নাপাক অবস্থায় যে ১০ টি কাজ করা যাবে না
আজকে আলোচনা করবো নাপাক অবস্থায় যে দশটি কাজ করা যাবে না সে সম্পর্কে। আমরা অনেকেই জানিনা এবং অনেকেই এই বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তিত যে নাপাক অবস্থায় যে দশটি কাজ করা যাবে না এবং নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আজকের আলোচনাতে। নাপাক অবস্থায় যে দশটি কাজ করা নিষেধ রয়েছে সেই সম্পর্কে অনেকেরই অজানা তাই আজকে তাদের জন্য আমাদের এই আলোচনা। যাদের কাছে এই বিষয়ে অজানা রয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে আজকের এই পোস্ট। নাপাক অবস্থায় যে দশটি কাজ করা যাবে না সে সম্পর্কে আপনারা সকলে জেনে নিন। নাপাক অবস্থায় কোন কোন কাজ করা যাবে এবং নাপাক অবস্থায় ফোন করা যাবে না ইত্যাদি।
মুসলমান ব্যক্তিদের জন্য কিছু কাজ রয়েছে অপবিত্র থাকার যে কাজগুলো একদম কড়া নিষেধ।ছোটখাটো অনেক এমন কাজ রয়েছে যে কাজগুলো নাপাক অবস্থায় করা যাবে না তাই আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন নাপাক অবস্থায় যে কাজগুলো করা যাবে এবং যে কাজগুলো করা যাবে না।
চলুন জেনে নেই নাপাক অবস্থায় যে ১০ টি কাজ করা যাবে না।
- নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে না
- তাওয়াফ করা যাবে না
- নামাজ পড়া যাবে না
- কোরআন স্পর্শ করা যাবে না
- মসজিদে প্রবেশ করা যাবে না
- কোরআন পড়া যাবে না
- এবং নাপাক অবস্থায় কি কাজ করা যাবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত
নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে নাঃ
প্রথমত বলব আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য জেনে নিন নাপাক অবস্থায় কোন কোন কাজ করা উচিত নয়। মহান আল্লাহতালা পবিত্র অবস্থায় থাকা খুবই পছন্দ করে তাই আমাদেরকে অবশ্যই পবিত্র ভাবে থাকতে হবে। একমাত্র তারাই অপবিত্র হয়ে থাকে যারা মুশফিক।। তাই অবশ্যই আমাদের সকলকে পবিত্র হয়ে থাকা দরকার নাপাক অবস্থায় কি কি করা যাবে না সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা।
নামায আদায় করা যাবে নাঃ
আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করা একেবারেই উচিত নয়। তাই অবশ্যই চেষ্টা করবেন পবিত্র হয়ে নামাজ আদায় করা। মহান আল্লাহতালা অপবিত্র অবস্থায় থাকা পছন্দ করেন না তাই অবশ্যই পবিত্র হয়ে থাকতে হবে কারণ এক সেকেন্ডের ভরসা নেই। আপনি যদি নাপাক অবস্থায় তাহলে আপনার ভয়াবহ শাস্তি হবে তাই অবশ্যই অবশ্যই পাপ-পবিত্র হয়ে থাকা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন যে মহান আল্লাহতালা অপবিত্র অবস্থায় নামাজ কবুল করবেন না। যারা বাতাস ছাড়ার পর পায়খানা বা প্রসাব করার পর যতক্ষণ না সে ওযু করে সুতরাং এটা সম্পূর্ণরূপে যে নাপাক ব্যক্তির নামাজ কবুল হবে না নাপাক ব্যক্তির নামাজ বাতিল করা হবে।
যে ব্যক্তি অজু না করে মনোযোগ সহকারে সালাত আদায় করে কিন্তু একই সাথে জানে যে ইসলামে নাপাক থাকলে ওযু না করে নামাজ আদায় করা হবে না তবুও সে নামাজ আদায় করছে এতে আরো ভয়াবহ শাস্তিও হবে। যে ব্যক্তি অসাবধানতা অবস্থায় ভুল করবে অজু ছাড়া নামাজ আদায় করবে এজন্য কোন পাপ হবে না কিন্তু তার প্রার্থনা বাতিল হবে।
তাওয়াফ করা যাবে নাঃ
নবীজি বলেছেন যে তাওয়াফ কে সালাত হিসাবে গ্রহণ করা হয় কিন্তু নামাজ আর তাওয়াবের মধ্যে পার্থক্য হল এর সময় কথা বলা আল্লাহ বৈধ করেছেন আর নামাজের সময় কথা বলা নিষেধ করেছেন। তাই নাপাক অবস্থায় তাওয়াফ করা যাবে না। কারণ তাওয়াফ করা নামাজে সমতুল্য। এছাড়াও মহিলাদেরকে মাসিক হওয়া তাওয়াফ করতে নিষেধ করেছেন যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেকে পবিত্রতা না আনতে পারবে ততক্ষণ।
কুরআন স্পর্শ করা যাবে নাঃ
কম বা বেশি নাপাক উভয় অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা একদম উচিত নয়। যেকোন কিছুর সাহায্য হোক বা সরাসরিই হোক। এই কথার উপর জোর দেওয়ার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন যে শুদ্ধ ব্যতীত কেউ কোরআন স্পর্শ করবেন না। আবার অনেকেই মনে করেন যে শূদ্র এবং অর্থ ফেরেশতাদের কেউ বোঝায় তবে প্রকৃতি পক্ষে এটি দ্বারা মানুষের ওপর যেন হয়েছে নাপাক অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা উচিত নয় একেবারে হারাম কাজ।
কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে নাঃ
আলী ইবনে আবু তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে নাপাক অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত করা একদমই নিষেধ রয়েছে কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে না। নবী সাহাবীদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত করতে যদি তিনি পবিত্র অবস্থায় থাকেন ঋতুস্রাব হওয়ার মহিলারা ও প্রসব পরিবর্তনিত রক্তপাতের অবস্থা থাকা মহিলারা উভয় ক্ষেত্রে একই বিধান রয়েছে।
বেশি অপবিত্র ব্যক্তির জন্য কোরআনের কিছু শব্দ তেলাওয়াত করা বৈধ কিন্তু কুরআন এ হাত না দিয়ে শুধু মুখে আপনি সব রকম দোয়া ও সূরা পড়তে পারবেন আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ সকল ধরনের জিকির করতে পারবেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সব অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করতেন ইনশাআল্লাহ।
মসজিদে নাপাক অবস্থায় প্রবেশ করা যাবে নাঃ
আজকের আমাদের এই আলোচনা নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে না ইতিমধ্যে অনেক কিছু আলোচনা করা হয়েছে এখন আলোচনা করব মসজিদে নাপাক অবস্থায় প্রবেশ করা কেন নিষেধ। নাবাগ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করা যাবে না অতএব অপরিষ্কার অবস্থায় একজন অজু করার জন্য মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়া জায়েজ রয়েছে। নিষেধ করা হয়েছে শুধুমাত্র মসজিদের ভেতরে থাকার জন্য নাপাক অবস্থায় মসজিদের প্রবেশ করা যাবে না। নাপাক অবস্থায় আপনি মসজিদের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে পারবেন। কিন্তু নাপাক অবস্থায় মসজিদের প্রবেশ করা যাবে না। এক কথায় বলা রয়েছে যে আপনি যদি নাপাক থাকেন তাহলে ভুলেও কখনো মসজিদে প্রবেশ করবেন না এবং মসজিদে থাকতে পারবেন না।
নাপাক অবস্থায় কি কি কাজ করা যাবে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছিঃ
অপবিত্র অবস্থায় দোয়া করা যাবে কি?
অপবিত্র অবস্থায় দোয়া করা যাবে কি এর অর্থ হচ্ছে অজু ছাড়াই ইবাদত করতে পারবে কিনা আপনি যদি বেশি পরিমাণে নাপাক না প্রসাব বা পায়খানা করেছেন তাহলে আপনি দোয়া করতে পারবেন কিন্তু ওযু ছাড়া নামাজ আদায় করা যাবে না। এর থেকে জরুরি হচ্ছে নাপাক অবস্থায় করা যাবে না। খুব জরুরী হলে কোরআন উপর থেকে হাত দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখা যায় অনেক আলেম বলেছেন। ওযু ছাড়া কুরআন এ হাত দেওয়া একদম উচিত নয় ওযু ছাড়া কুরআনে হাত দেওয়া। খুব খারাপ কাজ তাই কখনো অজু ছাড়া কুরআনে হাত দিবেন না আপনি যদি অতিরিক্ত নাপাক থাকেন যেমন মেয়েদের মাসিক হলে ও সহবাস করা হলে এই সময়গুলোতে কুরআনে হাত দেওয়া উচিত নয়। আপনি চাইলে মুখে মুখে আল্লাহকে মনে করে দোয়া করতে পারেন। বান্দাদের মুখে কখনো অপবিত্র থাকে না তাই নাপাক অবস্থায় মুখে। জিকির করতে পারবেন এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে পারেন
নাপাক অবস্থায় নামাজ আদায় করলে কি হবে জেনেঃ
এমন তিনজন বান্দা রয়েছেন যাদের দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হবে যেমন রোজাদার যখন ইফতারের সময় দোয়া করেন না ন্যায়পরায়ণ নয় নেতার দোয়া এবং নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া কখনো মিস হয় না।
আপনাকে ইসলামে কি জিনিস পবিত্র করেঃ
যে জিনিসগুলো সব সময় অপবিত্র হয় সেগুলোকে নাজাস বলা হয় এর মধ্যে শুকুর রক্ত কুকুরের লালা এবং সম্ভব হলে এই সমস্ত জিনিস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন যদি পোশাক এবং থালা-বাসনে জিনিসগুলো সংস্পরশন হয়ে থাকে সেগুলোকে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন যতক্ষণ না কোন গন্ধ দূর হচ্ছে।
গোসল করা ছাড়া নামাজ আদায় করা উচিত নয়ঃ
গোসল ছাড়া নামাজ আদায় করা ঠিক নয় এই কথার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে যে কেউ যদি গোসল না করে তবে তার নামাজ আদায় হবে কিনা। যদি কারো ঘামের কারণে বা তার কাপড় ও শরীর থেকে দূর গন্ধ কারণে আদায় হবে না। আর এটাই তো আমরা জানি নাপাক থাকলে সুন্নতি গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হতে হবে
মেয়েদের মাসিকের সময় ফোনে কোরআন পড়া উচিতঃ
মাসিকের সময় মহিলাদের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ তাই এই সময় কোন ভাবে কুরআন পড়া উচিত নয়।