আপনি অনেক বেশি ঝামেলায় পড়ে যাবেন।
যদি আপনি আপনার আয়ের বিপরীতে অতিরিক্ত লোন নিয়ে ফেলেন তাহলে সেটা পরিশোধ করতে সমস্যায় পড়বেন। আর যদি সময় মত ঋণ পরিশোধ অথবা কিস্তি পরিষদে ব্যর্থ হন তাহলে ব্যাংক চাইলে আপনার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে।
সুদবিহীন ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়
ব্যাংক লোন একটি হারাম কার্যক্রম সেটা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি। এখন কথা হচ্ছে সুদ বিহীন ব্যাংক লোন পাওয়ার কোন উপায় আছে কিনা। বাংলাদেশের 16 টি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে যারা সুদবিহীন কার্যক্রম পরিচালনা করে। ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদেরকে লোন দেয় না বরং তারা ইনভেস্ট করে। ইসলামী ব্যাংক থেকে লোন নিলে সরাসরি আপনার হাতে টাকা দেবে না। বরং আপনি যে প্রয়োজনে লোন নিচ্ছেন বা আগ্রহ দেখাচ্ছেন তারা আপনাকে সেই জিনিসটি কিনে দেবে।
যেমন বলা যায় যদি কেউ একটি গাড়ি কিনতে চায় সেক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক তাকে গাড়ি কিনে দেবে টাকা নয়। এবং তাদের কিছু নির্দিষ্ট শর্তমতো সেখান থেকে প্রফিট মার্জিন নিয়ে নেবে।
ঋণের বিপরীতে জামানত
ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় তো অনেক রয়েছে তবে তার সাথে সাথে জামানত শব্দটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে জামানত খুবই স্পর্শকাতর একটি ব্যাপার। যিনি লোন নিবেন তিনি যদি উপযুক্ত জামানত হাজির করতে পারেন তাহলে যে কোন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া সম্ভব। সাধারণত ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের জামানা নেওয়া হয় যেমন হতে পারে মূল্যবান গহনা বা বাড়ি কিংবা জমি অথবা ফ্ল্যাট ইত্যাদি । অথবা কোন একজন জামিনদার।
যখন কোন গ্রাহক তার লোনের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তখন যে কোন ব্যাংক জামানত কৃত সম্পদ নিলামে তুলে বিক্রি করে দেয়। অথবা যিনি জামিনদার রয়েছেন তার কাছ থেকে টাকা আদায় করে নেয়।
কোন ব্যাংক লোন দেয়
বাংলাদেশের যতগুলো বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে গ্রাহকের কাছ থেকে ডিপোজিট অর্থাৎ টাকা জমা নেওয়া। এবং জমাকৃত টাকা অন্য গ্রাহককে লোন হিসেবে অথবা ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে প্রদান করা। আর এই কার্যাবলী পরিচালনার মাধ্যমেই ব্যাংক তাদের প্রফিট আয় করে থাকে। মূলত তাদের মূল কাজ হচ্ছে টাকা একজনের কাছ থেকে নিয়ে অথবা নিজেদের কাছে থাকা টাকা অন্যজনকে ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে অথবা সুদ হিসেবে দিয়ে ইনকাম করা।
যেহেতু ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইনভেস্ট করা অথবা সুদে টাকা দেওয়া তাই বাংলাদেশের চলমান লোন দেয় অথবা ইনভেস্ট করে। তাই এখানে আলাদা করে কোন ব্যাংকের নাম বলার প্রয়োজন বোধ করছি না যে কোন ব্যাংক লোন দেয়। যেহেতু অনেকের প্রশ্ন যে কোন ব্যাংক লোন দেয় তাই এতটুকু বললাম।
কোন ব্যাংক থেকে লোন নিবেন
আমরা ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেক কিছুই জানলাম এখন ব্যাংক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো প্রাধান্য দিবেন সেটাও জানার জরুরী। আপনার যেমন টাকার প্রয়োজন ঠিক তেমনি ভাবে টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে সেটাও জানা প্রয়োজন। দেখতে হবে কোন ব্যাংক থেকে টাকা নিলে অথবা ইনভেস্টমেন্ট নিলে তার বিপরীতে কত টাকা পরিশোধ করতে হবে আর যা পরিশোধ করতে হবে সেটা অন্যদের তুলনায় যদি কম হয় তাহলে অবশ্যই সেখান থেকেই লোন অথবা ইনভেস্টমেন্ট নিতে হবে।