লোন বর্তমান সময়ে মানুষের খুব জনপ্রিয় একটি টাকা তোলার উপায়। বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয় ব্যাংক রয়েছে যেগুলো থেকে আমরা আপনারা খুব সহজেই লোন উত্তোলন করতে পারি। কিন্তু বর্তমান সময়ে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের মধ্যে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। প্রতি মাসে হাজার হাজার মানুষ গুগলে সার্চ করে থাকে অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়। আজকাল আমাদের হাতের কাছে থাকা মোবাইল ফোনে সাহায্যের সাথে যদি ইন্টারনেটের সংযোগ থাকে, ইন্টারনেটের সুবিধা ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকি। এর একটি মাধ্যম হলো অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় বাংলাদেশ। আমায় যেমন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই কেনাকাটা করা যায় খুব সহজেই, এমনই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ঘরে বসে কি লোন পাওয়া সম্ভব?
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হয়। কারো পড়াশোনা বা কারো চাকরি বা কারো ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য। এ সকল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে চাহিদার কারণে আমরা লোন নিতে ইচ্ছুক হয়ে থাকি। যাতে করে আমাদের এর প্রয়োজন গুলো মেটানো যায়। বর্তমানে অনেক লোন মোবাইল অ্যাপস google এ প্লে স্টোরে গেলে সার্চ করে দেখতে পারবেন। কিন্তু সঠিক ভালো কোন অ্যাপ থেকে লোন নিলে আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন এই ভাবনায় আসল ভাবনা। এ বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে যদি আপনি সঠিক নিয়ম না মেনে অনলাইনে লোন অ্যাপ বাংলাদেশ থেকে লোন না নেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্তর মুখে পড়তে পারেন। যেটা আপনার উপকারের বদলে আরো বেশি ক্ষতি হয়ে আসতে পারে আপনার জীবনে।
আপনি চাইলে অনলাইনে লোন অ্যাপস বাংলাদেশ ব্যবহার করে,সর্বনিম্ন ১০,০০০ থেকে শুরু করে বিশ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আপনি অনলাইনের মাধ্যমে মোবাইল লোন নিতে পারবেন। আর তাই আপনি যদি সঠিকভাবে অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে পারেন তাহলে আপনি দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। আপনি যদি অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আগ্রহী হন তাহলে আজকে আমাদের সাথে থাকুন।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়। অনলাইন লোন আ্যাপসঃ
অনলাইন লোন এপ্স হলে স্মার্ট ফোন অ্যাপ্লিকেশন যেখানে ব্যক্তিরা অনলাইনে আবেদন করে লোন পেতে পারে। এই অ্যাপস ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং আর্থিক তথ্য সরবরাহ করে এবং তাদের সম্পত্তির বিভিন্ন আপেক্ষিক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সমর্থন প্রদান করে। এই অ্যাপস আমরা কোন আবেদন জমা দিতে না কোন আর্থিক আর লেনদেন করতে ব্যবহার করতে পারি। কিছু প্রায়শের ব্যবহৃত অনলাইন লোন অ্যাপস উল্লেখযোগ্য করা হলো-
- বিকাশ
- ঢাকা ব্যাংক
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড
- কর্মসংস্থান ব্যাংক
- ব্র্যাক ব্যাংক
- সিটি ব্যাংক
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায় বাংলাদেশঃ
আপনারা অনেকেই আছেন যারা ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য লোন নিতে চান। বেশিরভাগ মানুষই ব্যবসা বা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে লোন ব্যাংক থেকে নিয়ে থাকে।ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে আমাদের অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। অনেকেরই অনেক কাগজপত্র থাকে না যার কারণে ব্যাংক থেকে লোন প্রদান করা হয় না। এক্ষেত্রে আপনারা অনলাইনে মোবাইল লোন নিতে পারবেন। কারণ অনলাইনে মোবাইল লোন না অনেক সহজ.।আসুন এবার অনলাইন থেকে কিভাবে মোবাইল লোন নেওয়া যাবে সে সম্পর্কে জেনে নেই।
★প্রথমে আপনাকে ইন্সটল লোন অ্যাপের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন নাম, ঠিকানা, যোগাযোগ, নম্বর, ইমেইল এড্রেস ইত্যাদি সহ আপনার বিনামূল্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
★এরপর আপনি কতটুকু লোন নিবেন তা নির্ধারণ করুন। এটি অধিকাংশ অ্যাপস বা ওয়েবসাইট গুলোর প্রধান হতে পারে।
★আপনি একটি যোগাযোগ নম্বর এবং ইমেইল প্রদান করতে পারেন যাতে প্রধান কারীর সাথে যোগাযোগ করতে সুবিধা হয়।
★আপনাকে আপনার আয় এবং তালিকাভুক্ত অন্য ডকুমেন্টসগুলো সমর্থন করতে হতে পারে। সম্ভবত এটি আপনার বেতন ফ্লেভ ব্যক্তিগত আই কল রিটার্ন এবং ব্যাংক সিস্টেম আদি হতে পারে।
★সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করার পর আপনি অনলাইনে এপ্লিকেশন জমা দিতে পারবেন।এটি অধিকাংশই আপনার নিজের সময় এবং শাখা হতে পারে।
★আপনার অ্যাপ্লিকেশনের বিষয়ে সমীক্ষা করা হবে এবং আপনি যদি আপনার সেই ভাবে সমস্ত তথ্য প্রদান করেন তাহলে আপনার লোন অনুমোদিত হতে পারে।
★আপনি যদি অনুমোদিত হন তাহলে অক্সফোর্ড অথবা আপনার নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া হবে।
অনলাইনে মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
বাংলাদেশের অনলাইনে মোবাইল লোন না হওয়ার জন্য আবেদন করার সময় কিছু কাগজপত্র আপলোড করতে হতে পারে। আপনাদের মধ্যে যারা মোবাইল লোন নিতে চাচ্ছেন কিন্তু জানেন না যে কিভাবে মোবাইল লোন নেওয়া নেওয়া যায় এবং কি কি কাগজপত্র লাগবে। তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনেই আমারা আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই অনলাইন মোবাইল লোন নেওয়ার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র দরকার হতে পারে।
- মোবাইল নম্বর
- জাতীয় পরিচয় পত্র
- আয়ের প্রতিলিপি
- আয়ের শংসাপত্র এবং ট্যাক্স রিটার্ন
- ঠিকানা ও প্রমাণপত্র
- চাকরির প্রমাণপত্র
- ব্যবসার সংক্রান্ত তথ্য
বিকাশ অ্যাপ থেকে কিভাবে লোন নিবেনঃ
বিকাশ একাউন্ট থেকে সিটি ব্যাংকের লোন সার্ভিস নেওয়ার জন্য আপনার বিকাশ অ্যাপ লগইন করতে হবে। আপনার বিকাশ অ্যাপ এ হোম স্ক্রিনে অনেকগুলো অপশন দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে "লোন" আফসুনে ক্লিক করে আপনি সিটির ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন পাবেন তার পরিমাণ দেখতে পারবেন। এর নিচে থেকে "লোন নিন" অপশনে ক্লিক করুন।
এবার আপনাকে লোন পরিষদের সময় সীমা দেখানো হবে। বিকাশে ১ থেকে গ্রহণ করার লোন স্বজন তো তিন মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।
অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়। লোন পরিষদের নিয়মাবলীঃ
বিকাশ অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন নেওয়ার সময় বেলুন পাওয়ার পর এই লোন বা কিস্তি আপনি কিভাবে পরিশোধ করবেন সে সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। কিন্তু এটাও সবারই জেনে নেওয়া দরকার। আসুন এখন আমরা লোন নেওয়ার পরে কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে এই লোন পরিশোধ করতে পারব জেনে নেই।
বিকাশ অ্যাপ থেকে অনলাইন লোন নেওয়ার সময় বা লোন পাওয়ার পর ড্যাশবোর্ড এ লোন কিস্তির পরিমাণ ও পরিষদের তারিখ দেখতে পারবেন। আপনি চাইলে লোন পরিষদের জন্য নির্দিষ্ট তারিখে বিকাশ একাউন্টে টাকা রাখলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ডেবিট হিসেবে কেটে নেওয়া হবে। অথবা গ্রাহক চলে নির্দিষ্ট তারিখের আগে লোনের টাকা পরিশোধ করে দিতে পারেন। এতে সুরের পরিমাণ কম আসতে পারে।
আপনি যদি নির্দিষ্ট তারিখের লোনের টাকা পরিশোধ না করেন, বা কোন কারনে লোন শোধ করতে বিলম্ব হয় তাহলে বিলম্ব ফিলনের পরিমাণের ওপর বাৎসরিক দুই পার্সেন্ট সুদ দিতে হবে।
বিকাশ অনলাইন লোন অ্যাপ এর সুবিধা:
ঘরে বসে বিকাশ অনলাইন থেকে লোন নেওয়া এবং লোন পরিশোধ করার সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এবার আপনাকে বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন গ্রহনের বিশেষ সুবিধা হল জানানো হবে।
১.অনলাইন লোন আবেদন করার সাথে সাথে লোন পেয়ে যাবেন।
২.নেওয়ার জন্য আপনার কোন ধরনের কাগজপত্র লাগবে না।
৩.বিকাশ একাউন্টে টাকা থাকলে অটো কিস্তি পরিশোধ নেওয়া হবে বা টাকা কেটে নেওয়া হবে।
৪.কোন ধরনের ব্যাংক একাউন্ট বা জামানতের প্রয়োজন হবে না।
৫.লোনের টাকা তিন মাসের কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
৬.লোনের টাকার উপর মাত্র ৯% সুদ প্রযোজ্য হবে।
৭.লোনের ওপর ব্যাঙ প্রসেসিং কি মাত্র ০. ৫৭৫% (০.৫%)ভ্যাট প্রযোজ্য।
অনলাইন লোন সুবিধা করা পাবে?
আমাদের অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বিকাশ অনলাইন সুযোগ-সুবিধা কি সবাই গ্রহণ করতে পারবে?আসুন এখন আমরা সেই সম্পর্কেও জেনে নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক লিমিটেডের নির্দিষ্ট কিছু বিকাশ গ্রাহকদের জন্য লোন সার্ভিস প্রদান করেন। এই লোন সকলের জন্য নয়। আপনি বিকাশ গ্রাহক হিসাবে সিটি ব্যাংকের লোন পাবেন কিনা জানতে বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন অপশনে যান। আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য হন তাহলে কত টাকা লোন পাবেন সেটা আপনি সেখানেই দেখতে পাবেন।
কিন্তু বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে মাত্র ২% লোক লোন পেয়ে থাকে।অর্থাৎ ১০০ জনের মধ্যে মাত্র দুইজন। বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে বিকাশ অ্যাপ এর একজন গ্রাহক হতে হবে। এবং আপনি যে পরিমাণ টাকা প্রতি মাসে লেনদেন করে থাকেন সেই লোনদেনের উপর নির্ভর করে। আপনার বিকাশে থেকে অটোমেটিক কত টাকার লোন নিতে পারবেন সেই হিসেব আপনি আপনার একাউন্টেই দেখতে পারবেন।
করছে যারা বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নেবেন তারা কি কি নিয়ম মেনে লোন নিবেন এবং কত টাকা লোন পাবেন জেনে গেছেন।
বিকাশ অ্যাপস থেকে লোন পরিশোধের মেয়াদ ও সুদঃ
আমাদের শেষ কথাঃ অনলাইনে লোন পাওয়ার উপায়
ব্যক্তিগতভাবে আমাদের অনেকেরই লোনার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তাই আমরা লোন সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে আগ্রহী হয়ে উঠি। আশা করছি আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে কিভাবে অনলাইন অ্যাপস এর মাধ্যমে লোন নিতে পারবেন সে সম্পর্কে সকল প্রশ্ন জেনে গেছেন। আশা করি আজকে এই প্রতিবেদন আপনাদের উপকারে আসবে। ভালো লাগলে আমাদের ব্লকের সাথেই থাকুন।