ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন তাই না। কারণ, এখানে সম্ভাবনার বিশাল জানালা খোলা রয়েছে।
ইউটিউবে হিউজ পরিমান অডিয়েন্স রয়েছে। প্রতিদিনই এখানে অসংখ্য মানুষ ভিডিও দেখার জন্য ভিজিট করে। ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে youtube এ ভিডিও দেখে।
ব্যাপারটা এমন না যে ইউটিউব ২০২৩ সালে ৩০.৪ বিলিয়ন ডলার ইনকাম করেছে বলে এত মানুষ ইউটিউবে আসে। ইউটিউবে এত পরিমান টাকা আসলে হঠাৎ করে ইনকাম হয়ে যায় এমনটাও নয়।
আর ইউটিউবে জাস্ট ভিডিও আপলোড দিলেই যে টাকা পাওয়া যাবে তাও কিন্তু নয়। অথবা একটা চ্যানেল খুললাম কাউকে দিয়ে প্রমোট করালাম, আর আমার ইনকাম হবে, ব্যাপারটা এমনও নয়।
ইউটিউবে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে কিছু বিষয়ে জানতে হবে। আর তার জন্যই আমরা আজকের আর্টিকেল সাজিয়েছি। এখানে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার কার্যকর দশটি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যেগুলো ২০২৪ সালে এসে আপনার জীবনে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে যারা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চাচ্ছেন।
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় (যেগুলা আসলেই কাজ করে)
বর্তমান সময়ে ইউটিউব পরিসংখ্যান বলছে ইউটিউব হচ্ছে এক ধরনের সোনা ফলানোর জমি। কিন্তু সেটা এতটাও সহজ নয়। বর্তমান সময়ের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ইউটিউবে কোয়ালিটি এবং ইন্টারটেনমেন্টে কোন ধরনের সেক্রিফাইস করতে চান না। তাই এখানে কম্পিটিশনও অনেক বেশি।
তবে খুশির সংবাদ হচ্ছে, একটা নয় দুইটা নয় ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের অনেকগুলো রয়েছে। তো চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল আলোচনা শুরু করি।
১. ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম বা ইউটিউব মনিটাইজেশন
ইউটিউব থেকে টাকা ইনকামের প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে তাদের পার্টনার প্রোগ্রাম এ অংশগ্রহণ করা। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে তাদের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ দেয়। তবে এই পার্টনার প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য ইউটিউব এর পক্ষ থেকে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। যেমন-
- বিগত এক বছরে ইউটিউব চ্যানেলের ৪০০০ ঘন্টা সময় ভিডিও দেখার রেকর্ড থাকতে হবে অথবা বিগত ৯০ দিনে শর্ট ভিডিওতে ১০ মিলিয়ন ভিউ থাকতে হবে।
- ১০০০ জনের অধিক সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে ।
- একটি অথবা লিংক করা গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে।
ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় আপনি নিশ্চয়ই বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখেছেন। এই বিজ্ঞাপনগুলোই ইউটিউবারদের ইনকামের প্রথম উপায়। এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন, এসব বিজ্ঞাপন থেকে কেমন টাকা ইনকাম হয়। এই উত্তর অনেকটাই নির্ভর করে-
- ইউটিউবারদের ভিডিও কোন বয়সের লোকেরা দেখছে, কোন দেশ থেকে দেখছেন।
- ভিডিওতে কোন ক্যাটাগরির বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে।
- আর একটি চ্যানেলে কোন ইন্ডাস্ট্রির ভিডিও আপলোড করা হয়।
ইউটিউব এর পক্ষ থেকে এসব বিজ্ঞাপন থেকে কি পরিমাণ টাকা পাবেন তার সঠিক গ্যারান্টি নেই। ওপরে উল্লিখিত বিষয়ের উপরে নির্ভর করছে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই বলে প্রতি এক হাজার ভিউতে এক ডলার পাওয়া যায়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে এটা কাজ করে না।
আবার ইউটিউবে কিছু নন স্কিপেবল রয়েছে যেগুলো থেকে রেভিনিউ এর পরিমাণ একটু বেশি। যাইহোক এবার দ্বিতীয় পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
২. চ্যানেলের মেম্বারশিপ বিক্রি করে টাকা ইনকাম
ইউটিউবারদের টাকা ইনকাম করা আরেকটি চমৎকার ফিচার হচ্ছে মেম্বারশিপ পদ্ধতি। যারা মেম্বারশিপ ক্রয় করবে তারা মূলত সেই চ্যানেল থেকে এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টের প্রত্যাশা করে।
অর্থাৎ একটি চ্যানেলে মেম্বারশিপ বিক্রি করলে মেম্বারদের জন্য স্পেশাল কিছু কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। তবে যারা ডেইলি ভিডিও করে অথবা লাইফ স্ট্রিম করে তাদের জন্য মেম্বারশিপ ফিচারটি বেশ কাজের।
৩. ডেসক্রিপশনে প্রমোশন লিংক শেয়ার করা
ইউটিউব চ্যানেলের ডেসক্রিপশন আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট। যেখানে একজন ক্রিয়েটর ডিসক্রিপশন বক্সে পাঁচ হাজারটি ক্যারেক্টার লিখতে পারে। টাকা ইনকামের জন্য এই ডেসক্রিপশন বক্সটি অনেক কাজে লাগে। ডেসক্রিপশনে কি ধরনের লিংক শেয়ার করে টাকা ইনকাম করা যায়? উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-
- ভিউয়ার্সদেরকে ওয়েবসাইটে পাঠানোর লিংক
- আপনার নিজের ব্যবসা অথবা ই-কমার্স শপে পাঠানো
- লিড জেনারেট (ফ্রি কোর্স বা গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড করার রিসোর্স)
উপরের ছবিতে samzone চ্যানেলের ডেসক্রিপশন বক্স টি শেয়ার করা হয়েছে। এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাঁচটি প্রোডাক্টের আলাদা আলাদা লিংক এবং দাম দেওয়া হয়েছে। এখানে উনি যাদের জন্য ভিডিও তৈরি করেছেন তাদের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে রেখেছেন। আর এই কাজটি তিনি নিশ্চয়ই ফ্রিতে করেননি।
৪. ভিডিওতে ফিচার স্পন্সর
ফিচার স্পন্সর বড় এবং ছোট সব ধরনের কনটেন্ট এর কাছে পছন্দের। এই ধরনের স্পন্সর গুলো যেকোনো ভিডিওর শুরুতে অ্যানাউন্স দেয় যে এই ভিডিওটি অমুক কোম্পানির সৌজন্যে তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি ভিডিওর শেষেও এই কথাটি বলা হয়। সাধারণত এই ধরনের স্পন্সর ভিডিও একটি ইউটিউব চ্যানেলের তার নিজের কনটেন্টের-ই অংশ। ফলে এই বিজ্ঞাপন গুলোকে স্কিপ করা যায় না।
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নদীর অন দা গো ইউটিউব চ্যানেলে তার নিজের ভিডিওর মধ্যে টেপ টেপ সেন্টার নামে একটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার করছেন। এ ধরনের বিজ্ঞাপনের জন্য বড় বড় চ্যানেলগুলো মোটামুটি চার্জ করে থাকে। আর এগুলোকে ফিচার স্পন্সর বলা হয়। ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ইউটিউবাররা এটাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন।
যদিও ভিউয়াররা এ ধরনের বিজ্ঞাপনে বিরক্ত হয় কিন্তু কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে এটা করতেই হয়।যেহেতু ভিডিও স্ক্রিপ করার অপশন আছে তাই ভিউয়াররা এসব ক্ষেত্রে টেনে টেনে ভিডিও দেখতে ভালোবাসেন। তার পরেও কোম্পানির প্রচার তো হলোই আর কনটেন্ট ক্রিয়েটরেরও ইনকাম হলো।
৫. প্রোডাক্ট রিভিউ ভিডিও
টেন্ট ক্রিয়েটরদের টাকা ইনকামের আরো একটি পছন্দের উপায় হচ্ছে প্রোডাক্ট রিভিউ করা। বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রকাশ করে ভিডিও তৈরি করে প্রমোশন করা। প্রোডাক্ট এর পাশাপাশি ব্র্যান্ডগুলোকেও পরিচিত করানো হয়।
- ব্র্যান্ডগুলো তাদের প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে টাকা দেয়।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিডিও তৈরির গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এবং ইনস্ট্রাকশনও দিয়ে দেয়।
- এসব ক্ষেত্রে নগদ লেনদেনের পাশাপাশি এফিলিয়েট রেভিনিউ আর্নিং এরও সুযোগ থাকে।
সাধারণত ডিউটি এবং স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট গুলোতে এ ধরনের প্রমোশন বেশি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের গেজেট আইটেমের ও রিভিউ ভিডিও অনলাইনে প্রচুর পাওয়া যায়।
উপরের স্ক্রিনশটে দেখতে পাচ্ছেন সোহাগ ৩৬০ চ্যানেলের দুইটি ভিডিও। আর এই ভিডিও দুটি প্রোডাক্ট রিভিউ ভিত্তিক। এটি হচ্ছে গ্যাজেট রিভিউ আইটেম। এ ধরনের ক্রিম কেয়ার অথবা বিউটি কেয়ার রিলেটেড চ্যানেলগুলোতেও প্রচুর প্রোডাক্ট রিভিউ করা হয়। আর এসব রিভিউ থেকে ব্র্যান্ডগুলো যেমন তাদের প্রমোশন পাচ্ছে পাশাপাশি কনটেন্ট ক্রিয়েটররাও ভালো এমাউন্টের চার্জ করতে পারে।
পাশাপাশি ওপরের এই স্ক্রিনশটটি দেখুন যেখানে ডেসক্রিপশনে প্রমোশনাল লিংক দেওয়া রয়েছে। প্রোডাক্ট রিভিউ এরপর সেই প্রোডাক্ট করার জন্য লিঙ্ক শেয়ার করা হয়।
৬. লিভারেজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
কনটেন্ট থিয়েটিং এ টাকা ইনকামের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে লিভারেজ এফিলিয়েট মার্কেটিং। অনলাইনে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ভিডিওতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে । খুবই সিম্পল একটি আইডিয়া, আপনি যদি কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন তাহলে যেকোনো ব্র্যান্ডের একটি প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করবেন পাশাপাশি সেটা কোথা থেকে কেনা যায় সেটা সম্পর্কে আলোচনা করবেন।
ফলে আপনার ভিউয়াররা সেখান থেকে এগুলো পারচেজ করবে তার বিনিময়ে আপনি প্রফিট পাবেন। কোম্পানি বা ব্র্যান্ড এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর দুজনের জন্যই এটা উইন উইন সিচুয়েশন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের প্রফিট হল পাশাপাশি ব্র্যান্ডের প্রমোশন বা পরিচিতি বাড়লো।
MyLifeOutDoors নামের এই ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে আলোচনা করছেন। পাশাপাশি সেই প্রোডাক্টগুলোর এফিলিয়েট লিংক ডেসক্রিপশনে দিয়ে রেখেছেন। নিচের ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন এই ভিডিওর ডেসক্রিপশন বক্স। এই ডেসক্রিপশন বক্সে তিনি এই ভিডিওতে যে সকল প্রোডাক্ট নিয়া আলোচনা করেছেন তার লিংক দেওয়া রয়েছে।
৭. নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি করা
ইউটিউব তাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদেরকে বিজনেস করার জন্য ইনফ্লুয়েন্স করে। তাই যারা কন্টেন্ট ক্রিকেটার রয়েছে একটা সময় গিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করেন। অনেকেই সাকসেসফুল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠেন। তাছাড়া youtube এ কাস্টম প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য আলাদা অপশন রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট শো করা যায়।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন Rose Anvil জ ইউটিউব চ্যানেলে কাস্টম টি-শার্ট বিক্রির জন্য শোকেসে রাখা হয়েছে। এ ধরনের টি শার্ট বিক্রির বিজনেস করতে চাইলে আপনার কোন ফ্যাক্টরি করতে হবে না। বেশ কিছু নামিদামে ব্র্যান্ড রয়েছে যারা আপনার টি-শার্টগুলো বানিয়ে ডেলিভারি দিয়ে দিবে।
উপরের এই তিনটি কোম্পানিতে একাউন্ট খুলতে পারবেন। তারা আপনার টি-শার্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে প্যাকেজিং ডেলিভারি সবকিছু করে দেবে। জাস্ট আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে বিক্রি হওয়ার ফলে মোটা অংকের কমিশন পাবেন।
এটা তো শুধুমাত্র টি-শার্টের কথা বললাম। এভাবে আপনি যে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।
করেন
৮. Youtube সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার
আপনি আপনার ভিওয়ার দের সাথে সরাসরি এংগেস্ট হতে পারবেন এবং তাদের কাছ থেকে সরাসরি টাকা নিতে পারবেন। সেটার জন্য ইউটিউব এর সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার নামের একটি অপশন রয়েছে। সাধারণত যখন লাইভ স্ট্রিম করা হয় তখন ভিউয়ারদের মধ্য থেকে তাদের কিছু মেসেজকে হাইলাইট করে টাকা নেওয়া যায়। যে বেশি টাকা দিবে তার কমেন্টই প্রথমে থাকবে। তাছাড়া ভিউয়ার যখন পেমেন্ট করবে তাকে সুপার স্টিকার দেওয়া হবে।
উপরের স্ক্রিনশটটি খেয়াল করুন এখানে সুপার চ্যাট এবং সুপার স্টিকার এর মাধ্যমে বিভিন্ন মেসেজ কে হাইলাইট করা হচ্ছে।
৯. আপনার ভিডিওর লাইসেন্স বিক্রি করা
আপনার নিজের ভিডিওর লাইসেন্স অন্য থার্ড পার্টির কাছে বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত যেই ভিডিওগুলো প্রচুর ভাইরাল হয়ে যায় পাশাপাশি নতুন ধরনের কিছু ভিডিও হয় তখন সেই ভিডিওগুলো থার্ড পার্টি চ্যানেল অথবা মিডিয়ার কাছে বিক্রি করা যায়। আপনার চ্যানেলের ভিডিও অন্যজনকে ব্যবহার করার অনুমতি দিবেন কিন্তু তার বিনিময়ে চার্জ করবেন।
১০. ভিডিওর জন্য ক্রাউড ফান্ডিং
আপনি আপনার ইউটিউবে ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করার জন্য অথবা কোন ভাল প্রজেক্ট করার জন্য ভিউয়ারদের কাছ থেকে ফান্ডিং নিতে পারেন। যেটাকে বলা হয়
ক্রাউড ফান্ডিং। ক্রাউড ফান্ডিং এর জন্য আপনি যে সকল ওয়েবসাইটের সহায়তা নিতে পারেন তাদের মধ্যে দুটির নাম দিয়ে দিলাম
Kickstarter and Indiegogo .
আজকের আলোচনা এখানেই শেষ করতে চাচ্ছি। আশা করছি আমাদের আলোচনাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের বিভিন্ন উপায় নিয়ে আমরা মূলত এই ব্লগে আলোচনা করে থাকি। অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকস পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।